শিক্ষার পরিবেশ সমুন্বিত রাখতে প্রয়োজন অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও কলেজ কতৃপক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টাঃ উপপরিচালক।

বর্তমান বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষাব্যবস্হার সাথে তাল মিলাতে যেয়ে বিভিন্ন ভাবে নিজ দেশের অর্থনৈতিক এবং সামজিক মুল্যবোধের কিছুটা অবক্ষয়ের কারনে শিক্ষা ব্যবস্হায় বাস্তব প্রয়োগে পরিপুর্ণ আশার আলো পাইনি বলে মন্তব্য করেন খুলনা অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক এস কে মোস্তাফিজুর রহমান। বর্তমান শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা মান,  শিক্ষকদের প্রতি আনুগত্য ও অভিভাবকদের ভুমিকার ক্ষেত্রে কতটুকু সমন্বয়ের আলো সামাজিকভাবে জনগন পাচ্ছে দৈনিক সকালের সময়ের প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তরে উপপরিচালক এস কে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তি জীবনে আলোই প্রভাবিত হয় সমাজে এবং পরোক্ষভাবে তা রাষ্ট্রের কল্যানে আসে কিন্ত তাদের নিজ পরিবারে বেড়ে উঠার মধ্য দিয়ে প্রথমে পারিবারিক শিক্ষা অর্জন করতে হবে এবং তা পরিবারের বাবা, মা,ভাই বোন নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে শিক্ষাটাই প্রকৃতভাবে  জীবনের মুল্যবোধ বুঝাতে সহায়ক হয়। 

দৈঃ সঃ সঃ- বর্তমান প্রশাসনিক কার্যক্রমে জনবল যথেষ্ট কিনা?

উপপরিচালকঃ- বর্তমান খুলনা অঞ্চলে সরকারী-বেসরকারী মিলে প্রায় কলেজ সংখ্যা ৭০০ টি, এই সংখ্যক কলেজ তদারকি করার ক্ষেত্রে আমাদের জনবল সীমিত, সেক্ষেত্রে কলেজ কতৃপক্ষের দায়িত্বশীল ভুমিকা ছাড়া সার্বিক মান উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে স্বল্প জনবল নিয়েও বিভিন্নভাবে কতৃপক্ষের নির্দেশনায় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের বাস্তবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ২ টি অভিভাবক মিটিং নিশ্চিত করন এবং প্রতি ৩ মাস পরপর শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সমন্বয়ে সম্মিলিত মিটিং করার প্রতি নির্দেশনা দেওয়া আছে কলেজ কতৃপক্ষের যার মাধ্যমে কোন সমেস্য বাহির হলে নিরুপন করতে প্রশাসনিকভাবে সহযোগিতা করা হয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা। দৈ সঃ সঃ- কিছুদিন আগে পুলিশ প্রশাসন এক প্রজ্ঞাপনে মাধ্যমে স্কুল,কলেজ, মাদ্রসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের আশেপাশের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাসহ আইন অমান্যকারীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়ার নির্দেশনা জারী করা হয়েছে, শিক্ষা অধিদপ্তরের ভুমিকা কেমন থাকবে বলে মনে করেন? 
উপপরিচালকঃ- পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনার পাশাপাশি শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রতষ্ঠান চলাকালীন সময় পর্যন্ত কোন শিক্ষার্থী অযাথা যেন বাহরে না যায়। 
দীর্ঘদিনের প্রচলিত প্রতিষ্ঠানে পাঠদানে গাফিলতি করে ব্যক্তিগতভাবে প্রাইভেট অথবা কোচিং বাণিজ্য প্রবাহমান থাকায় প্রতিষ্ঠানের নিজ ক্লাসের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট  পড়া এবং না পড়াদের ভিতর আন্তরিকতা এবং মুল্যায়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য দেখা যায়, এই বিষয়টিকে নিরোসন করে  কিভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্হার সৃষ্টি করবেন?দৈ সঃ সঃ- কিছুদিন আগে পুলিশ প্রশাসন এক প্রজ্ঞাপনে মাধ্যমে স্কুল,কলেজ, মাদ্রসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের আশেপাশের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাসহ আইন অমান্যকারীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়ার নির্দেশনা জারী করা হয়েছে, শিক্ষা অধিদপ্তরের ভুমিকা কেমন থাকবে বলে মনে করেন? 
উপপরিচালকঃ- পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনার পাশাপাশি শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রতষ্ঠান চলাকালীন সময় পর্যন্ত কোন শিক্ষার্থী অযথা যেন বাহরে না যায়। 
দীর্ঘদিনের প্রচলিত প্রতিষ্ঠানে পাঠদানে গাফিলতি করে ব্যক্তিগতভাবে প্রাইভেট অথবা কোচিং বাণিজ্য প্রবাহমান থাকায় প্রতিষ্ঠানের নিজ ক্লাসের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট  পড়া এবং না পড়াদের ভিতর আন্তরিকতা এবং মুল্যায়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য দেখা যায়, এই বিষয়টিকে নিরোসন করে  কিভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্হার সৃষ্টি করবেন?

