দোহার-নবাবগঞ্জে মরিচে এখন অনেক ঝাঁজ
দোহার-নবাবগঞ্জে কাাঁচামরিচে এখন অনেক ঝাঁজ। দোহারের জয়পাড়া বাজার, মেঘুলা বাজার, নারিশা বাজার, মুকসুদপুর বাজার, কার্তিকপুর বাজার আর নবাবগঞ্জের বান্দুরা বাজার, নবাবগঞ্জ বাজার, বাগমারা বাজার এবং কোমরগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে কাঁচামরিচের দাম আকাশ্চুম্বী। সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামরিচের মূল্য এখন বাজারভেদে ২০০-২৪০ টাকা।
দোহারের অন্যতম বড় বাজার জয়পাড়া বাজারে ক্রেতাদের নাগালের বাইরেই চলে যাচ্ছে মরিচসহ গাজর, শসা, পেঁয়াজের দাম। জয়পাড়া বাজারে সাপ্তাহিক দুটি হাট সহ প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য বেচাকেনা হয়ে থাকে। সেই সুবাদে বিভিন্ন অঞ্চল হতে দোহারের জয়পাড়া বাজারে ভিড় করেন ক্রেতা-বিক্রেতা। ক্রেতাদের চাহিদার সুযোগ নিয়ে ক্রমেই বিভিন্ন দ্রব্যের দাম বেড়েই চলছে, যার ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ। ভালােমানের এক কেজি কাঁচামরিচ কিনতে এখন গুনতে হচ্ছে ২২০ টাকা। তবে নিম্নমানের কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সরেজমিন দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার বাজার ঘুরে আগের তুলনায় কাঁচামরিচের সরবরাহ বেশি দেখা গেছে। এ কারণে দাম খানিকটা কম। একদিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা জৈনদ্দিন বলেন, কয়েক দিন আগে যে কাঁচামরিচ আমরা ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি কিনলাম, সেটাই এখন বেড়ে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় মরিচ কেনা দূরে থাক, হাত দেয়ায় মুশকিল হয়ে পড়েছিল। দাম আগের অবস্থায় ফিরলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে।
কাঁচামরিচ বিক্রেতা কবির হোসেন ও লাল মিয়া বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির কারণে কাঁচামরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে দাম চড়া।
মরিচচাষি হেলাল বলেন, ‘আমাদের খরচ বেশি। উৎপাদন কম হইছে। এখন দাম বাড়লে কী হবে, এখন তো বাইরের মরিচ সব। আমাগো মরিচের টাইমে তো দামই পাই নাই। এরকম হইলে আগামী বছর আর মরিচ চাষ করুম না।’
ইউসুফপুর বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা শিরু বেগম বলেন, ১ কেজি কাঁচামরিচ যে কিনব সে সাহস করতে পারি না। গত এক সপ্তাহ ধরে কাঁচামরিচের আকাশছোঁয়া দামে বাজারে ঝাঁজ শুরু হয়েছে। তাই তরকারি খাওয়া কমাই দিছি।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ইয়াকুব মামুন জানান, দোহার উপজেলায় অন্তত ১৫ থেকে ১৮ হাজার হেক্টর জমি মরিচ উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করেন কৃষকরা। মরিচচাষিরা বিগত ২ থেকে ৩ মাস আগেই উৎপাদনে ব্যস্ত ছিলেন। তাই তখন দোহারে বৃষ্টি হওয়ায় মরিচ উৎপাদন কম হওয়া ও মরিচ পচে যাওয়ায় কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মরিচের মূল্য বাড়ালেও দোহার-নবাবগঞ্জের কৃষকদের কোনো লাভ হচ্ছে না। এজন্য কৃষকদের সবজি চাষে উৎসাহ প্রদানে আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি। তাছাড়া দোহারে কাঁচামরিচের উৎপাদন কম হওয়ায় দাম একটু বেশি রয়েছে।
এমএসএম / জামান
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে কুমিল্লা-৬ আসনের মসজিদগুলোতে দোয়া ও মিলাদ
পবিপ্রবিতে ১৫ বছর ধরে অচল দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূ-কম্পন পরিমাপক যন্ত্র
জমে উঠছে কুমিল্লা-৫ আসনে জামায়াতে নির্বাচনী প্রচারনা
মান্দায় বিএনপি নেতা মতিনের পথসভা ও লিফলেট বিতরণে জনতার ঢল
এই বাংলায় কোনো বৈষম্য থাকবে না: ব্যারিস্টার ইউসুফ আলী
বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর লালমন বিরল রোগে আক্রান্ত অর্থাভাবে মিলছে না উন্নত চিকিৎসা
কাউনিয়ায় ওভারব্রিজ পরিদর্শনে উপসচিব ফজলে এলাহী
রায়গঞ্জে ৭ মাসে ১০ মৃত্যু, স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী
বোয়ালমারীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
ত্রিশালে জেঁকে বসেছে শীত, ফুটপাতে জমে উঠেছে বিক্রি
৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে কুমিল্লা -৬ আসনে জামায়াত নেতা দ্বীন মোহাম্মদ শোভাযাত্রা
আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড দেখাবে এ দেশের ছাত্র জনতা -মিয়া গোলাম পরওয়ার
সন্দ্বীপে ৫ শতাধিক পরিবারের চলাচলে স্বস্তি
Link Copied