তাঁরা আমাদের বাংলাদেশ কে শেষ করে দিল

সন্তান, নাতি নাতনি, নারী,জেলা সহ আরো কিছু। ২০১৮ সালে এই কোটার জন্য আন্দোলন হলে অনেকটা অইচ্ছা কৃত ভাবে কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন দেন নির্বাহী বিভাগ।বাতিল হয় কোটা।২০২৪ সালে ৫ জুন মুক্তিযুদ্ধার সন্তানরা একটি আবেদন করে হাইকোর্টে কোটা পূর্ণবহালের।হাইকোর্ট রায় দেয় কোটা পূর্ণ বহাল।শুরু হয় কোটা নিয়ে রাজনীতি ও ছাত্র আন্দোলন। সরকার কিন্তু কোটা পূর্ণ বহাল করেনি,করেছে আদালত।তাঁরা আদালতে না গিয়ে, রাস্তায় নেমে আসে আন্দোলনে,বিচার বিভাগের উপর নির্বাহী বিভাগ কি করবে? তাঁরা কি দেশের আইন,সংবিধান পড়ে না? নাকি "তোরা যে যাই বলিস ভাই আমার সোনার হরিন চাই" অবস্থা।সরকারের এটনি জেনারেল কোটা বাতিলের রায় টিকে বাতিলের আবেদন করে।আদালত আগষ্টে শুনানির দিন ধার্য করে।না তারা মানতে নারাজ।তারা নেমে আসে রাস্তায়, বাংলা ব্লকেড নামে বাংলাদেশ কে অচল করে দিতে চায়।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কে বিকৃত করে মধ্যে রাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে জঘন্যতম ঘৃণিত রাজাকার স্লোগানে ছাত্রদের কে সামনে রেখে জামাত শিবির মাঠে নামে,যে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা ও আন্দোলনের প্রতিক সেটাকে তাঁরা তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার স্লোগানে কলুষিত করে।মুক্তিযোদ্ধা, দেশবাসী মানুষ জন তাদের এই স্লোগানে হতবাক হয়ে যায়!! মন্ত্রীরা আলোচনার আহবান জানায়,তাঁরা তাও মানবে না।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশ্য বলে আপনারা আমার উপর আস্থা রাখুন নিরাশ হবেন না।তাঁরা তাও মানে না।শুরু হয় জায়গায় জায়গায় ছাত্রলীগের মেয়ে ছেলেদের উপর পাকিস্তানি কায়দায় নিযাতন,রুম ভাংচুর,কান ধরে উঠবস,মারা সহ নেক্কার জনক হামলা।প্রতিরোধ করে ছাত্রলীগ।শুরু হয় তুমুল সংঘাত। এই সুযোগে মীর্জা ফকরুল আন্দোলনে বিএনপি আছে,কোটা না দেশ সংস্কার,সরকার পতনের ডাক দেয়। ছাত্রদলের সভাপতি মিডিয়াকে জানিয়ে নেমেযায়।দেশে সাধারণ ছাত্রদের নামে শুরু হয় চরম অরাজকতা। যা আমাদের পূর্ব পুরুষ ১৯৭১ সালে দেখেছিল।একটি উন্নত দেশ কে সকল দিক থেকে ধংস করার এক ভয়কর খেলা শুরু হয়।ছাত্ররা জানায় তাঁরা এইসবে জড়িত নয়,তাহলে জামাত বিএনপি ছাড়া কারা করলো এই ইতিহাসের নারকীয় ধংস যজ্ঞ? আকাশ থেকে শয়তান? শুরু হয় নানা গুজব, জামাত বিএনপির সাইবার স্বন্তাসীরা দেশ ধংসের ভয়কর চক্রান্ত ও গুজব শুরু করে।নানা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় টোকাই,হিরোইনখোর,শিবির,বিএনপি, নুরুর দলের লোকজন এই বিভীষিকাময় ধংস যজ্ঞ চালায়।এত ধংস যজ্ঞ এত কিছুর পর ও বিএনপি মহাসচিব নিশ্চুপ,সে দেশের এই বড় ক্ষতি নিয়ে কিছু বলছে না! মাননীয় আইনমন্ত্রী ও এটনি জেনারেল দ্রুত আবেদন করে আপিল বিভাগে নজির বিহীন শুনানি করে অবশেষে আদালতের দেয়া কোটা বাতিলের রায়টি বাতিল করে নতুন কোটা পদ্ধতি করে যুগান্তকারী রায় দেয়।সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রী দ্রুত নির্বাহী আদেশের ব্যবস্হা করেন।কিন্তু এর মধ্যে সাধারণ ছাত্রদের নামে সোনার বাংলাদেশ কে ধংস করে দেয় জামাত বিএনপি।১১৪০ এর মত পুলিশ আহত ৩জন নিহত,১৯০ জনের মত র্যাব আহত ১জন নিহত,১জন আনসার নিহত, ১০০+ সাংবাদিক আহত ও ২জন নিহত হয়েছে দুষ্কৃতকারী, নাশকতাকারী দের হাতে।আহত হয়েছে অগনিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগের নেতা কর্মী। নিহত ও আহত হয়েছে অনেক আওয়ামী নেতা কর্মী।ছাত্রদের দাবী পূরণ করা হলো,তাহলে বিএনপি জামাত ছাড়া কারা চালালো এই বর্বরতম নেক্কারজনক নজিরবিহীন এই ধংস যজ্ঞ?ছাত্রদের আন্দোলন প্রায় শেষ, তাহলে এখনো মাঠে কারা?মীর্জা ফকরুল,বিএনপি পন্থী টকশোর সুশীলরা এখনো একই কথা,রাষ্ট্র সংস্কার দরকার,রাজনৈতিক আলোচনা দরকার,আন্দোলন চলমান।এবার আসুন সে পাকিস্তান হানাদারদের আন্দোলন নিয়ে কিছু চিত্র।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলা আন্দোলনের মধ্যে একদল দুষ্কৃতকারী সরকারি স্থাপনায় নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে। যাত্রাবাড়ীতে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় আগুন দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হওয়া এ তাণ্ডবে একে একে পুড়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী ও মহাখালী টোলপ্লাজা, বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, মেট্রোরেলের স্টেশন। রক্ষা পায়নি ফায়ার সার্ভিসও। মিরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে হামলা চালানো হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। দুষ্কৃতকারীদের হামলায় আহত হয়েছেন ফায়ার ফাইটাররাও।দুষ্কৃতকারীদের হাতে তাণ্ডবের শিকার হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়, মিরপুরের ইনডোর স্টেডিয়াম। বিআরটিএ ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতো সরকারি স্থাপনায়ও তাণ্ডব চালিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি ও ট্রাফিক বক্স। হামলা চালানো হয়েছে থানায়ও। স্বাধীন বাংলাদেশে এর আগে কখনো সরকারি স্থাপনায় এভাবে তাণ্ডব চালানো হয়নি।
শুধু রাজধানীতে নয়, দুষ্কৃতকারীরা তাণ্ডব চালিয়েছে ঢাকার বাইরেও। নরসিংদীতে জেলা কারাগার এবং পৌরসভা ও ইউনিয়ন কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। নরসিংদীতে কারাগার ভেঙে ৯ জন জঙ্গিসহ ৮২৬ বন্দি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে চালানো হয়েছে তাণ্ডব।
দৃষ্কৃতকারীদের তাণ্ডবে রাজধানীসহ সারাদেশে জনমনে সৃষ্টি হয় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। পরিস্থিতি সামাল দিতে একপর্যায়ে কারফিউ জারি করে সরকার। সেই সঙ্গে নামানো হয় সেনাবাহিনী। এতে অনেকটাই ঘরবন্দি হয়ে পড়েন মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে খুব একটা বের হননি। তবে সেনাবাহিনী রাস্তায় নামার পর ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ফলে শিথিল করা হয় কারফিউ।
রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও বুধবার থেকে সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস।এখন জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক।ব্যাংক খোলায় শেয়ারবাজারেও লেনদেন চালু করা হয়েছে।
রাস্তায় চলাচল করছে গণপরিবহন। ফলে মানুষের মনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। তবে দুষ্কৃতকারীরা যে তাণ্ডব চালিয়েছে তার ক্ষত কতদিন বহন করতে হবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
কোটাবিরোধী আন্দোলন চলার মধ্যে বুধবার যাত্রাবাড়ী অঞ্চলের রাস্তা অবরোধ করে একদল দুষ্কৃতকারী। একপর্যায়ে যাত্রাবাড়ী অঞ্চলে শুরু হয় সংঘর্ষ। রাতে হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় দেওয়া হয় আগুন।
রাতভর দুষ্কৃতকারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী এলাকায় তাণ্ডব চালায়। পরদিন বৃহস্পতিবারও এ এলাকা ছিল আন্দোলকারীদের দখলে। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় দফায় হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় আগুন দেওয়া হয়।
হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে দল বেঁধে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেয়। সেই সঙ্গে তাণ্ডব চালানো হয় একের পর এক সরকারি স্থাপনায়। আগুন দেওয়া হয় বিআরটিএর ডেটা সেন্টারে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেট সেবা।
এতে গ্যাস-বিদ্যুৎ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীর বাসিন্দারা। নানা শঙ্কা দানা বাঁধে জনমনে। ছয়দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড সেবা চালু করা সম্ভব হয়েছে।এর আগে সোমবার নিজ কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিটিভি ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে, সেতু ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে, মহাখালী ডেটাবেজ স্টোরেজে হামলা-আগুন, মেট্রোরেলের স্টেশনে হামলা, শনির আখড়ায় হানিফ ফ্লাইওভারের টোল বক্সে হামলা, পিবিআই অফিসে আগুন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে আগুন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় আগুন। নরসিংদীতে কারাগারে হামলা করে কয়েদিদের বের করে নিয়ে যাওয়া, কয়েকজনকে ধরা হয়েছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডাকেন ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেন দৃঢ় কন্ঠে।
সেইসঙ্গে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করা দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, আক্রমণগুলো পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। জঙ্গিরা যেভাবে আক্রমণ করে সেভাবে।তিনি বলেন, ডেটা সেন্টার জালিয়ে দেওয়া হচ্ছে যেন ইন্টারনেট বন্ধ থাকে, দেশ অচল হয়ে যায়। কেপিআই ভবনে কারা আক্রমণ করে? ডেটা সেন্টার পুড়িয়ে দিয়েছে, বিটিভি জ্বালায়ে দিয়েছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বিটিসিএল ল্যান্ডলাইন জ্বালিয়ে দিয়েছে।
সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ জ্বালিয়ে দিয়েছে। উন্নয়ন যেখানে হয়েছে সেখানেই হামলা হয়েছে।
হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় আগুন দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিআরটিএর প্রধান কার্যালয় হামলা চালানো হয়। এরপর শুক্রবার আবার বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। হামলা চলানো হয় বিআরটিএ’র মিরপুর কার্যালয়ে।
বিআরটিএ ভবনের বিভিন্ন তলায় ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতকারীরা। লুট করা হয় মূল্যবান জিনিসপত্র।
দুষ্কৃতকারীরা মহাখালীতে সেতু ভবনের সামনে থাকা যানবাহনে আগুন দেয়। সেইসঙ্গে আগুন দেওয়া হয় ভবনের নিচতলায়। তাদের দেওয়া আগুনে সেতু বিভাগের ৫৫টি গাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
সেতু ভবনের নিচতলায় থাকা বঙ্গবন্ধু কর্নার, অভ্যর্থনা কেন্দ্রে, মিলনায়তন, ডে-কেয়ার সেন্টারও পুড়েছে। আগুনে পুড়েছে সেতু ভবনের উপরের ফ্লোরও। লুট করা হয়েছে ভবনের মূল্যবান জিনিসপত্র।
দুষ্কৃতকারীদের হামলার শিকার হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী ও মহাখালীর টোলপ্লাজা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কয়েকটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ৩০টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে ১৭টি গাড়ি। মশার ওষুধ ছিটানোর স্প্রে মেশিন, মশার ওষুধ নষ্ট করা হয়েছে, তুলে নেওয়া হয়েছে সড়কবাতি।
হামলাকারীরা মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের সামনে এবং বেইজমেন্টে থাকা যানবাহনে আগুন দেয়। আগুন দেয়া হয় ভবনেও। এ হামলায় ৫৩টি গাড়ি ও ১৬টি মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ভবনের বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, সার্ভার, ইমার্জেন্সি রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার, অফিসের যন্ত্রপাতিও নষ্ট হয়েছে।
মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে বড় ধরনের নাশকতা চালিয়েছে হামলাকারীরা। টিকিট বিক্রির মেশিন, কম্পিউটার, প্রিন্টার, সময়সূচির মনিটর, ভেঙে ফেলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অ্যাকসেস কন্ট্রোল গেট।
ঢাকা মহানগর পুলিশ জানায়, গত কয়েকদিনের সহিংসতায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দিয়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার ক্ষতি করা হয়েছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গুলশানে ট্রাফিক উপ-কমিশনারের অফিস।
এসি রমনা, রামপুরা, মহাখালী ও উত্তরা অফিস পুড়িয়ে হয়েছে। পুরো ঢাকা শহরে মোট ৫৪টি ট্রাফিক পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ-বিসিএসআইআরে হামলা করে দুষ্কৃতকারীরা আটটি গাড়ি ভাঙচুর করে। আগুন দেওয়া হয় নরসিংদী জেলা কারাগারে। কারাগার ভেঙে ৯ জঙ্গিসহ মোট ৮২৬ কয়েদি পালিয়ে যায়।
কারাগার ভেঙে ৯ জঙ্গিসহ মোট ৮২৬ কয়েদি পালিয়ে যায়। এ সময় কারাগার থেকে ৮৫টি অস্ত্র ও আট হাজারের বেশি গুলি ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।এর মধ্যে অনেক আসামি আত্মসমর্পণ করে ও বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
দুষ্কৃতকারীরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস আগুন দেয়। এতে চারতলা ভবনটি একেবারে পুড়ে যায়। গ্রাহকদের দেওয়ার জন্য তৈরি করা আট হাজার পাসপোর্ট পুড়ে গেছে।
পিবিআইয়ের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়, শহরের দুই নম্বর রেলগেট পুলিশ বক্স, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে ভবনের ফ্রন্টডেস্ক, ভবনের সামনে রাখা কয়েকটি গাড়ি পুড়ে যায়। আলী আহমদ চুনকানগর পাঠাগার ভাঙচুর করা হয়েছে। আগুন দেওয়া হয়েছে শিমরাইল এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের একটি কার্যালয়ে।
আলী আহমদ চুনকানগর পাঠাগার ভাঙচুর করা হয়েছে। আগুন দেওয়া হয়েছে শিমরাইল এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের একটি কার্যালয়ে।আরো যদি সংক্ষিপ্ত ভাবে বলি
শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে জামাত বিএনপির সন্ত্রাসীদের গভীর নিলনকশা অনুযায়ি টার্গেট করে করে নিম্নলিখিত রাষ্ট্রিয় সম্পদ ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, ও নাশকতার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে।
* বিটিভি ভবনে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
* স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শতাধিক গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। সেখানে আগুন দেওয়া হয়েছে।
* সেতু ভবনে দুবার আগুন দেওয়া হয়েছে। সেখানে ৫০টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে।
* সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কার্যালয়ে হামলা করা হয়েছে।
* ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশন ভাংচুর;
* দিয়াবাড়ি মেট্রোরেলের ডিপোতে হামলা;
* শনির আখড়ায় মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় আগুন ও ভাংচুর;
* বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে হামলা ও আগুন;
* দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসে হামলা-ভাংচুর ও শতাধিক গাড়িতে আগুন দিয়ে পোড়ানো;
* মহাখালীর ডাটা সেন্টারে হামলা ও অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাবমেরিন কেবল নষ্ট করা হয়েছে।
* মহাখালী করোনা হাসপাতাল, পুষ্টি ইনস্টিটিউট, স্বাস্থ্য অধিদফতর, বিআরটিএ ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে।
* নরসিংদীতে কারাগারে হামলা করে সন্ত্রাসীদের বের করে নিয়ে গেছে। কয়েকজন ধরা পড়েছে। কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
* আবতাবনগর ওয়াশা শোধনাগারে হামলা;
* বাড্ডা, নিউমার্কেট, নীলক্ষেতে পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ।
* রায়পুর পুলিশ কেন্দ্রে হামলা ও অগ্নিসংযোগ;
* রামপুরা থানা; মৌচাক পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ;
* মেরাদিয়া পিবিআই কার্যালয় ভাংচুর;
* উত্তরায় রেললাইন উপড়ে ফেলা;
* বসিলায় সিটি হাসপাতালে হামলা;
* কদমতলী, মোহাম্মদপুর থানায় হামলা;
* বরিশালে র্যাবের কার্যালয়ে হামলা; গাড়ির ভেতরে র্যাব সদস্যকে হত্যা করা;
* পুলিশকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা;
* গাজীপুরে আওয়ামী লীগের নেতাকে হাসপাতাল থেকে টেনে বের করে মেরে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা
* ফকিরাপুল পুলিশ বক্স ভাংচুর;
* উত্তরা পুলিশের ডিসির কার্যালয় ও টিএসটির আঞ্চলিক অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ;
* টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ কার্যালয়, মধুপুর ও কালিহাতি উপজেলার দলের কার্যালয়;
* গাইবানধা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুর ও ১১টি মটর সাইকেল পোড়ানো;
* গাইবান্ধায় রেললাইন উপড়ে ফেলা ও অগ্নি-সংযোগ;
* বগুড়ায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাট; জাসদ কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, সাংস্কৃতিক জোটোর কার্যালয়, পুলিশবক্স, সদর ভূমি অফিস, রেল স্টেশন, সরকারি শাহ সুলতান কলেজ, সদর থানা, সিটি ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকে ভাংচুর;
* কোনাবাড়ি পুলিশ থানা, বাসন থানার চৌরাস্তা পুলিশ বক্স ভাংচুর ও আগুন;
* গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ে আগুন ২০টি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলা;
* ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ।
* টঙ্গীতে ডেসকোর বিদ্যুতকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ;
* বেক্সিমকো গার্মেন্টস এ অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর;
* টঙ্গী পূর্ব থানায় হামলা;
* নারায়ণগঞ্জ জেলা হাসপাতালে হামলা ও অগ্নিসংযোগ;
* নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অফিসে হামলা;
* নারায়ণগঞ্জে আগুন দিয়ে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিকে পুড়িয়ে দেওয়া।
* মাদারীপুরে বাস পোড়ানো ;
* শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ি, চিটাগাং রোডে সন্ত্রাসী হামলা;
* সিটি করপোরেশন ঢাকা উত্তরের মহাখালী ও মিরপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের বর্জ্য পরিবহন গাড়িতে হামলা ও আগুন; * রামপুরা পাম্প হাউজে অগ্নিসংযোগ
* মেট্রোরেলের স্টেশন পুড়িয়ে শেষ
বিএনপি জামাতের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করা হলো?
জবাব আছে কি ?মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল ও বিটিভি পরিদর্শনে গিয়ে কান্নায় ও আবেগে ভেঙে পড়েন। এই জামাত বিএনপি বাংলাদেশে যে ঘৃণতম,নেক্কারজনক,বর্বরচিত, স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বৃহত্তর ধংস যজ্ঞ চালালো তাদের কারনে কিছু সাধারণ মানুষ ও ছাত্র মারা গেল,পুলিশ, র্যাব, আনসার,আওয়ামী, ছাত্রলীগ মারা গেল যারা দেশটাকে ধ্বংস লীলায় পরিণত করতে উন্মাদ হয়েছিল তারা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু, এদেরকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হোক।।তাঁরা এখনো আপনার আমার পাশে আছে এখনো গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। তাদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চাই, যাতে করে বাংলাদেশে আর ২০২৪ এর জুলাই ফিরে না আসে।
লেখক:সাজ্জাদ হোসেন চিশতী, গণমাধ্যম কর্মী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
এমএসএম / এমএসএম

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া