উপপরিচালকঃ- নৈতিকতা একটি বড় শিক্ষা এই বিষয়টি আমাদের সমাজে কিছুটা অবক্ষয় হয়েছে এর থেকে পরিত্রান পেতে সকলকে সচেতন হতে হবে,তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্হা নেওয়া হবে। 
আমাদের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নত মানের শিক্ষা দানের ক্ষেত্রে বৈষম্যতা প্রভাব ফেলছে, এক্ষেত্রে বলা যায় বর্তমান শিক্ষকদের যে বেতন কাঠামো তাতে বিভাগীয় শহরগুলিসহ রাজধানীতে একজন শিক্ষকের পরিবার নিয়ে বাস করার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমস্যার ভিতর চলতে হয়। অপরদিকে গ্রাম্য পর্যায়ে লোকাল ম্যানেজমেন্টের অনঅভিজ্ঞতার রোষানলে নিজেদেরকে অনেকক্ষেত্রে বিকিয়ে দিতে হয়। সেক্ষেত্রে সুষ্ট পরিবেশের নিশ্চয়তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তরের আন্তরিকতা প্রয়োজন।  বর্তমান নতুন কারিকুলামের কারনে পুর্বের সিলিবাসের ভিত্তিতে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট অথবা কোচিং বাবদ একটি বাড়তি আয়ের সুযোগ ছিল অনেকের।  কিন্ত বর্তমান কারিকুলামে  প্রাইভেট অথবা কোচিং বাবদ বাড়তি আয়ের সুযোগ না থাকায় নির্দিষ্ট বেতনের উপর নির্ভরশীল অনেকে শহরের চাইতে কম খরচে থাকার জন্য মোফস্বলে থাকার কথা ভাববে। এক্ষেত্রে আন্তরিকভাবে পাঠ দানে আগ্রহ কমবে। কারন পেশাগত দায়িত্বের সাথে সকলেই তার নিজের পরিবারের কথা ভাববে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। এক্ষেত্রে শিক্ষার মান উন্নয়নে গ্রাম ও শহরের অবস্হানের চাহিদা অনুযায়ী সুযোগ -সুবিধার প্রতি আন্তরিকতা প্রকাশ করেন। 
অপর এক প্রশ্নে বড়বড় প্রতিষ্ঠাগুলোতে উন্নতশীল দেশের শিক্ষা কাঠামোর সাথে তালমিলিয়ে তাদের ভিত্তিতে নতুন কারিকলাম বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকা,ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের আস্হা ফিরে আসতে পারে বলে মনে করেন? 
উত্তরে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাকে একটি স্মার্ট পর্যায়ে নেওয়ার জন্য  শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে আধুনিকভাবে গড়ে তুলার ব্যবস্হা ইতিমধ্যে নেওয়া শুরু করেছে । ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের উন্নতশীল শিক্ষা পদ্ধতি কে অনুসরন করে বাস্তব জীবনে ব্যবহারিক প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকে উপলদ্ধি করলে দ্রুত এই কারিকুলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে অল্প দিনেই এর সুফল উপলদ্ধি করবে বলে মনে করেন। 
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে ৩৫ হাজারের বেশী। এর মধ্যে এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩০ হাজরের বেশী। এই পরিসংখ্যান বলে দেয় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের বেতন কাঠামো এবং প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নে ভুমিকা প্রয়োজন। 
সবশেষে শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক এস কে মোস্তাফিজুর রহমান ঈদ- উল- ফিতর উপলক্ষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের প্রতি শুভেচ্ছা জানান এবং নিজ দপ্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের পবিত্র ঈদের শুভ কামনা জানান এবং অফিস স্ট্যাফদের প্রতিষ্ঠান সংরক্ষনের সতর্কতামুলক মনোভাবের পাশাপাশি বর্তমান জানচলাচলের ক্ষেতে শিক্ষার্থীদের প্রতি সাবধানে এবং নিরাপদ যানবাহন চলাচলের প্রতি গুরাত্বারোপ করেন।