চরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে মৌলিক সেবার অপর্যাপ্ততা রয়েছে

তিস্তা যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদসহ ভাঙনের কবলে পড়ে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় ১৬৫টি চর,ডুবোচর। এসব চরে বসবাস করে প্রায় চার লক্ষ্য মানুষ। বিস্তৃত চরাঞ্চল তীব্র নদীভাঙন, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে এখানকার মানুষকে টিকে থাকতে হয়। তাদের প্রধান পেশা হচ্ছে কৃষি। এই কৃষির উপর নির্ভর করেই তারা খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকেন।
ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর কারণে একবারে বিচ্ছিন্ন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও গজারিয়া ইউনিয়ন। এসব এলাকায় রাস্তাঘাট নেই বললেই চলে। দুর্গম এ চরাঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌকা আর শুকনো মৌসুমে চরাঞ্চলের মানুষ পায়ে হেঁটে বা ঘোড়ার গাড়িতে করে চলাচল করে। এসব চরের মালামাল বহনের একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি। আর এ গাড়ি চালিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে প্রায় চার হতে পাঁচ শতাধিক পরিবার। উল্লেখিত ইউনিয়নগুলোর খাটিয়ামারি, জিগাবাড়ি, পেপুলিয়া, গাবগাছি, গলনা, জিয়াডাঙ্গা, সাতারকান্দি, রসুলপুর, খাটিয়ামারি, ফুলছড়ি, টেংরাকান্দি, বাজে ফুলছড়িসহ প্রায় ৫০টি এলাকায় কোনো যানবাহন চলাচলের উপায় না থাকায় চরের মানুষজন বালুময় পথে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন।
চরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্যসহ মৌলিক সেবার অপর্যাপ্ততা রয়েছে। দুর্বল শিক্ষাব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনা, দুর্গম ও জটিল যোগাযোগ ব্যবস্থা, ঝুঁকিপূর্ণ মাতৃস্বাস্থ্য, খাদ্যাভাব ও কৃষি উৎপাদনে সীমিত সুযোগ, কর্মসংস্থানের অভাব ও পণ্য বাজারজাতকরণের অসুবিধা রয়েছে যার প্রধানতম কারণ হচ্ছে যাতায়াত ব্যবস্থা। দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিশাল জনগোষ্ঠী বাদ পড়েই রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্যান্য দিক থেকে চরের মানুষ এগোতে পারছে না যোগাযোগের কারনে।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পাভেজ সকালের সময় এর প্রতিনিধি কে বলেন, চরাঞ্চল হচ্ছে অপার সম্ভাবনার একটা জায়গা। চরাঞ্চলগুলোতে প্রায় ৩০ ধরনের ফসলের চাষ হয়। এখানে যে কৃষক ৩০ শতাংশ জমিতে বছরে দুইবার ফসল ফলানোর সুযোগ পান, তার দারিদ্র্য বলে কিছু থাকে না। কারণ চর হচ্ছে শস্যভাণ্ডার। পলি মাটির জন্য এখানে জমিতে বেশি ফসল ফলে।
সীমিত সম্পদের তুলনায় অধিক জনসংখ্যার এই চর গুলো নিকট ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় যে চরাঞ্চলের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে, এই কথা এখনই দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায়। কিন্তু যে মানুষগুলো চরাঞ্চলের চরম আবহাওয়া সহ্য করে আমাদের জন্য খাদ্যের যোগান দিচ্ছেন, তাদের জীবনমান উন্নয়ন সুস্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা লক্ষ্য করা যায় না। আমি ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রায় ৫০ টি ছোট বড় রাস্তা নির্মাণ করেছি আমাদের এই চরাঞ্চলের মানুষের পরিবর্তন ঘটবে যদি যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রসারিত হয়।প্রাকৃতিকভাবেই এক মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি হয় ফসলের সবুজ পাতায় পাতায়। এসব চরে যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা রাস্তা, ঘাট ব্রিজ কালভারট করে এগিয়ে নেওয়া যায়, তাহলে আমুল পরিবর্তন হবে চরবাসীর জীবনে ।
এমএসএম / এমএসএম

মাতারবাড়িতে নারীদের বিকল্প আয়ের পথ খুলে দিল ইপসা

মানিকগঞ্জে যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার

লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি ২০২৫ জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

লন্ডনে বৃহত্তর কুমিল্লা জাতীয়তাবাদী পরিবারের মতবিনিময় সভা

তানোরের কৃষ্ণপুর স্কুল শিক্ষা বিস্তারে ভুমিকা রাখছে

শালিখায় পাটের চেয়ে কদর বাড়ছে পাটকাঠির

কোটালীপাড়ায় গরুচোর চক্রের দুই সদস্য গেপ্তার

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ
Link Copied