আ,লীগ নিয়ন্ত্রনে মুজিব বাহিনী নাকি মোস্তাক বাহিনী অনুসন্ধান প্রয়োজনঃএমপি তানসেন

বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের ১৪ দল প্রার্থী হিসেবে জাসদ নেতা একেএম রেজাউল করিম তানসেন নৌকার মনোনয়ন পাওয়ায় আসনের নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সাবেক বিএনপি নেতার পক্ষে ঈগল মার্কার ভোট করছেন। এমনকি নৌকার পক্ষে প্রচারোনায় অংশ নেয়ায় নন্দীগ্রাম পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বকুল হোসেন সহ দুই আওয়ামীলীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদানের ঘটনাও ঘটেছে। নৌকার পক্ষে কাজ করায় ৪জন নেতাকে তলব করা হয়েছে। এসব ঘটনায় আসনটিতে শেখ হাসিনার অস্তিত্ব ধ্বংসের পরিকল্পনার অভিযোগ এনে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও স্থায়ী পরিষদের সদস্য এবং বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ১৪ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন বলেছেন, বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামীলীগ সংগঠন মুজিব বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে নাকি খন্দকার মোস্তাক বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে, অনুসন্ধান প্রয়োজন। এবিষয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি পাঠাবেন বলেও জানান। তিনি অক্ষেপ নিয়ে বলেন, সাধারন জনগন যেখানে উন্নয়নের প্রতিক নৌকার পক্ষে কাজ করছে এবং ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সরকারে রেখে স্বাধীনতা উপভোগ করছে, সেখানে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা কিভাবে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেন? যে বিএনপি দলকে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বলা হয় সেই দলের সাবেক নেতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ঈগল মার্কা বিজয়ী করে তারা কেমন স্বাধীনতা পেতে চায়? বিষয়টি নিয়ে ১৪ দলীয় সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার সঠিক অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। তিনি ১৪ দলের বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষকে পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত করতে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামীলীগের জন্ম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ শক্র মুক্ত হয়। অথচ দেশ শক্র মুক্ত হওয়ার পরেও নিজ দলের স্বার্থপর ক্ষমতালোভী খন্দকার মোস্তাক বাহিনীর হাতে হত্যার শিকার হতে হয় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের। শুধুমাত্র বিদেশে অবস্থান করার কারনে মোস্তাক বাহিনীর হত্যা তান্ডব থেকে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। অথচ খন্দকার মোস্তাক ছিলেন দলের নিবেদিত কর্মী এবং বঙ্গবন্ধুর সব চাইতে কাছের একজন। শুধুমাত্র দলের এবং কাছের স্বার্থলোভী বেঈমানদের না চিনতে পারার কারনে বঙ্গবন্ধুকে পরিবার সহ জীবন দিতে হয়েছিল। অস্তিত্ব হারিয়ে ছিল আওয়ালীগ। পরে ১৯৮১ সালের ১৭ই মে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে এসে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব গ্রহন করেন। বলিষ্ট নেতৃত্বে সকল অপশক্তি রুখে দিয়ে দেশের শান্তিকামী জনগনের আস্থা ও ভালোবাসায় ভোটে জয়লাভ করে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা হারান। ২০০৪ সালে স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল জাসদ সহ ১৪ দল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব গ্রহন করে আওয়ামীলীগের সাথে যুক্ত হোন। ১৪ দল এক পরিবার হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তি বিরুদ্ধে লড়াই করে আজ দীর্ঘ ১৯ বছর ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। অপরদিকে বার বার পরাজিত হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি খন্দকার মোস্তাক রুপে আওয়ামীলীগে প্রবেশ করছে। বঙ্গবন্ধুর ন্যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আবারও আওয়ামীলীগ কে অস্তিত্বহীন করাই তাদের উদ্দেশ্য। শেখ হাসিনার আস্থাভাজন কিছু খন্দকার মোস্তাকের উত্তরসূরি পুনরায় তাদের বাহিনী নিয়োগ দিচ্ছে। আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তানদের দলে জায়গা না দিয়ে খন্দকার মোস্তাক আদর্শের ব্যক্তিদের দলে জায়গা করে দিচ্ছে। এসব ব্যক্তিরা দলে থেকে প্রকৃত আওয়ামীলীগ কর্মীদের মানুষিক টর্চার করে দল ছাড়তে বাধ্য করছে। কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে দল থেকে অব্যহতি দিচ্ছে। এক কথায় খন্দকার মোস্তাক বাহিনী আওয়ামীলীগ দলটি নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
বিষয়টি নিয়ে নন্দীগ্রাম পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বকুল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করা স্বাধীনতার পক্ষের সৈনিক কখনো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে অসম্মান করবেনা। কোন পরিস্থিতিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষে অবস্থান নিবেনা। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির পক্ষ নিয়ে নৌকার বিপক্ষে যাবেনা। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে স্বাধীনতার পক্ষে শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হয়েছি। সেই সাথে আওয়ামীলীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল সিদ্ধান্ত মেনে চলার প্রত্যয় নিয়েছি। সুতরাং দেশের স্বাধীনতার প্রতিক নৌকা মার্কার পক্ষে আছি এবং থাকবো। সেই সাথে পরিবার নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট ও দিবো। তাতে আওয়ামীলীগ সংগঠনে আমার জায়গা হোক বা না হোক। স্বাধীনতা উপভোগকারী বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন সৈনিক হয়ে থাকবো। আমাকে আটকাতে হলে মেরে ফেলতে হবে।
এবিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এমএসএম / এমএসএম

কেশবপুরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা তবিবুর এক সন্তানের জননী নিপা দাসকে নিয়ে চম্পট

মহেশখালীতে রাতে অপহরণের পর সকালে মিলল যুবকের লাশ

আবার রোহিঙ্গা ঢলের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

তানোরে চাষাবাদে গরুর বদলে বাড়ছে ঘোড়া দিয়ে মই চাষ

উল্লাপাড়ায় কষ্টি পাথরের মূর্তি পাচারকারী দুই জন গ্রেফতার

বরগুনায় তিন সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহী-১ আসনে শরিফ উদ্দিনের বিরোধিতা না বিএনপির বিরোধিতা

টেকনাফে মুক্তিপণে ফিরেছে অপহৃত ব্যবসায়ী

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

হাসিনা বাংলাদেশকে গুম-খুন আর লুটের রাজ্যে পরিণত করেছিল: আব্দুল খালেক

দাউদকান্দির ধারিবন গ্রামে একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ, পানিবন্দি কয়েকটি পরিবার

ভূরুঙ্গামারীতে ব্র্যাকের স্বপ্ন সারথি দলের জীবন দক্ষতা বিষয়ক ২৫তম সেশন অনুষ্ঠিত

রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার ডা:কে এম বাবর সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রীর অভিযোগ
Link Copied