দোহার-নবাবগঞ্জের ফলের বাজারে আগুন
ঢাকা জেলার দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে উঠেছে মৌসুমি ফল। চলছে হরদম কেনাবেচা। এছাড়া এ সময়ে কোভিড-১৯-সহ বেড়েছে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ। তাই ফলের চাহিদাও অনেক। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এসব ফলের রয়েছে ভীষণ চাহিদা। অতিথি আপ্যায়নেও এসব ফল দোহার-নবাবগঞ্জে আদর্শ খাবার।
দোহার উপজেলার বিশেষ করে জয়পাড়া বাজারসহ মেঘুলা, নারিশা, মুকসুদপুর, লটাখোলা, কার্তিকপুর ও বাংলা বাজার এবং নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা, বারুয়াখালী, শিকারীপাড়া, নবাবগঞ্জ বাজার, বাগমারা, কোমরগঞ্জ, গালিম, চুড়াইনসহ প্রায় প্রতিটি বাজারের এসব রসালো ফলের দাম আকাশ্চুম্বী। বিভিন্ন ফলের মধ্যে বিশেষ করে ডাব, আনারস, আখ, বিলাতিগাব, ডালিম এবং খেজুরের দাম মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালের বাইরে। কোভিড আক্রান্ত রোগীদের স্বজনদের এসব ফল কিনতে হিমশিম খেতে দেখা যায়। এদিকটায় যেন নজর নেই প্রশাসনের। বাজার লাগামহীন আর এই লাগামহীন বাজারে ফলের দামের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ।
রোগীর জন্য ডাব কিনতে আসা আলামিন জানান, আমি আর আমার আন্টির জন্য একটা ডাব কিনতে এসেছি। এসে দেখি ডাবে আগুন লেগেছে। আগে যে ডাব ৭০-৯০ টাকায় কিনতাম সে ডাব এখন ১৩০-১৫০ টাকা। দুটি ডাব কিনতে এসেছিলাম, ২টি ডাবের দাম ৩০০ টাকা চাইল। তাই একটাই কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
জয়পাড়া বাজারের ডাব বিক্রেতা বিল্লালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গাছ থেকেই ডাব পেড়ে এনে বাজারে বিক্রি করি। আমরা ডাব বেশি দামে কিনেছি সেজন্য বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তাছাড়া জয়পাড়ায় বেশ কয়েকটি হাসপাতাল থাকায় ডাবের চাহিদা বেশি। দূর থেকেও ডাব নিয়ে আসতে হয়৷ তিনি আরো বলেন, আগে যে পরিমাণ ডাবগাছ ছিল, এখন সে তুলনায় ডাবগাছ কম। তাই ডাবের দাম বেশি দিয়ে কিনে আনতে হয়।
অন্যদিকে গরম বেশি হওয়ায় দোহার-নবাবগঞ্জে বেড়েছে রসালো ফল আনারসের চাহিদা। বাগমারা বাজারে কথা হয় ফল ক্রেতা রবিউলের সাথে। তিনি জানান, বউ অসুস্থ তাই আনারস কিনতে এসেছি। কিন্তু এখন দেখি যে দাম তা আমাদের নাগালের বাইরে। এক জোড়া আনারসের দাম চাচ্ছে ২০০ টাকা। রমজান মাসেও এত দাম ছিল না। এরচেয়ে অন্যকিছু নিয়ে যাই।
এ বিষয়ে আনারস বিক্রিতা হানিফ ব্যাপারী বলেন, প্রথম প্রথম দাম একটু বেশি। আর বর্তমানে যে আনারস বাজারে আছে সেই আনারস বড় সাইজের। কিনতে ও ভাড়া দিয়ে আনতে যা খরচ হয়, এরচেয়ে নিচে বেচলে লাভ হয় না৷
এদিকে দোহার-নবাবগঞ্জের আরেকটি মৌসুমি ফল আখ ও গ্যান্ডারির দামও তুলনামূলক বেশি। আখ কিনতে আসা জয়পাড়া কলেজ গেটের আসিফ জানান, এক হালি গ্যান্ডারির দাম ৩০০ টাকা চায়। গ্যান্ডারি খাওনের চেয়ে পোলাপানরে চিনি দিয়া শরবত খাওয়াব। এখন আখ মৌসুম। এ সময় যদি এত দাম হয় তাহলে যারা গরিব মানুষ দিন আনে দিন খায়, তারা ক্যামনে খাইব। কোনকিছুরই কোনো সিস্টেম নেই। যার যেমন ইচ্ছা, সেমনে চলতাছে।
আখচাষি ও বিক্রেতা ইউসুফ (৩৫) জানান, গত বছর বন্যার পানিতে আখ ডুবে যায়। এতে আমাদের অনেক টাকা লোকসান হয়। আর এ বছর এমনিতেই আখের চাষ কম হয়েছে। সেজন্যই এখন আখের দাম একটু বেশি।
এই ব্যাপারে দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে রাব্বি বলেন, খুব শীঘ্রই দোহারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ন্যায়সঙ্গত বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হবে। যারা অন্যায্য দামে বিক্রি করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এমএসএম / জামান
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে কুমিল্লা-৬ আসনের মসজিদগুলোতে দোয়া ও মিলাদ
পবিপ্রবিতে ১৫ বছর ধরে অচল দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূ-কম্পন পরিমাপক যন্ত্র
জমে উঠছে কুমিল্লা-৫ আসনে জামায়াতে নির্বাচনী প্রচারনা
মান্দায় বিএনপি নেতা মতিনের পথসভা ও লিফলেট বিতরণে জনতার ঢল
এই বাংলায় কোনো বৈষম্য থাকবে না: ব্যারিস্টার ইউসুফ আলী
বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর লালমন বিরল রোগে আক্রান্ত অর্থাভাবে মিলছে না উন্নত চিকিৎসা
কাউনিয়ায় ওভারব্রিজ পরিদর্শনে উপসচিব ফজলে এলাহী
রায়গঞ্জে ৭ মাসে ১০ মৃত্যু, স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী
বোয়ালমারীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
ত্রিশালে জেঁকে বসেছে শীত, ফুটপাতে জমে উঠেছে বিক্রি
৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে কুমিল্লা -৬ আসনে জামায়াত নেতা দ্বীন মোহাম্মদ শোভাযাত্রা
আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড দেখাবে এ দেশের ছাত্র জনতা -মিয়া গোলাম পরওয়ার
সন্দ্বীপে ৫ শতাধিক পরিবারের চলাচলে স্বস্তি
Link Copied