হুমকির মুখে বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল সেক্টর

বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল সেক্টর হুমকির মুখে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। গতকাল দুপুর ১২ টায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ) কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন বিটিএমএ’র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন।
মোহাম্মদ আলী খোকন বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল সেক্টরের অবদান অপরসীম। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ সেক্টরটি বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে জ্বালানি সংকটের জন্য স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না । বিগত কয়েক মাস যাবত তীব্র গ্যাস সংকটের কারনে মিলগুলি তাদের উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের বেশী ব্যবহার করতে পারছে না । ফলশ্রুতিতে সুতা ও কাপড়ের উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ায় উৎপাদন খরচ প্রায় দ্বিগুন হওয়ায় প্রতিযোগী দেশগুলোর সাথে এ সেক্টরের প্রতিযোগিতার সক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করছে। যার প্রভাব তৈরী পোশাক রপ্তানিতে প্রতিফলিত হচ্ছে। টেক্সটাইল শিল্পে উৎপাদন খরচ বাড়াতে আমাদের স্থানীয় বাজারও বিদেশীদের হাতে চলে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট পাশ হয়েছে। এ বাজেটে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল সেক্টরের জন্য উল্লেখযোগ্য কোন পলিসি সাপোর্ট এবং এই সেক্টরকে সুরক্ষার জন্য কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি । উপরন্ত গত ৩০ জুন ২০২৪ তারিখ বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের রপ্তানির বিপরীতে প্রনোদনা/নগদ সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে এফ.ই সার্কুলার নং ১২ জারি করেছে । সার্কুলারটিতে টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল সেক্টরের জন্য প্রযোজ্য ১,২,৩,৪ এবং ৫ সিরিয়ালের আইটেম সমূহে (যার সবগুলোই বিটিএমএ সদস্য অর্থাৎ প্রাইমারী টেক্সটাইল সেক্টর কর্তৃক উৎপাদিত পণ্য) রপ্তানির বিপরীতে প্রনোদনা/নগদ সহায়তার উল্লেখযোগ্য পরিমানে কমানো হয়েছে, ফলে এ শিল্প মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে এবং এ শিল্পের অগ্রযাত্রা থেমে যাবে এবং ব্যাপক সম্ভাবনাময় এ শিল্পটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পাট শিল্পের মতো বিলুপ্ত হতে পারে ।
বিটিএমএ’র প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা জানতে পেরেছি নভেম্বর ২০২৬ এর এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের কথা বলে নগদ সহায়তা কমানো হয়েছে কিন্তু এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের এখনো প্রায় আড়াই বছর বাকী এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলেও গ্রেস পিরিয়ড হিসেবে ২০২৯ সাল পর্যন্ত শিল্পখাত সমুহ নগদ প্রনোদনা পেতে পারে এ শিল্পে যেভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে তাতে এ শিল্প অচিরেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছে যাবে যা দেশের পাট শিল্পের ভাগ্যবরন করবে বলে আমরা মনে করছি। তিনি বলেন, টেক্সটাইল সেক্টরের মিলগুলি দেশের ১৭ কোটি জনগোষ্ঠির বস্ত্রের মৌলিক চাহিদার প্রায় সম্পূর্নই যোগান দিচ্ছে যাতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে । বাংলাদেশ ট্রেড এবং ট্যারিফ কমিশনের ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে প্রতি বছর ৬.৫ বিলিয়ন মিটারের ফেব্রিক/কাপড়ের চাহিদা রয়েছে । সে অনুযায়ী বর্তমানে দেশের মানুষের কাপড়ের চাহিদা প্রায় ৭ বিলিয়ন মিটার এবং প্রতি মিটার কাপড়ের মূল্য ২ ডলার হিসেবে স্থানীয় জনগণের জন্য বছরে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ১ লক্ষ ষাট হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন । এমতাবস্থায়, অনতিবিলম্বে ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারীকৃত এফ.ই সার্কুলার নং ১২ প্রত্যাহার করে নগদ প্রণোদনা পূর্বের অবস্থায় আনা,দ্রুত সময়ের মধ্যে টেক্সটাইল শিল্পের জন্য একটি যুগোপযোগী “টেক্সটাইল পলিসি” প্রণয়ন এবং ব্যাংক লোন পরিশোধের জন্য এক বছরের গ্রেস পিরিয়ড প্রদানের জোর দাবী জানাচ্ছি। (বিজ্ঞপ্তি)
এমএসএম / এমএসএম

সামরিক জাদুঘরে কিডস টাইমের শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত

নতুন ঠিকানায় ন্যাশনাল ব্যাংকের বেনাপোল শাখা

অপো রেনো১৪ ফাইভজি’র প্রি-অর্ডার শুরু

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান-২৪’ নিয়ে উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৩৯৭তম সভা অনুষ্ঠিত

বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে হানডা (বাংলাদেশ) গার্মেন্টসের ৪ কোটি ১৪ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি'র মোবাইল অ্যাপ “ShahjalalTouchPay” চালু

কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য স্টোরেজ সল্যুশন্স চালু করল সার্ভিসিং২৪

কর্মসংস্থান বাড়াতে NHRDF ও পেন্সিলবক্সের “ফ্রিল্যান্সিং কোর্স” উদ্বোধন

ডিসকভারির সাথে পার্টনারশিপে উদ্বোধন হলো অপো রেনো ১৪ সিরিজ ৫জি স্মার্টফোন
