ঢাকা সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

টিসিবির পণ্য নয়, নির্বাচনী যাতায়াত খরচ নিতে উপচে পড়েছে শিক্ষকরা


বাঁশখালী প্রতিনিধি photo বাঁশখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০-১-২০২৪ বিকাল ৫:১৬

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনে নির্বাচনে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিংসহ বিভিন্ন ভাবে ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেছে  শিক্ষক -শিক্ষিকাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতা। নির্বাচনী ডিউটি বাবত টাকা পেলেও পায়নি যাতায়াত খরচ। এতে যাতায়াত খরচ নিতে উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে উপচে পড়েছে তাঁরা।

জানা যায়, ৭ জানুয়ারি (রবিবার) নির্বাচনে চট্টগ্রাম -১৬ (বাঁশখালী) আসনের ১১৪ টি ভোট কেন্দ্রে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৪ শ শিক্ষক -শিক্ষিকাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মরতরা প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং, পুলিশং ও বিভিন্ন ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্ব পালনে যাতায়াত খরচ জনপ্রতি ১ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়নি যাতায়াত খরচ। যার ফলে বুধবার সকাল থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে যাতায়াত খরচ নিতে উপজেলা রিটার্নিং কার্যালয়ে উপচে পড়েছে, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা, মনে হয় যেনো টিসিবি পণ্য নিতে ভোক্তাদের দীর্ঘ লাইন। শিক্ষকরা সম্মানেপাত্র, কিন্তু এই ভাবে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রাখা অসম্মান শুধু তা নয় বরং হয়রানিও বটে।

১০ জানুয়ারি (বুধবার) সকাল থেকেই স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক -শিক্ষিকারা প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম ছেড়ে দিয়ে উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে যাতায়াত খরচ সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।

এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন শিক্ষক উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেছি। ওইদিন দায়িত্ব পালন বাবত ভাতা দিয়েছে, কিন্তু কেন্দ্রে যাতায়াত খরচ দেয়া হয়নি। প্রিসাইডিং অফিসারদের হাতে দিয়ে দিলে আমরা পেয়ে যেতাম। কিন্তু তা না করে নির্বাচন দায়িত্ব পালনকরা শিক্ষকদের হয়রানি করার জন্যে যাতায়াত খরচ আটকে রেখেছিল কতৃপক্ষ।অথচ পার্শ্ববর্তী উপজেলায় যারা দায়িত্ব পালন করেছে তাদের সবাই যাতায়াত খরচ বাবত জনপ্রতি ১ হাজার টাকা ও ডিউটির টাকাসহ একসাথে পেয়ে গেছে। কিন্তু  বাঁশখালীতে কোন ধরনের যাতায়াত খরচ প্রদান করা হয়নি।

কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেন, যাতায়াত খরচের টাকা পরে দেয়ার কথা বলে হয়তো রাঘববোয়ালরা ওই টাকা মেরে দিতে চেয়েছিল। তা না হলে একসাথে এইসব হয়রানি কেন?  প্রিসাইডিংদের মাধ্যমে দিয়ে দিলে আজকে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বাদ দিয়ে নিজের পকেট থেকে ২/৩ শ টাকা খরচ করে যাতায়াত খরচ নিতে উপজেলায় আসতে হতোনা। আমাদেরকে এভাবে হয়রানি করা মোটেও ঠিক হয়নি, এমন বক্তব্য দেন ওইসব শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন মোল্লার কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই ওই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা,কিন্তু কে বলতে পারবে? তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করেছে তাঁদের ডিউটি ভাতা ও যাতায়াত খরচ একসাথে কেন দেয়া হয়নি সেটা আমি জানিনা। কে জানে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা আপনারা খবর নিয়ে দেখলে হয়তো জানতে পারবেন।এমন রহস্য জনক জবাব দেন হারুন মোল্লা।

এমএসএম / এমএসএম

স্বাধীনতার পরে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বিএনপির জন্ম: ডা. মাজহার

বকশীগঞ্জে কৃষকের ৬১ শতক জমি ধান নষ্ট করে দিলো প্রভাবশালীরা

রায়গঞ্জে লাখো মানুষের ভরসা দড়িটানা নৌকা : জনপ্রতিনিধিদের কেউ কথা রাখেনি

দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে মেঘ ধরেছে: মো.শাহজাহান

ধামইরহাটে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বিজয়নগরে আসামী গ্রেফতার করায় অতর্কিত হামলায় এএসআই শেখ সাদী আহত

টেকনাফে মাদক সাম্রাজ্য: কাদের নিয়ন্ত্রণে ভয়ংকর চোরাচালান চক্র

হিট প্রজেক্ট প্রাপ্ত যবিপ্রবির জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের দুই শিক্ষককে সংবর্ধনা প্রদান

রাণীনগরের সেই শিক্ষক আনোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত

মাদারীপুরে ১৮০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১৬ জন

টাঙ্গাইলে ৩৩১২ প্রার্থী থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে ১২০ টাকায় ৫০ জনের পুলিশে চাকরি

উত্তরবঙ্গ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের অফিস উদ্বোধন

নতুন শপথের মাধ্যমে বরগুনায় বিএনপি'র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত