ঢাকা বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

নিলাম না করেই ডুমুরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন বিক্রয়ের অভিযোগ


আরিফুর রহমান photo আরিফুর রহমান
প্রকাশিত: ২৮-৫-২০২৪ দুপুর ১২:০

ডুমুরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিলাম না করে বিদ্যালয়ের ভবন এবং আসবাবপত্র বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও সরকারি বরাদ্দের অর্র্থ আত্মাসাৎ এবং ভর্তি বানিজ্যসহ স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক সালমা রহমান এবং শিক্ষক রতন বিশ^াসের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা এসকল অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতা থেকে পরিত্রান পেতে চান এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবী জানান। অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষক স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। কিন্তু বর্তমানে তার কর্ম অবহেলা এবং অনিয়মের কারনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বিদ্যালয়ের অন্যান্যরা এবং অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ের সরকারি বরাদ্দের অর্র্থ ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে = আত্মাসাৎ করা হচ্ছে। এছাড়াও দীর্ঘদিন যাবৎ ভর্তি বানিজ্য হচ্ছে বিদ্যালয়টিতে। এ নিয়ে ডুমুরিয়ার সাধারন মানুষরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। শুধু প্রধান শিক্ষক নন। প্রধান শিক্ষককে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক রতন বিশ^াস নানান অনিয়মে সহযোগিতা করেন। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের মাঠের পশ্চিম দিকে একটি বিজ্ঞান ভবন এবং একটি টিনশেড বিল্ডিং প্রধান শিক্ষক সালমা রহমান এবং শিক্ষক রতন বিশ্বাস কোনরূপ নিলাম ছাড়া গোপনে বিক্রয় করেছেন। কিন্তু নিয়ম বিধি মোতাবেক ভবন দুটি কোনরুপ টেন্ডার ছাড়া বিক্রয় যোগ্য নয়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিক্রয়কৃত বিজ্ঞান ভবনটি সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছে। ভবনটি সম্পূর্ন ব্যবহার উপযোগী ছিলো। বিজ্ঞান ভবনের একটি রুমে পদার্থ বিজ্ঞানের ক্লাস ও অন্য রুমে রসায়ন ও জীব বিজ্ঞানের ক্লাস করানো হতো। অন্যদিকে, টিনশেড বিল্ডিংয়ের টিনের ওপরে হালকা মরিচা পড়েছিল এবং দেওয়ালে রং উঠে গিয়েছিল। যার কারণে ওই কক্ষ রুমে ক্লাস নেয়া হতো না। টিনশেড বিল্ডিং ভবনের কক্ষ দুটির একটিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সরকারি বই রাখার জন্য ব্যবহার করতো। অন্য কক্ষটি মেয়েদের কমন রুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। নিলাম ছাড়া বিক্রয় করা ভবন দুটির রড ও গ্রিলের বাজার মূল্য প্রায় লক্ষ্য টাকার অধিক। গ্রিল, কলাপসিবল গেট এবং কাঁঠের দরজা উন্নত মানের ছিলো। বিজ্ঞান ভবনের সাথে স্থায়ীভাবে বসানো কাঠের আলমারি এবং টেবিল ছিল। এসকল টেবিলে ব্যবহারিক ক্লাসের রাসায়নিক দ্রব্য রাখা হতো। ব্যবহৃত আলমারি এবং তাকগুলো গোপনে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাপ্ত অর্থ রাজস্ব খাতে জমা না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। স্কুলের বর্তমান মেইন গেটের স্থলে একটি লোহার গেট ছিলো। সেই লোহার গেট বিক্রয় করেও অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। স্কুলে নির্মানাধীন ছয়তলা ভবনের জায়গায় দুটি নারকেল গাছ, চারটি মেহগিনি গাছ, একটি বহুবর্ষী শিরিষ গাছ এবং কয়েকটি আমগাছ ছিলো। এ সকল গাছ কোনো টেন্ডার ছাড়া বিক্রয় করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রয় বাবদ প্রাপ্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। অন্য একটি অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা রহমান ১৯৮৮ সাল থেকে সহকারী  শিক্ষক হিসেবে এবং পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এই স্কুলে কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘদিন স্কুলে কর্মরত কারনে তিনি স্বেচ্ছাচারিতা এবং অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পেেড়ছেন। যা নিয়ে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তৈরী হয়েছে অনাস্থা। স্কুলের সরকারি বরাদ্দের অর্থে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় না করে নকল ভাউচার করে বরাদ্দের টাকা উত্তোলোন করা হয়েছে। স্কুলের ল্যাপটপ এবং দামি দূরবীন যন্ত্র প্রধান শিক্ষক এবং রতন বাবু নিজ বাড়িতে নিয়ে রেখেছেন। রতন বাবু ২০১৭ সাল থেকে এই স্কুলে কর্মরত আছেন। এছাড়াও ভর্তি বাণিজ্য, ফরম বিক্রির টাকা নিয়ম অনুযায়ী ৫০% শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ভাগ করে দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা কাউকে দেয়া হয়না। স্কুলের প্রশাসনিক কার্যক্রম সরকারি নিয়মে পরিচালিত হয় না। শিক্ষক রতন বিশ^াস বিদ্যালয়ে না পড়িয়ে নিজের বাসায় কোচিং বাণিজ্য পরিচালনা করেন এবং শিক্ষার্থীদের তার কোচিং সেন্টারে পড়ার জন্য নানান কৌশলে চাঁপ প্রয়োগ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ে এখন কোন প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মনীতি নেই। একচ্ছত্র স্বেচ্ছাচারিতায় চলছে বিদ্যালয়। গুটি কয়েক লোকের মাধ্যমে কোন জবাবদিহিতা ছাড়াই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। ভর্তি বানিজ্যের কারনে বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ভর্তি বানিজ্যের কারনে এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম হারিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রায়ই বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ নিয়ে বিদ্যালয়ে গন্ডগোল লেগেই থাকে। আমরা সন্তানদের সুশিক্ষা নিশ্চিতের জন্য বিদ্যালয়ে পাঠাই কিন্তু এ ধরনের সমস্যা লেগে থাকলে বিদ্যালয়ের সঠিক পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে , একটা প্রসেস করে বিল্ডিং ভাঙ্গা হয়েছে বলে তিনি জানিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। শিক্ষক রতন বিশ^াসের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে তাকে পাওয়া যায়নি। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডুমুরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, আমি ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদানের পর এ ধরনের কাজ বিদ্যালয়ে হয়নি। আমি যোগদানের পূর্বে হতে পারে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে নিয়ম অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

এমএসএম / এমএসএম

কুমিল্লা সীমান্তে সোয়া ১ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ বাজি জব্দ

শান্তিগঞ্জে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সভা

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ওএমএসের চালে অনিয়ম, যৌথ বাহিনীর অভিযানে যুবদল নেতা আটক

নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে কুড়িগ্রামে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন

মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

মানিকগঞ্জে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ: গ্রেফতার ১

দাগনভূঞায় সৌদি আরবস্থ ফেনী প্রবাসী ফোরামের ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

গাজীপুরে হোটেল হ্যাঁভেনে পুলিশের অভিযানে ৮ জন আটক, গণবিক্ষোভে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

শ্রীপুরে টুরিস্ট পুলিশ কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের মতবিনিময় সভা

আক্কেলপুরে বাজার মনিটরিংয়ে ইউএনও

নবীনগর তিতাস নদীতে অজ্ঞাত ব্যাক্তির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৭ দফা দাবিতে সারাদেশে ইট বিক্রি বন্ধ ঘোষনা বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

খালিয়াজুরীতে স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক ২