কামারখন্দে ৪ টি ইউনিয়ানে চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা
কামারখন্দে চুরি ঠেকাতে চেকপোস্ট বসিয়ে পাহারা দিচ্ছে এলাকাবাসী। তদারকি করছে উপজেলা প্রশাসন ও কামারখন্দীসকদেয় থানা পুলিশ।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ভদ্রঘাট, ঝাঐল, জামতৈল, রায়দৌলতপুর ইউনিয়নে চার জনের গ্রুপে ভাগ হয়ে বাঁশের লাঠি ও টর্চ লাইট নিয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন এলাকাবাসী।
ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল্লাহ আল মারুফ জানান, থানার ওসি ও চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমরা চেকপোস্ট বসিয়েছি। সামনে কোরবানির ঈদে যেন কোনভাবেই আমাদের এলাকা থেকে গরুসহ মূল্যবান জিনিস চুরি না হয়। এজন্য রাতে কোন মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ট্রাক যেতে নিলেই থামিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়।
১নং ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নান্দিনা কামালিয়া গ্রামের পাহারাদার মোঃ সোহেল রানা বলেন, গত কয়েকমাস ধরে আমাদের এলাকায় গরু, ব্যাটারি চালিত ভ্যানসহ মূল্যবান জিনিস চুরি হয়েছে। সামনে কোরবানির ঈদে যাতে কৃষকের গোয়াল থেকে গরু চুরি না হয় এজন্য আমরা রাতে পাহারা দিচ্ছি।
রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ আকন্দ বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের নির্দেশনায় আমরা বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে চুরি ঠেকানোর চেষ্টা করছি।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. রেজাউল ইসলাম জানান, চুরি ঠেকাতে মিটিং করে ৩৬টি ওয়ার্ডের ৩৬টি স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এতে তদারকি করছে পুলিশ, এছাড়া রাতে পুলিশের ৫টি টিম কাজ করে যাচ্ছে।
গত ৫-৬ মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিনে রাতে মিলিয়ে প্রায় ১৫-১৮টি স্থানে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। এতে গরু চুরি হয়েছে প্রায় ১৮-২০ টি। চুরির তালিকায় রয়েছে ব্যাটারি চালিত ভ্যানসহ নগদ টাকাও।
এমএসএম / এমএসএম