গুরুদাসপুরে ভূমিহীন-গৃহহীনদের মাঝে জমি ও ঘর হস্তান্তর

সহায় সম্বল বলতে নিজেদের কিছুই ছিলনা। ভিক্ষা করে যা পেতেন তাতেই কোনোমতে পেট চলতো। রাত এলেই অন্যের জায়গায় পাতা ঝুপড়িতে আশ্রয় নিতে হতো। সেখানে যতটুকু ঘুমাতেন, ভাবনার জায়গাজুড়ে ততটুকুই উচ্ছেদের দুশ্চিন্তা ছিল।
সুলেখাদের হৃদয়ে বাসা বাধা এই দুশ্চিন্তা এক দিনের নয়! প্রায় দশ বছর ধরে এই অনিশ্চয়তা তাদের জীবনের বড় অংশজুড়ে ঠাঁই করে নিয়েছে। তবে এখন আর সুলেখাদের দুশ্চিন্তার পারদ গিলতে হবে না। ভূমিহীন প্রতিবন্ধীসুলেখাপ্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন। পেয়েছেন মাথা গোঁজার নিরাপদ আবাস্থল। এবারের ঈদ নিজেদের ঘরে করতে পারবেন বলে উচ্ছাস প্রকাশ করে সুলেখা বেগম সকালের সময়’কে জানান- জন্ম থেকেই তিনি প্রতিবন্ধী। নিজেদের জমি জিরাত না থাকায় প্রতিবেশির পতিত জমিতে বাঁশের ঝুপড়ি বানিয়ে সেখানেই স্বামী সন্তান নিয়ে ঠাসাঠাসি করে বাস করতেন। সাধ্যমত শ্রম বিক্রি আর মাঝে মাঝে ভিক্ষা করে তাদের দিন কাটলেও থাকার জায়গা নিয়ে জটিলতা ছিল। ছিল উচ্ছেদের ভয়।
প্রতিবন্ধীসুলেখার বাড়ি গুরুদাসপুরের মশিন্দা ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামে। স্বামী ও দুই মেয়ে নিয়ে তাদের সংসার। বড় মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ও ছোট মেয়ে শিশু শ্রেণিতে লেখা-পড়া করছে।
ভিক্ষুক আয়নাবিবি সকালের সময়’কে জানান- জন্ম থেকেই তিনি প্রতিবন্ধী। নিজেদের জমি জিরাত না থাকায় প্রতিবেশির পতিত জমিতে বাঁশের ঝুপড়ি বানিয়ে সেখানেই স্বামী সন্তান নিয়ে ঠাসাঠাসি করে বাস করতেন। সাধ্যমত শ্রম বিক্রি আর মাঝে মাঝে ভিক্ষা করে তাদের দিন কাটলেও থাকার জায়গা নিয়ে জটিলতা ছিল। ছিল উচ্ছেদের ভয়।
উচ্ছাসিত কন্ঠে আয়না বিবি বলেন- তারা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরে উঠতে যাচ্ছেন। এখন আর তাদের উচ্ছেদের ভয় নেই। শুধু সুলেখা আর আয়না বিবি নন তার মতো আছমা, তানিয়া, কোকেয়াসহ অসহায় দুস্থ ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, দিনমজুর, রিকশাচালক, তালাকপ্রাপ্ত, বিধাবা নারী ও গৃহপরিচারিকাসহ চার ধাপে মোট ৭০৭টি ভূমিহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন।
মঙ্গলবার ১১ জুন দুপুরে গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পঞ্চম পর্যায়ে ২য় ধাপে ১৯৮টি পরিবারের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি এবং জমির দলিল তুলে দেন নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রওশন আলী।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান সকালের সময়কে জানান- ভূমিহীনদের পূনর্বাসনের এই প্রকল্পে রয়েছে প্রতিটি ভূমিহীন পরিবারের জন্য ২ শতাংশ জমি এবং সেমি পাকা বাড়ি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালাম আক্তার সকালের সময়কে জানান- প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে অস্বচ্ছল পরিবারগুলো উন্নত আবাসনের আওতায় এসেছে। এর মাধ্যমে গুরুদাসপুর ভূমিহীন মুক্ত হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এসব পাকাঘর পেয়ে দরিদ্র উপকারভোগীরা এখন থেকে নিজেদের ঘরে বাস করতে পারবেন। এসব পরিবারে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে পর্যায়ক্রমে আয়বর্ধক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
এমএসএম / এমএসএম

জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সেকাল-একাল বই এর মোড়ক উন্মোচন

বড়লেখায় ইজ্জত বাঁচাতে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে কলেজছাত্রী আহত, চালক আটক

মানবিক সাহায্যের আবেদন-‘বাঁচতে চায় শিশু ফরহাদ আলী’

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাজশাহীতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

কমলগঞ্জে দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রকল্প পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ

মানিকগঞ্জে ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়াসহ মারধরের অভিযোগ

বাঘা থানার অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত ও নিয়মিত মামলার ৬ আসামি গ্রেফতার

নবীনগরে কাঁঠালের ছড়াছড়ি: বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক ও ভোক্তা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় স্টপেজের দাবিতে ট্রেন থামিয়ে অবরোধ

সন্দ্বীপ থানার অভিযানে ১২ মামলার আসামী গাঁজা ব্যবসায়ী আটক

নোয়াখালীতে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ যুবদল সভাপতি গ্রেফতার
