মহাজনরা বলে ডলারের ঘাটতি'দ্রব্যমূল্যোর উর্ধ্বগতির চাপে দিশেহারা মানুষ

কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সামান্য কমলেও দাম বেড়েছে এমন পণ্যের তালিকাই দীর্ঘ। লক্ষ্য করলে দেখা যায় গত এক বছরে শুধু চাল, ভোজ্যতেল ও মসুর ডালের দাম কিছুটা উঠানামা করলেও পেঁয়াজ, আলু, ডিম ও চিনির মতো অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে আজ জাত ভেদে চাউলের দাম ৫ হতে ৮ টাকা দাম বৃদ্ধি হয়েছে। আঠাইশ চাউল ৫২-৬৪ টাকা, কাজল লতা ৫৬-৬০ টাকা, সাধারণ মিনিকেট ৬২-৬৪ টাকা,পাম তেল ১৩৮-১৪২ টাকা, সুপার ১৪০-১৪৫ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭০ -১৭৫ টাকা, চিনি ১৪০ টাকা, আলু ৪০-৫০ টাকা, পেয়াজ ৭০ টাকা, রসুন ২৮০-৩২০ টাকা, ফুলকপি ৬০,টাকা বেগুন ৭০ টাকা,আদা ২৫০ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি চলছে
এছাড়াও বাজারে মাছ, মাংস ও সবজির দাম ওঠানামা করলেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্রয়লার মুরগির দাম বেশি ছিল। সাবান, টুথপেস্ট, প্রসাধনী, টিস্যুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশ বেড়েছে।
ব্যবসায়ী মুদি দোকানী আলমঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা আমাদের মুদি দোকানের ব্যবসার জন্য মহাজনদের কাছে গেলে প্রায় প্রতিদিনি কোন না কোন জিনিসের দাম বাড়তি দিতে হচ্ছে কারণ হিসেবে মহাজনরা বলে ডলারের ঘাটতি এবং সরকারি সংস্থাগুলো পেট্রোলিয়াম ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য, আমদানি ব্যয়ের বেশি হওয়ার কারণে আমদানিকারকরা দাম কমায়নি পাশাপাশি সরবরাহ শৃঙ্খলের অসঙ্গতিকেও দায়ী করেছেন,
রাজমিস্ত্রির লেবার সোলেমান মিয়া বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের যে দামে সংসার চালানি হামার বিপদ চাউল কিনি আনিলে আনাজপাতি আর তেমন কেনা যায় না।
রাজমিস্ত্রির সাথে লেবারি করি দিনে পাই ৪৫০ টেকা পতিদিন ফির কাম থাকে না,এই চিন্তায় আইতোত ( রাতে) ঘুমাবের পারম না চারজন সংসারে পাশাপাশি গরু ছাগল দিয়া সংসার চলাতে অনেক কষ্ট হয়া যায় তারপর অসুখ-বিসুখ হলে খরচ তো আছেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মী জানান, টিএডিএ দিয়ে আমাদের নির্ধারিত বেতন তারপর টার্গেট পূরণ না করতে পারলে কর্তন সহ নানান জটিলতায় চাকরি করাই কষ্টকর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যদি এতো না হতো হয়তোবা চাকরিই করতাম না।
এনজিও কর্মি মিজান আহমেদ বলেন , মুদ্রাস্ফীতির কারণে আমাদের অবস্থাও অন্যদের মতো নাজেহাল পরিবার ছেড়ে ভিন্ন জায়গায় চাকরি করছি নিজের খরচ মিটিয়ে যা বাঁচে তাতে পরিবার কোন রকম চলে যায় তারপর বড় ধরনের অসুখ হলে ধারদেনা করে সেটা মেটাতে হয়।
কঞ্চিপাড়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ এটিএম রাশেদুজামান রোকন বলেন, দ্রব্যমূল্যোর উর্ধ্বগতির চাপে দিশেহারা, ফলে উচ্চ বিত্তরা ভালো ভাবে জীবন সাজালেও নিদারুন কষ্টে প্রতিনিয়ত স্বপ্নভঙ্গ হচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যদের, এটি ভবিষ্যতে তাদের জীবনে নেতিবাচক জটিলতা সৃষ্টি করবে মানুষ একপ্রকার বাধ্য হয়েই শিক্ষা, চিকিৎসা ও বিনোদন খাতে ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে ।
বাংলাদেশে পণ্যের উচ্চমূল্য শুধু বাহ্যিক বা আন্তর্জাতিক বাজারের কারণেই নয় এর পেছনে আছে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের অভাব, বাজারের সিন্ডিকেট, প্রয়োজনীয় মনিটরিংয়ের অভাব ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকা।
এমএসএম / এমএসএম

মাতারবাড়িতে নারীদের বিকল্প আয়ের পথ খুলে দিল ইপসা

মানিকগঞ্জে যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার

লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি ২০২৫ জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

লন্ডনে বৃহত্তর কুমিল্লা জাতীয়তাবাদী পরিবারের মতবিনিময় সভা

তানোরের কৃষ্ণপুর স্কুল শিক্ষা বিস্তারে ভুমিকা রাখছে

শালিখায় পাটের চেয়ে কদর বাড়ছে পাটকাঠির

কোটালীপাড়ায় গরুচোর চক্রের দুই সদস্য গেপ্তার

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক
