ঢাকা বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

অবৈধ উপার্জনে সম্পত্তির পাহাড় গড়েছেন বিমান বাহিনীর সিপাহী


আরিফুর রহমান photo আরিফুর রহমান
প্রকাশিত: ২৪-৪-২০২৪ দুপুর ২:৪৭

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী গড়েছেন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। বিলাশ বহুল একাধিক ভবন ও বিঘা-বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। অবৈধ অর্থ স্ত্রীর নামে ও শশুর বাড়ির আত্মীয়দের নামে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে জমা রেখেছেন। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলাতে মোট সম্পত্তির ৮০ ভাগই ক্রয় করেছেন। এছাড়াও অন্যের জমি দখল, হামলা, মামলা দিয়ে ফাঁসানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার দাপটে এলাকার মানুষ ভয়ে আতংকে থাকেন। নাম তার মো. লিটন হোসেন শেখ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদর দপ্তরের ১ নং প্রহরী ও নিরাপত্তা ইউনিটে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে দুদক তার বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করছে।    
মোঃ লিটন হোসেন ১০ বছরের চাকুরী জীবনে প্রায় ২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি গড়েছেন। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলাতে তিনি জমি জায়গা এবং বাড়ি নির্মান করেছেন। বলতে গেলে ৮০ ভাগ সম্পত্তিই গড়েছেন ডুমুরিয়াতে। ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রায় ৫০ বিঘার মতো বিলান জমি ক্রয় করেছেন। অবৈধ আয়ে উপার্জিত সম্পত্তির প্রভাবে তার হাতে অত্যাচারিত হচ্ছেন এলাকায় বসবাসকারী সাধারন মানুষ। জমি-জায়গা, বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গড়েছেন লাঠিয়াল বাহিনী। তার লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য অহিদুল সানা, পিতা: হাচেন আলী, গ্রাম: গজেন্দ্রপুর, উপজেলা: ডুমুরিয়া, মোস্ত কারিকার, পিতা: বাবু কারিকার, গ্রাম:গজেন্দ্রপুর, উপজেলা: ডুমুরিয়া, জিন্নাত আলী , পিতা: নওয়াব আলী, গ্রাম: মির্জাপুর, উপজেলা: ডুমুরিয়া, আব্দুর রব মোড়ল, পিতা: ইমতিয়াজ মোড়ল ও তুষার মোড়ল, পিতা: ইমতিয়াজ মোড়ল, উভয় ঠিাকানা: তাফালডাঙ্গা, উপজেলা: ডুমুরিয়াসহ আরো তিন/চারজন ভাড়াটে দালালরা এসকল হামলা এবং জমি দখলে  মো. লিটন হোসেন শেখকে সাহায্য করেন। অন্যদিকে স্ত্রী এবং মেয়ের নামে ডুমুরিয়া বাজারে গড়েছেন আলিসান বাড়ি। নাম দিয়েছেন রজনীগন্ধা-১, রজনীগন্ধা-২ ও রজনীগন্ধা-৩। নিজ গ্রামে ছয় তলা ফাউন্ডেশনে তিনতলা আলিসান বাড়ি নির্মান করেছেন। জমি দখলের জন্য তার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে নিজ আত্বীয়সহ একাধিক মানুষকে লোক দিয়ে হামলা করিয়েছেন। আইনের চোখ ফাঁকি দিতে প্রায় সব সম্পত্তির মালিক করেছেন তার স্ত্রীর নামে। তার কন্যা নাবালিকা হওয়াতে কন্যার পক্ষে তিনি গ্রহীতা হিসেবে সম্পত্তির দলিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে, মোঃ লিটন হোসেন শেখ প্রায় দশ বছর ধরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকুরী করছেন। তিনি সিপাহী (এমওডিসি) পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। চাকুরীতে যোগদানের পূর্বে তার কোন কৃষি জমিজমা ছিলনা এবং গ্রামের বাড়ীতে তার পিতার বসবাসের ঠাই হিসেবে একটি ছনের ঘর ছিল। তার পিতা একজন হতদরিদ্র দিন মজুর ছিলেন। মোঃ লিটন হোসেন শেখের চাকুরীর প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যেই তিনি অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। সম্প্রতি মোঃ লিটন হোসেন শেখ অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে তিনটি আলীশান বাড়ী নির্মান করেছেন। জমি এবং বাড়ীসহ যার মূল্য তিন কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা। তার নিজের গ্রামের ছনের ঘরটির স্থলে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয় করে ৬ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট আধুনিক ডিজাইনে সুসজ্জিত করে রাজকীয় তিন তলা বাড়ী নির্মান করেছেন। তার নিজের নামে ক্রয় করেছেন ত্রিশ বিঘা বিলান জমি। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। সম্প্রতি তার স্ত্রী খাদিজা খাতুনের নামে প্রায় আশি লক্ষ টাকায় আট বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। তার মেয়ের নামে ক্রয় করেছেন প্রায় দুই একর জমি। 
দুদক সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে। তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের বিষয়ে পুর্নাঙ্গ প্রতিবেদন পেয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্য একটি অভিযোগ সূত্রে, সিপাহী (এমওডিসি) মোঃ লিটন হোসেন শেখ তার শ্বশুর বাড়ীতে যে সকল দাগ নম্বরে জমি ক্রয় করেছেন সেই একই দাগে অভিযোগকারীর পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করে সে জমি দখল করে নিয়েছেন। অভিযোগকারী বলেন, মো. লিটন হোসেন শেখ একজন ভূমি দস্যু ও সন্ত্রাসী। আমরা ভুক্তভোগিরা বহুবার এ ব্যাপারে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যত্তিদের সাথে আলোচনা করে ও থানা পুলিশের স্মরণাপন্ন হয়েও কোন মীমাংসা করতে পারি নাই। মো. লিটন হোসেন শেখ সন্ত্রাসী ও গুন্ডাপান্ডা ভাড়া করে তার শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও শ্যালকদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমাদের মারধর, নির্যাতন এবং অত্যাচার করেছেন। এমনকি বাড়ির নারীরাও তার অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। আমরা প্রতিবাদ করলে সে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি এবং প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছেন। 
ডুমুরিয়া উপজেলার বাসিন্দা জামাল তরফদার বলেন, মোঃ লিটন হোসেন শেখ বছরে দুই তিনবার গ্রামে আসেন। তখন গ্রামের তিন-চারজন ভূমিদস্যু-দালাল সবসময় তার সাথে বডিগার্ড হিসাবে থাকেন। তাদের দিয়েই জমি ক্রয় করান লিটন শেখ। তার লাঠিয়াল বাহিনীকে জমি দখলের জন্য ব্যবহার করেন। তবে কীভাবে এতো সম্পত্তির মালিক তিনি হলেন এ নিয়ে আশ্চর্য এলাকাবাসী।
মো. লিটন হোসেন শেখ তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন। তিনি বলেন, আমার সাথে কারো কোন বিরোধ নেই। দুদকে কেউ হয়তো অভিযোগ করেছে। আমি দুদক থেকে চাওয়া তথ্য দিয়েছি। 

 

এমএসএম / এমএসএম

শান্তিগঞ্জে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সভা

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ওএমএসের চালে অনিয়ম, যৌথ বাহিনীর অভিযানে যুবদল নেতা আটক

নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে কুড়িগ্রামে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন

মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

মানিকগঞ্জে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ: গ্রেফতার ১

দাগনভূঞায় সৌদি আরবস্থ ফেনী প্রবাসী ফোরামের ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

গাজীপুরে হোটেল হ্যাঁভেনে পুলিশের অভিযানে ৮ জন আটক, গণবিক্ষোভে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

শ্রীপুরে টুরিস্ট পুলিশ কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের মতবিনিময় সভা

আক্কেলপুরে বাজার মনিটরিংয়ে ইউএনও

নবীনগর তিতাস নদীতে অজ্ঞাত ব্যাক্তির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৭ দফা দাবিতে সারাদেশে ইট বিক্রি বন্ধ ঘোষনা বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

খালিয়াজুরীতে স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক ২

দাউদকান্দিতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে রিফাত হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার