শালীসি দরবার ও ঠিকাধারী নিয়ে ব্যস্ত চেয়ারম্যানরা
গ্রাম হবে শহর : শ্লোগানে থাকলেও বাস্তবে নেই

‘গ্রাম হবে শহর’ এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে। প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দিবেন বলে গ্রামীণ উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্ত নির্বাচনী ইশতেহারে থাকলেও বাস্তবে কোন রূপরেখা দেখা যাচ্ছে না। গ্রামকে শহরে রূপান্তর বা শহরের ছোঁয়া পেতে হলে কি কি করণীয় তাহা বাস্তবে রূপরেখা পাওয়া কঠিন মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা গ্রামের বিষয় নতুন পরিকল্পনা না করলে কখনো এগিয়ে যাওয়া সম্ভব না ।
গ্রামকে শহরে রূপান্তর করতে যা যা প্রয়োজন
* শিক্ষার হার বাড়ানো
* নাগরীক সুবিধা নিশ্চিত করা
* পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদান
* আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা
* জনপ্রতিনিধিদের জবাব দিহিতার আওতায় আনা
শিক্ষার হার বাড়ানো: গ্রামে দারিদ্র পরিবারে টাকা পয়সার অভাবে পড়াশোনা করাচ্ছেন না পিতা-মাতা। প্রাইমারীর গন্ডিপার হলেই বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন সন্তানদের। মেয়েদের দেয়া হচ্ছে বাল্যবিয়ে। ফলে আমাদের গ্রামের যুবক/যুবতীদের উন্নয়নশীল জিবন যাত্রার প্রেক্ষিতে বেচেঁ নিচ্ছে বেকার জীবনের। তাদের বিষয় নূন্যতম এসএসসি/এইচএসসি পাস করা ব্যতিত বিয়ে ও বিদেশ পাড়ি জমানো দেয়া যাবে না।
নাগরীক সুবিধা নিশ্চিত করা: প্রতিটি নাগরীকের জীবনযাত্রার মান সু নিশ্চিত করা, তার রাস্ট্রিয় অধিকার ও সুবিধা গুলো জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃংখলা বাহিনীর নিশ্চিত করতে হবে। একজন নাগরীক তার জম্ম নিবন্ধন, চারিত্রিক সার্টিফিকেট, এনআইডি, প্রত্যায়নপত্র, জম্ম/মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ সনদ ইত্যাদি সেবা হয়রানী থেকে সহজ করণে সুুবিধা নিশ্চিত করা।
পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদান: গ্রামের অনেক পরিবার আছে, পরিবারের দারিদ্রতা দূও করণে নিজের মেধা ও শ্রম বিক্রি করে প্রবাসে গিয়ে দেশের জন্য রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে। অথচ তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। গ্রামের কিছু কু-চক্রী মহলের ইন্দনে এসকল প্রবাসী স্ত্রীরা বাজার/মার্কেটে গেলে বিভিন্ন রকমের যৌন হয়রানীর শিকার হচ্ছে, এসক প্রবাসী পরিবার ও তাদের সন্তানকে নিরাপত্তা দেয়া।
আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা: গ্রামের অনেক ছেলে/মেয়ে বেকার বসে থাকেন, তাদের কে সহযোগিতা করা বা কর্মদক্ষ্যতার কোন উদ্যোগ না থাকায় তারা গ্রামে বসে বিভিন্ন মাদকাসক্ত ও অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। আমাদের এক শ্রেনীর রাজনৈতিক নেতারা আছে এসকল বেকার ছেলে/মেয়েকে অপরাধ মূলক কাজে উৎসাহিত করে পরিবারকে বিভিন্ন হয়রানীমূলক কাজে লিপ্ত করছে। এসকল মোড়লদের থেকে গ্রামের নীরিহ মানুষকে হয়রানী থেকে মুক্ত রেখে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেয়া।
জনপ্রতিনিধিদের জবাব দিহিতার আওতায় আনা: গ্রামকে শহরে রূপান্তর করতে হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট প্রাথমিক সুবিধা; যেমন চারিত্রিক সনদ, জম্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ ইত্যাদির জন্য গিয়ে থাকেন। কিন্ত সরকারের নিয়মের বাহিরে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানীর শিকার হন তারা। এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়নে সালিশি দরবার, মামলা, হামলার বিচার, ঠিকাদারী নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি।
কিন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কি কি করতে হবে, কি কি করতে পারবেন না এনিয়ে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রানালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের করা প্রজ্ঞাপনে জানাযায়, প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যান তার পরিষদে মাসিক মিটিং করা, জম্ম/মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য আলাদা ভাবে কমিটি গ্রহন করা, পরিষদের মাসিক আয়/ব্যয় করার জন্য আলাদা কমিটি করা, বাড়ীঘর, দোকান, খামারসহ বিভিন্ন বিষয় কমিটি গ্রহন করা, শিক্ষা/স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি করা, কৃষি/প্রাণী সম্পদ ও অর্থ বিষয়ক কমিটি করা, পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন মূলক পরামর্শমূলক/সিদ্ধান্ত নিয়ে কমিটি গঠন করা, আইনশৃংখলা বিষয়ক কমিটি করা, জম্ম/মৃত্যু নিবন্ধন স্থায়ী কমিটি গঠনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া, স্যানেটিশন, পানি পয়নিঃস্কাশন কমিটি গঠন করা, সমাজকল্যাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা, পরিবেশ উন্নয়ন ও পরিবেশ রক্ষায় কমিটি গঠন করা, পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি করার লক্ষে কমিটি গঠন, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় কমিটি গঠন করা ইত্যাদি করার কথা থাকলেও আদৌ কোন ইউনিয়ন অফিসে এমন কমিটি করা হয়েছে কি না ? তাহলে কি করে গ্রাম হবে শহর? ।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা জনগণের সবচেয়ে কাছাকাছি থাকার ফলে মানুষের সমস্যাগুলো তারা সবচেয়ে ভালোভাবে জানার সুযোগ পান। সেই সমস্যা সমাধানে তারা আন্তরিক হলে অনেক উন্নয়ন স্থানীয় পর্যায়েই সম্ভব। তাই সরকারের এই শাসনামলে জনপ্রতিনিধিদের অধিকতর ক্ষমতায়ন করে জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হবে। তবে সেই সঙ্গে অনিয়ম করলে জনপ্রতিনিধিদের যথোপযুক্ত জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। তবে উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে যদি সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় না আনা হয় তাহলে আদৌ গ্রামকে শহরে বা শহরের ছোঁয়ায় আনা সম্ভব নয়।
এমএসএম / এমএসএম

কুয়াকাটায় পরিচ্ছন্নতা ও পর্যটকবান্ধব সেবা নিশ্চিতকরণে রেস্তোরাঁ কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

রামুর বাঁকখালী নদীতে ভাসলো ঐতিহ্যবাহী কল্পজাহাজ

দোহারে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁয় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ; ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

ক্ষুদে ক্রিকেটার ঈসার পাশে কুড়িগ্রাম জেলা ক্রীড়া অফিস

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন

কোনাবাড়ী থেকে নিখোঁজ গৃহবধূ নাটোর থেকে উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে অসহায় দরিদ্র উদ্যোক্তা মহিলাদের সেলাই বিষয়ক প্রশিক্ষনের শুভ উদ্বোধন

ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দীন খানকে জয়পুরহাটে সংবর্ধনা

নরসিংদীতে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬ জন, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮ জন

মেহেরপুরে ৩৫তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

টঙ্গীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্পে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পরিদর্শন
