পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশের ইতিহাস
অবিশ্বাস্য জয় ২৬ রানে ৬ উইকেট নেই এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় যা কল্পনাকেও হার মানায়। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে মিরাজ-লিটনের লড়াই,হাসান - রানার বোলিং তোপে পাকিস্তানকে ২-০ তে টেস্ট সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ করল টাইগাররা। জয়ের জন্য মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিলো। হাতে ১০ উইকেট নিয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পঞ্চম দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিলো মাত্র ১৪৩ রান। তবে শঙ্কা ছিলো বৃষ্টি নিয়ে আগেরদিন যে কারণে অনেক আগেই খেলা শেষ হয়েছে। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম আজ বেশি দূর যেতে পারেননি। তবুও সব শঙ্কা উড়িয়ে বাকিদের ব্যাটে চড়ে লক্ষ্যটা তাড়া করতে খুব বেশি কষ্ট হয়নি টাইগারদের।
৬ উইকেটের জয়ে পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশের স্বাদ দিলো বাংলাদেশ। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এটি নবম সিরিজ জয় টাইগারদের। দেশের বাইরে তৃতীয়। আগের দুইবারের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়েকে আমলে নিলে এবারের সিরিজ জয় অন্য মাত্রাই যোগ করলো দেশের ক্রিকেট অর্জনে।
বিনা উইকেটে ৪২ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। ৩১ রানে জাকির ও ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন সাদমান। দিনের দ্বিতীয় বলেই মোহাম্মদ আলিকে চার মেরে শুরু করেন সাদমান। জাকিরও খেলছিলেন সাবলীল। তবে ইনিংসের ১৩তম ওভারে মির হামজার বলে জাকিরকে ফিরতে হয়েছে। ৩৯ বলে ৪০ রান করেছেন টাইগার ওপেনার। এরপর জীবন পান সাদমানও, তবে কাজে লাগাতে পারেননি। খুররাম শেহজাদের বলে ক্যাচ দিয়েছে শান মাসুদকে (৫১ বলে ২৫ রান)। বাংলাদেশ পরিণত হয় ৭০ রানে ২ উইকেট। দুই ওপেনারকে হারানোর পরও অবশ্য বাংলাদেশের গতিপথ বদলায়নি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক মিলে লাঞ্চের আগের সময়টা কাটিয়ে দেন নির্বিঘ্নে। ২ উইকেটে ১২২ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। শান্ত ৩৩ ও মুমিনুল ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
লাঞ্চের পর অবশ্য দ্রুতই ফিরেছেন শান্ত। তার আগে নামের পাশে ৮২ বলে ৩৮ রান, ভাঙে মুমিনুলের সাথে ৫৭ রানের জুটি। এরপর মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দিতে পারতেন মুমিনুল। কিন্তু এ দফায় আবরার আহমেদের শিকার হন মুমিনুল (৭১ বলে ৩৪) নিজেই। ১৫৩ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে মুশফিক ও সাকিব আল হাসান মিলে বাকি কাজটা সেরেছেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই। মুশফিক ২২ ও সাকিব ২১ রানের অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান করেছে ২৭৪ রান। জবাবে দারুণ বিপর্যয়ে পড়ে ৬ উইকেটে ২৬ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। সেখান থেকে লিটন দাসের ১৩৮ ও মেহেদী হাসান মিরাজের ৭৮ রানে ভর করে স্কোরবোর্ডে উঠে ২৬২ রান। ১২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা পাকিস্তান থামে ১৭২ রান। বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য ঠিক হয় ১৮৫।
এমএসএম / এমএসএম