দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ কৃত্রিম প্রজনন উপকেন্দ্র: ভোগান্তিতে খামারীরা
জনবল সংকটে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সবকটি সরকারি কৃত্রিম প্রজনন উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে কৃষক ও খামারিরা এসব উপকেন্দ্র থেকে কোনো সেবাই পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ অবস্থায় অচল হয়ে পড়ে থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এসব উপকেন্দ্রের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগুলো। এ অচলাবস্থা নিরসনের জন্য বছরের পর বছর প্রাণিসম্পদ অফিসে ধরণা দিয়েও সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় খামারিরা। তারা চান দ্রুত চালু হোক এইসব কৃত্রিম প্রজনন উপকেন্দ্রগুলো। জনবল সংকটের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও।
ফলে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের শত শত কৃষক ও খামারিদের। বাধ্য হয়েই গ্রাম্য পশু চিকিৎসকদের ওপর নির্ভর করায় অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে তাদের।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, নালিতাবাড়ী উপজেলায় মোট ৬৫ হাজার গরু, দুই হাজার ৫০০ মহিষ, ৩৪ হাজার ছাগল ও ৪ হাজার ভেড়া রয়েছে। এদের প্রজননের জন্য সরকারি ভাবে উপজেলায় একটি প্রজনন কেন্দ্র ও উপজেলার রূপনারায়নকুড়া, নয়াবিল ও নন্নী ইউনিয়নে মোট ৩ টি সরকারি কৃত্রিম প্রজনন উপকেন্দ্র ও ১৩ টি কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট রয়েছে। বন্ধ ৩টি প্রজনন উপকেন্দ্রের জন্য বছরে ১৮শ সিমেন সরবরাহ করার কথা থাকলেও জনবল সংকটের কারণে তা ব্যবহার করা যাচ্ছেনা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: ফয়জুর রহমান জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১টি সরকারি কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র মোট ৩টি সরকারি কৃত্রিম প্রজনন উপকেন্দ্র রয়েছে। এই ৩টি উপকেন্দ্রে ৩জন এফএএআই দায়িত্ব পালন করার কথা। এই উপকেন্দ্র গুলো সরাসরি কৃষক ও খামারিদের সঙ্গে কাজ করে তাই এই পদের কর্মচারী দ্রুত দরকার। জনবল সংকটের কারণে আমরা বাৎসরিক সিমেন ব্যবহারের টার্গেট পূরণ করতে পারছিনা। অনেক দিন ধরে জনবল সংকট থাকায় কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রগুলোতে সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবগত আছেন। জনবল নিয়োগ হলেই কাজ শুরু হবে।
এমএসএম / এমএসএম