চট্টগ্রাম ৮
স্বতন্ত্র নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত আওয়ামীলীগের দৌড়ঝাঁপ, সরে দাঁড়ানোর শংঙ্কা জোট প্রার্থী

৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ জোটের কারনে যে ২৬ টি আসন নিজেদের মনোনীত প্রার্থীকে প্রত্যাহার করে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন করে ছেড়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম -৮ আসন তার মধ্যে অন্যতম। এই আসনটি নির্বাচনে জোটের কারনে আওয়ামিলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি নোমান আল্ মাহমুদকে প্রত্যাহার করে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সোলাইমান শেঠ কে আসনটি ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামিলীগ।
কিন্তু এই আসনে নির্বাচনের মাঠে রয়ে গেছে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী চট্টগ্রাম নগর আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক ও সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম এবং নগর আওয়ামীলীগের সদস্য বিজয় কুমার চৌধুরী।এই দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে নেমেছে আওয়ামীগের দ্বিধাবিভক্ত দুই অংশ।
ইতিমধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে মিটিং- মিছিল করে তাদের স্ব -স্ব অবস্থান স্পষ্ট করেছে। প্রথমে নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ. জ.ম নাছির উদ্দীন, বর্তমান এমপি নোমান আল মাহমুদ ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সেলিম, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বোয়ালখালী পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর তাঁর অনুসারীদের নিয়ে বোয়ালখালীর একটি কমিউনিটি সেন্টার নগর আওয়ামীলীগের সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরীর ফুলকপি মার্কার পক্ষে মিটিং করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
পরে এই গ্রুপে যোগদেন বোয়ালখালী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সহ কয়েক জন। পরে ২৬ ডিসেম্বর একই কমিউনিটি সেন্টারে নগর আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক আব্দুস ছালামের কেটলি মার্কার পক্ষে মিটিং করে নগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, বোয়াল পৌরসভা আওয়ামিলীগের সভাপতি শফিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের বন গবেষণা সম্পাদক আবছার উদ্দীন সেলিম সহ কিছু নেতাকর্মী।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এস এম আবুল কালাম ও তার অনুসারীদের নিয়ে সমর্থন দিয়েছে নগর আওয়ামীলীগের স্বতন্ত প্রার্থী আবদুস ছালামের কেটলি মার্কার পক্ষে।এই দুই গ্রুপ যখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে তাদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে তখন এই আসনের জোট মনোনীত প্রার্থী সোলাইমান শেঠ নাঙ্গল প্রতীকের প্রচারণা করার জন্য আওয়ামিলীগের কাউকে দায়িত্ব নিয়ে প্রকাশ্যে নির্বাচনী মাঠে না-নামার অভিযোগ করেছেন জোট প্রার্থী সোলাইমান শেঠ। তিনি বলেন সারা দেশে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা দলবেঁধে নৌকা প্রতীকের জন্য কাজ করে গেলেও এই আসনে আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাজ করছেন, তাদের বুঝতে হবে জোটনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ টি আসনে নিজেদের মনোনীত নৌকার প্রতীকের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করার জন্য বরাদ্দ করেছেন। এরপরও যদি স্হানীয় নেতা কর্মীরা দ্বিধা- বিভক্ত হয়ে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে নিজেদের মত নির্বাচনী কাজ করে যায় ধরে নিতে হবে তাঁর জোটনেত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তাঁরা মানতেছেনা। এভাবে অসহযোগীতা করলে জোট প্রার্থী হিসেবে আমাদের ভেবে দেখতে হবে সারা দেশে নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো কি-না।
এদিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন চট্টগ্রাম ৮ আসনটি যখন জোটগত নির্বাচনের কারনে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে, এই আসনে নৌকা প্রতীকের কোন প্রার্থী নেই, কেন্দ্রের সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় আমরা দলীয় ভাবে এই আসনে কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করিনি। যারা নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ গ্রহন করছেন তারা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত ভাবে করছেন এটা আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত নয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণা অংশ নেওয়া নগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান এমপি নোমান আল মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর কৌশল হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।
জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সোলাইমান শেঠের পক্ষে প্রচারণায় অংশ না নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগর আওয়ামীলীগের এক দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সোলাইমান শেঠ এই আসনের লোক না, তিনি আওয়ামিলীগের লোকও না, তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তার সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে কাজ করছেন, আমাদের কিছু কিছু দলীয় লোকজনও ইতিমধ্যে তার প্রচারনায় অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে। আমাদের দলীয় হাইকমান্ডের থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না আসায় দলীয় নেতাকর্মীরা যে যার মত নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর সাথে কাজ করে যাচ্ছে, দলীয় নির্দেশনা পেলে সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাবে।
উল্লেখ্য যে বোয়ালখালী, চান্দগাঁও (পাঁচলাইশ বায়েজিদ) আংশিক নিয়ে গঠিত ৫ লক্ষাধিক ভোটারের এই আসনটি ২০০৮ সাল থেকে মহাজোট প্রার্থী জাসদ নেতা মঈন উদ্দীন খান বাদল পর পর ৩ বার নির্বাচিত হয়ে আসছি, বাদলের মৃত্যুর পর মৃত্যুর পর ২০১৯ সালে উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোছলেম উদ্দীন আহমেদ,২০২৩ সালে মোছলেম উদ্দীন আহমেদ মৃত্যুবরন করলে পুনরায় উপ-নির্বাচনে নোমান আল মাহমুদ নির্বাচিত হয়। ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি আবারো জোর্টগত কারনে নিজের প্রার্থী প্রত্যাহার করে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামিলীগ।
এমএসএম / এমএসএম

মা-ইলিশ রক্ষায় সুনাম কুড়াচ্ছেন রায়পুর মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান

কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর মরদেহ উদ্ধার: দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যা?

ধামরাইয়ে ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যালামনাই পরিবারের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

আইনের শাসন কাকে বলে, নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই : সিইসি

পটুয়াখালীতে র্যাবের গাড়ি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৩

মামুদনগর দারুল উলুম ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসায় সিলিং ফ্যান, কোরআন শরীফ ও ঘড়ি বিতরণ

শিবচরের পদ্মা নদীতে অভিযান, ইলিশ শিকারের দায়ে ২৪ জেলে আটক

ঘোড়াঘাটে আগাম জাতের ধান কাটা মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত কৃষক

লোকগানের নিভৃত চর্চার আতুর ঘর মায়ের তরী

বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ

লাকসামে ডোবা থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে ট্রাক্টর দিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ
