ধীর গতিতে চলছে ভৈরব সেতু নির্মান কাজ

খুলনার ভৈরব সেতুর কাজে ধীর গতির কারনে স্থানীয়দের মধ্যে চরম হতাশা কাজ করছে। এ সেতু নির্মান হলে স্থানীয় জনপদের জীবন মান বদলে নতুন ধারা যোগ হবে। কিন্তু তা স্থবির হয়ে আছে। নানান জটিলতায় সেতু বাস্তবায়ন কাজ এগোচ্ছে না। তথ্য সূত্রে, ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর ভৈরব সেতু নামে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। এরপর ২০২০ সালের ২৭ জুলাই সওজ’র খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ভৈরব নদীর উপর সেতু নির্মাণকাজের দরপত্র আহ্বান করেন। প্রক্রিয়া শেষে ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিেিটডকে সেতুর নির্মাণকাজ দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে খুলনার ভৈরব সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় কাজ চলছে ধীরগতিতে। দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্প। ভৈরব সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু থেকে এ প্রায় ৩ বছর অতিবাহিত হলেও পুরাপুরি নির্মাণ হয়েছে শুধমাত্র সাতটি পিলার। তবে, ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা অনিয়ম জটিলতার পর বর্তমানে সেতুর ডিজাইন পরিবর্তনের কারণে পুরোপুরি কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্রুত ডিজাইন পরিবর্তন হয়ে এলেই সেতুর নির্মাণকাজ আবার শুরু হবে। তবে সেতুর জায়গা এখনো পুরোপুরি সেতু বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষের জিম্মায় আসেনি। দিঘলিয়া অংশে স্থাপনা নিলাম ও ভাঙা হলেও গাছপালা ও মসজিদ স্থানান্তরিত ও অপসারণ করা হয়নি। ভৈরব সেতু বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ডিপিএম জানান, সেতুর ডিজাইন পরিবর্তন করে নকশা পাঠানো হয়েছে। নতুন ডিজাইনে ওভার রোড ও মূল ব্রিজের প্রস্থতা বাড়বে। সেতুর দৈর্ঘ্যও বৃদ্ধি পাবে। মূল সেতুসহ সেতুর দুই পারের ওভার রোড ও মূল ব্রিজ চওড়া হবে ১০.২৫ মিটার। যা পূর্বে ছিল ফুটপাত বাদে ৭.৩ মিটার। নতুন ডিজাইনে ফুটপথ যুক্ত থাকবে। মূল ব্রিজের দুই প্রান্তের পিলারের দূরত্ব ১০০ মিটারের পরিবর্তে ১৬০ মিটার করা হবে। অর্থাৎ মূল সেতু ১০০ মিটারের পরিবর্তে ১৬০ মিটার দীর্ঘ হবে। নতুন ডিজাইনে পিলারের কোনো পরিবর্তন হবে না। শুধু অত্যাধুনিক সিমেন্টের সংযোগে পাশে রড ঢালাই দিয়ে সাইড পিলার মোটা ও ক্যাপ সম্প্রসারণ করা হতে পারে। তবে নতুন ডিজাইন ও নকশা না আসা পর্যন্ত কিভাবে পিলার বা ক্যাপ চওড়া করা হবে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছেনা। তবে নতুন ডিজাইনের নকশা আগামী সপ্তাহের মধ্যে চলে আসবে বলে। সেতুর সাইডে জনবল এলেই খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। এদিকে, ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়াই ২০২১ সালের ২৪ মে সরকারি খাস জমির ওপর সেতুর ২৪ ও ২৫ নম্বর পিলার নির্মাণকাজের মধ্য দিয়ে খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত ভৈরব সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর মধ্যে ভৈরব সেতুর দিঘলিয়া প্রান্তে ৬টি এবং শহরাংশে নদীর তীর সংলগ্ন ১টি পিলার নির্মাণ হয়েছে। ভৈরব সেতুর দিঘলিয়া অংশের ফুল পিলারের বাকি আটটি পিলারের কাজও চলছে। কিন্তু বর্তমানে সেতুর নির্মাণ কাজ কয়েক মাস ধরে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। সেতুর দিঘলিয়া প্রান্তে কাজ চলমান থাকলেও শহরাংশ পশ্চিমাংশ রেলিগেট থেকে দৌলতপুর মুহসিন মোড় পর্যন্ত সেতুর নির্মাণকাজ থমকে আছে। এ প্রান্তে সেতরু নির্মাণ কাজের জন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা অধিগ্রহণ হলেও অধিগ্রহণকৃত জায়গা থেকে কোনো