যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের শেষ ইচ্ছে ‘স্বীকৃতি’

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি বারইপটল গ্রামের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমান, বয়সের ভারে নূহ্য। ঠিকমতো চোখে দেখতে পান না। শুনতে পান না কানে। যুদ্ধের সময় কানের ক্ষতি হওয়ায় উচ্চস্বরে আওয়াজ ছাড়া কথা বুজতে পারেন না। বয়সের কারণে পেয়ে বসেছে নানা অসুখে। তারপরেও বেঁচে থাকার আকুতি। মুক্তিযুদ্ধে শত্রুদের পরাজিত করতে পারলেও জীবনযুদ্ধে তিনি একজন পরাজিত সৈনিক। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে আহত হওয়ার পরও পাচ্ছেন না কোন সরকারি সুযোগ-সুবিধা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার স্বীকৃতি দিলেও বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম নেই তার। জীবনের শেষ বেলায় এসে চাইছেন সরকারি স্বীকৃতি ও সম্মান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে চলে যান প্রতিবেশী দেশ ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ। সেখান তিনি ক্যাপ্টেন কৌষিক ও ধনরাজের অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে ঝাপিয়ে পড়েন রণাঙ্গনে। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকার কয়েকটি সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায় এসে মতিউর রহমানকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে যায় এবং ব্যাপক নির্যাতন চালায়। এতে তিনি মানুষিক ভারসাম্য ও শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেন। যুদ্ধ শেষ হলে দেশে ফিরে আসেন। তার এই বীরত্বের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ৫শ টাকা অনুদান দেয়া হয়। যার স্মারক নম্বর প্রতাকা ৬৪-৭২/ডিসি/৩৭৮। চেক নম্বর-ওকিউ-২৫৬১৭৩।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ি উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ মিহাজ উদ্দিন (গেজেট নম্বর-১৭৫৮) বলেন, মতিউর রহমান আমাদের সহযোদ্ধা। তিনি আমাদের সঙ্গে ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন তিনি। সেখান থেকে বেঁচে ফিরলেও মানুষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এরপর তার সঙ্গে আমাদের আর যোগাযোগ ছিল না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো, তাকে যেন যোগ্য সম্মান দেন।
এ বিষয়ে মতিউর রহমানের সহযোদ্ধা আলতাফ হোসেন বলেন, তিনি আমাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, গোপালপুর, সরিষাবাড়ি, মধুপুর এলাকায় যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধকালীন সময় মতিউর রহমান পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে এবং ব্যাপক নির্যাতনে শিকার হন। ভাগ্য ভালো ছিল এজন্য প্রাণে বেঁচে যান কিন্তু মানুষিক ভারসাম্য হারান। এরপর দীর্ঘদিন চিকিৎসায় কিছুটা ভালো হলেও শ্রবণশক্তি হারান। সহযোদ্ধা হয়েও আমরা তার জন্য কিছু করতে পারিনি। আপানাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে জীবনের শেষ বেলায় এসে সম্মানের সঙ্গে মরতে পারে- সেই ব্যবস্থা যেন তিনি করেন।
এ বিষয়ে মতিউর রহমানের ছেলে ফিরোজ বলেন, আমার বাবা বর্তমানে কিছুই কানে শুনতে পান না। তাকে চোখে চোখে রাখতে হয়। তিনি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হয়েও কোন প্রকার সরকারি সহযোগিতা পান না। দীর্ঘদিন তার চিকিৎসা চালিয়ে আসলেও এখন পারছি না। বাবার শেষ ইচ্ছে এবং আমাদের চাওয়া শেষ বয়সে এসে মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতিটুকু তিনি পান।
এমএসএম / এমএসএম

গাজীপুরে অন্তহীন অভিযোগে অভিভাবকদের তোপের মুখে প্রধান শিক্ষক!

ভূঞাপুরে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন সভা

রাণীশংকৈলে পুলিশের ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত

সবুজে ঢেকে যাক কালকিনি: পরিবেশ রক্ষায় আনসার-ভিডিপি’র অঙ্গীকার

অভয়নগরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত -১

তানোরে ব্যাক ডেট ও জালিয়াতি নিয়োগের তদন্তে হাজির হননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন

চট্টগ্রামে নেক্সাস ফেস্ট-২০২৫ সম্পন্ন

পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে: জামায়াতের অধ্যাপক মজিবুর রহমান

শ্রীপুরে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

অনার্সের খাতা দেখেন কলেজ হোস্টেলের গার্ড !
