ঢাকা বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বরিশাল নগর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ দুজনকে তুলে নেয়ার অভিযোগ


নিজস্ব সংবাদদাতা photo নিজস্ব সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ২১-৮-২০২১ দুপুর ৩:৪১

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবন ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার দুই আসামিকে তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এবং আরেকজনকে বরিশাল মহানগর এলাকা থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেছে পরিবার।

ওই দুজন হলেন- বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাইয়েদ আহমেদ মান্না এবং বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ও মহানগর যুবলীগ নেতা মমিন উদ্দিন কালু। এদের মধ্যে কাউন্সিলর সাইয়েদ আহমেদ মান্না হামলার ঘটনায় করা মামলার দুই নম্বর আসামি এবং যুবলীগ নেতা মমিন উদ্দিন কালু মামলার ৪৬ নম্বর আসামি।

কাউন্সিলর মান্নার বড় ভাই শেখ মাসুদ আহমেদ রানা বলেন, আমার ভাই মান্না শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ এলাকায় বোনের বাড়িতে ছিলেন। সেখান থেকে টেনে-হিঁচড়ে সাদা পোশাকধারীরা তাকে তুলে নিয়ে গেছে। বাধা দিতে গেলে তারা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মান্নাকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানায়। তবে পরে পুলিশ তাকে আটকের কথা অস্বীকার করছে।

অন্যদিকে মমিন উদ্দিন কালুর শ্যালক আরিফুর রহমান অভিযোগ করেন, শুক্রবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যার পর বরিশাল নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মমিন উদ্দিন কালুর বাসায় একটি গাড়িতে করে কয়েকজন লোক যান। তারা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে কালুকে তুলে নিয়ে যান।

তবে বরিশাল কোতোয়ালি থানা এবং ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ দুজনকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কিছু জানে না বলে জানিয়েছে। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ইউএনওর সরকারি বাসভবন ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার দুই নম্বর আসামি শেখ সাইয়েদ আহমেদ মান্না। একই মামলার ৪৬ নম্বর আসামি মমিন উদ্দিন কালু। তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করেছেন কি-না জানতে চাইলে ওসি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না।

ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল লতিফ  বলেন, শুক্রবার রাতে সাইয়েদ আহমেদ মান্না নামে এক ব্যক্তির খোঁজে তার আত্মীয় পরিচয়ে একজন এসেছিলেন। তবে তাকে তুলে নেয়ার ব্যাপারে থানা পুলিশ কিছু জানে না।

গত বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসায় কয়েক দফা হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের রুখতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনসার সদস্যদের রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়তে হয়। প্রতিবাদে বুধবার মধ্যরাত থেকে বরিশালে সড়ক ও নৌ যোগাযোগ অচল করে দেয়া হয়।

হামলার ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়। দুটিতেই বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মীকেও আসামি করা হয়েছে।

এমএসএম / জামান

চুরি করে আনা প্রাইভেট কারে ছিল বিপুল পরিমান মাদক

বিগত সরকারের শাসনামলের ১৫ বছর আতঙ্কের ভিতর কাটিয়েছিঃ অভি

ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা খোকন গ্রেফতার

মেডিক্যাল চান্স পাওয়া পাবনার শিক্ষার্থী মেঘলার সব দায়িত্ব নিলেন পাবনার জেলা প্রশাসক

উলিপুরে নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

গলাচিপায় নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

মান্দায় ভারতীয় জাল রুপিসহ আ.লীগ নেতা আটক

সিলেটে ২ দিনে ১ কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ

চন্দনাইশে আটককৃত পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ভুরুঙ্গামারীতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল নির্মাণ ও চিকিৎসায় ভোগান্তি বন্ধে মানব বন্ধন

আপনারা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে না পারলে, যারা পারবে তাদের পথ সুগম করেন: দুদু

খানসামায় নদীর বালু হরিলুট করছে ইউপি সদস্য