ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

বোরো আবাদের অতিরিক্ত খরচে হিমসিম খাচ্ছেন কৃষক


মজিবর রহমান, গাইবান্ধা photo মজিবর রহমান, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ২৬-১-২০২৪ দুপুর ১২:১

গাইবান্ধা জেলাজুড়ে মাঠপর্যায়ে শুরু হয়েছে বোরো ধান চাষাবাদের কাজ। ইতোমধ্যে সেচযন্ত্র চালু করে কাঁদা মাটিতে সার প্রয়োগসহ চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক। তবে এবছরে বাড়তি খরচে নাভিশ্বাস করে ফেলছে তাদের। অর্থ সংকট আর খরচের ঊর্ধ্বগতির কারণে কৃষকদের কপালে পড়ছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। 

চলতি মৌসুমে বীজতলা তৈরির পর কুয়াশায় কিছু চারা নষ্ট হয়েছে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুতের দামও। বর্তমানে প্রতিবস্তা ইউরিয়া ও টিএসপি সার ১ হাজার ৩৫০ টাকা, এমওপি ১ হাজার টাকা, দস্তা প্রতিকেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এর আগে  প্রতিকেজি হাইব্রিড জাতের বীজ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায় কিনেছেন কৃষকরা। এছাড়া রোপণের সময় শ্রমিকের মজুরী ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে। তবে কাটা-মাড়াইয়ের সময় শ্রমিক সংকটে দেখা দিলে তাদের মজুরী গুণতে হবে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।  

সম্প্রতি গাইবান্ধার বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায়, কৃষকদের কাঙ্খিত বোরো আবাদের চিত্র। অন্যান্য বছরে এই চাষাবাদের সময় কৃষকের মুখে হাসি দেখা গেলেও এ বছর রয়েছে মলিন মুখে। হাল, সার-বীজ, বিদ্যুত, ডিজেল ও শ্রমিকসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর বোরো আবাদের অতিরিক্ত খরচে চরম হিমসিম খাচ্ছেন তারা। চাষাবাদের খরচ জোগাতে অনেকেই ঋণের ফাঁদে পড়ছেন। সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছেন দরিদ্র কৃষকরা।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সসম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর বোরো মৌসুমে ১ লাখ ২৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়। এ বছরে জেলার সাতটি উপজেলায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২১ হাজার ৩০৫ হেক্টর, সাদুল্লাপুরে ১৪ হাজার ৪০৮ হেক্টর, পলাশবাড়ীতে ১১ হাজার ৮০৯ হেক্টর, সুন্দরগঞ্জে ২৬ হাজার ৭৩০ হেক্টর, গোবিন্দগঞ্জে ৩১ হাজার ১০৫ হেক্টর, সাঘাটায় ১৪ হাজার ৭০৪ হেক্টর ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৮ হাজার ৩০৪ হেক্টর। ওইসব কৃষকের জমিতে সেচ দিতে বিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকুপ ৪৬০ টি, অগভীর ৩ হাজার ১০৫টি, ডিজেল চালিত অগভীর ৩ হাজার ১৩২ টি, এলএলপি সোলার বিদ্যুৎ ৮৪ ও সোলার সেচযন্ত্র রয়েছে ৩৫টি। এসব যন্ত্র দিয়ে বোরো চাষিদের সেচের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। 

বুড়াইল গ্রামের কৃষক আব্দুস মালেক মিয়া জানান, গত বোরোতে ১ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করছিলেন। এতে তার সর্বমোট খরচ হয়েছিল হেক্টর প্রতি ৯৭ হাজার টাকা। এ বছর লক্ষাধিক টাকা খরচ হতে পারে। ফলে চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদের বাড়তি খরচ নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।

বিদ্যুৎ চালিত অগভীর সেচযন্ত্রের মজিবর চালক রহমান বলেন বলেন, গত বোরো মৌসুমে গৃহস্থদের কাছ থেকে প্রতিবিঘা ১ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এ বছরের কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় ২ হাজার  টাকা নির্ধারণ করেছি। 

ফজলপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রহুল আমিন বলেন, সেচ কাজে কৃষকের কিছুটা খরচ বাড়বে। তবে তাদের লোকসান হবে না। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে ফলন বাড়াতে এবং খরচ কমাতে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। 

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক খোরশেদ আলম জানান, বোরো আবাদে কৃষকদের লাভবান করতে ইতোমধ্যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা বোরো ধান ঘরে তুলে লাভবান হবেন। 

এমএসএম / এমএসএম

মাতারবাড়িতে নারীদের বিকল্প আয়ের পথ খুলে দিল ইপসা

মানিকগঞ্জে যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার

লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি ২০২৫ জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

লন্ডনে বৃহত্তর কুমিল্লা জাতীয়তাবাদী পরিবারের মতবিনিময় সভা

তানোরের কৃষ্ণপুর স্কুল শিক্ষা বিস্তারে ভুমিকা রাখছে

শালিখায় পাটের চেয়ে কদর বাড়ছে পাটকাঠির

কোটালীপাড়ায় গরুচোর চক্রের দুই সদস্য গেপ্তার

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