স্থাপনা এখন পর্যন্ত অপসারণ করা হয়নি। জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হয়নি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। রেলওয়ের জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়াও অনেক পিছনে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় দফা মেয়াদ বাড়ানো হলেও ভৈরব সেতুর নির্মাণকাজ চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হচ্ছে না। এরই মধ্যে তৃতীয় দফায় আরো ২ বছর সময় বৃদ্ধির প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর সেতু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেতুর প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী এস এম নাজমুল হাসান জানান, সেতুর দিঘলিয়া প্রান্তে ১৩৪ টি পাইল রয়েছে যার সবগুলো পাইলের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রান্তে ১৩টি পিলারের মধ্যে এরই মধ্যে ৭ টি’র কলাম ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। ১৩ টি পিলারের মধ্যে ৯ টি’র পাইল ক্যাপের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৪ টি’র কাজ চলমান রয়েছে। সেতুর শহরাংশে জায়গা বুঝে না পাওয়ায় আমরা কাজ শুরু করতে পারিনি। কাজে লাগাতে পারছি না পাইলিং মেশিন। খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে আমাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে খুবই তাড়াতাড়ি সেতুর শহরাংশের অধিগ্রহণকৃত জমি বুঝিয়ে দেয়া হবে। এরই মধ্যে পরিবর্তিত নকশাও চলে আসবে। খুব শিঘ্রই সেতুর উভয় প্রান্তে পিলার নির্মাণ ও নির্মিত পিলারের সম্প্রসারণ কাজ শুরু হবে। এ পর্যন্ত ভৈরব সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মোট অগ্রগতি হয়েছে ৩৫ শতাংশ। আর সেতুর নির্মাণকাজের অগ্রগতি হয়েছে ১২ শতাংশ। নির্মাণকাজের সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়ে ২ বছরের প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। সেতুর নির্মাণকাজে ধীর গতির জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি রয়েছে। কাজের গতি বাড়ানোর জন্য তাদেরকে সতর্কীকরণ নোটিশও প্রদান করা হয়েছে। খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ জানান, অর্থের কোনো সংকট নেই। রেলওয়ের জায়গা নিয়ে জটিলতা খুব শিঘ্রই সমাধান হবে। আমরা ভৈরব সেতুর কাজ খুব শিঘ্রই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি।
এমএসএম / এমএসএম

শান্তিগঞ্জে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সভা

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ওএমএসের চালে অনিয়ম, যৌথ বাহিনীর অভিযানে যুবদল নেতা আটক

নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে কুড়িগ্রামে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন

মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

মানিকগঞ্জে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ: গ্রেফতার ১

দাগনভূঞায় সৌদি আরবস্থ ফেনী প্রবাসী ফোরামের ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

গাজীপুরে হোটেল হ্যাঁভেনে পুলিশের অভিযানে ৮ জন আটক, গণবিক্ষোভে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

শ্রীপুরে টুরিস্ট পুলিশ কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের মতবিনিময় সভা

আক্কেলপুরে বাজার মনিটরিংয়ে ইউএনও

নবীনগর তিতাস নদীতে অজ্ঞাত ব্যাক্তির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৭ দফা দাবিতে সারাদেশে ইট বিক্রি বন্ধ ঘোষনা বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

খালিয়াজুরীতে স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক ২
