ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

গ্রেনেড হামলার কথা আগেই শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলাম : সাঈদ খোকন


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০-৮-২০২১ বিকাল ৭:৪

২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার দুদিন আগে এ ধরনের হামলার আশঙ্কার কথা তৎকালীণ বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে জানানো হয়েছিল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তার বাবা ঢাকার সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফের নির্দেশে নিজেই শেখ হাসিনাকে এ বার্তা পৌঁছে দেন বলে জানিয়েছেন। শুক্রবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা, স্মৃতির পাতা থেকে জানা অজানা দুই একটি কথা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর আলী।

সাঈদ খোকন বলেন, সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করতে আব্বা (মেয়র মোহাম্মদ হানিফ) আমাকে তার (শেখ হাসিনা) কাছে পাঠিয়েছিলেন। আমার বাবা মোহাম্মদ হানিফ তথ্য পেয়েছিলেন কিছু একটা হতে পারে। আমাকে সুধাসদনে পাঠিয়েছিলেন নেত্রীকে বার্তা পৌঁছে দিতে। নেত্রী সাংগঠনিক সফর শেষে সুধাসদনে আসেন এবং বিশ্রাম নেন। কারো সঙ্গে দেখা করছিলেন না। রাত তখন ১০টা পেরিয়ে গেছে। আমি সুধাসদনে উপস্থিত হই। প্রয়াত বজলু ভাইয়ের মাধ্যমে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করলাম। তাকে জানালাম, আপনাকে জানানোর জন্য আব্বা আমাকে পাঠিয়েছেন। সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে একটি আশঙ্কাজনক বার্তা আপনাকে পৌঁছে দিতে হবে।

হানিফপুত্র বলেন, আমি নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) বললাম, একটা সম্ভাব্য হামলা চূড়ান্ত হয়েছে। সূত্রমতে, হামলাকারীরা ঢাকার ভেতরে চলে এসেছে। তাদের সম্ভাব্য হামলার স্থান সুধাসদনের এই বাসা, আপনার যাতায়াতের পথ এবং আমাদের অনুষ্ঠানস্থল। আব্বা বলেছেন, যে কোনোভাবেই হোক আপনাকে আমাদের বাসায় (নাজিরাবাজার) চলে যেতে। এখানে আপনি নিরাপদ নন। আমি আরো বললাম, আপনারও (শেখ হাসিনা) অনেক সূত্র থাকতে পারে। আপনি একটু কনফার্ম করে নেন। যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

খোকন বলেন, পরে নেত্রী কিছুক্ষণ চুপ থেকে একটু হেসে বললেন, এত ভয় পেলে কি রাজনীতি হয়? আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। এ দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবনের সামান্য মায়া তার চেহারায় দেখতে পাইনি। কত বিশাল সাহসের অধিকারী একটা মানুষ তিনি। নেত্রী আমাকে বাসায় পাঠিয়ে দিলেন। বললেন, দেখা যাবে কী হয়।

সাঈদ খোকন বলেন, আমি নিচে এসে বসে রইলাম। আমার মন মানে না। সুধাসদনে আক্রমণ হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। আমি দীর্ঘসময় সেখানে বসে রইলাম। মন চাচ্ছিল না এ অবস্থায় চলে যেতে। নেত্রী আমার কাছে খবর পাঠালেন, বাসায় চলে যেতে। পরদিন অনুষ্ঠান শুরু হলো। প্রথম বোমাটি এসে পড়ল ঠিক আমার কাছাকাছি। মনে হলো দুটি পা ঝলসে গেল। এক লাফে ট্রাকের মধ্যে উঠে গেলাম। আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না আমার পা আছে কী নেই। আমার বাবা মানবঢাল তৈরি করে নেত্রীকে বাঁচালেন। তার শরীরে স্প্লিন্টারের অনেক আঘাত ছিল। মাথা থেকে অঝোরে রক্ত ঝরছিল। তাকে বাঁচাতে পারিনি।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এমন একটি হামলা হয়েছে। সেখানে তারেক রহমানের যাবজ্জীবন সাজা হলো। তিনি এখন লন্ডনে আয়েশ করে জীবনযাপন করছেন। তার শুধু যাবজ্জীবন নয়, তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় পুনর্বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। একজন আহত ও বাবাহারা পরিবারের সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে এটাই তার একমাত্র দাবি বলে জানান হানিফপুত্র সাঈদ খোকন।

জামান / জামান

জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধসহ ৫ দাবি জামায়াতের, সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা

‘সরকার-উপদেষ্টারা মাহফুজদের ব্যবহার করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে’

সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন পরস্পর নির্ভরশীল নয়: সালাহউদ্দিন

ডাকসুর বিজয়ীদের অভিনন্দন, শিবির নাম প্রচার নিয়ে প্রশ্ন সালাহউদ্দিনের

বদরুদ্দীন উমর আর নেই

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ

নুরকে সুস্থ দেখানোর একটি পরিকল্পনা চলছে : রাশেদ খাঁন

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ডাকসুতে বিজয়ী হবে ছাত্রদল : রিজভী

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তারেক রহমান: আমির খসরু

হঠাৎ উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানালেন সারজিস

বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদল