ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

নরসিংদীতে নান্দনিক কারুকাজের মন্দির দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়


শান্ত বণিক, নরসিংদী photo শান্ত বণিক, নরসিংদী
প্রকাশিত: ৪-৯-২০২৪ দুপুর ৩:৫০

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পিরিজকান্দি দড়িপাড়ার দৃষ্টিনন্দন মন্দির অক্ষয়ধাম। অজপাড়া গাঁয়ে এমন দৃষ্টি আকর্ষণীয় মন্দির দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।  ফটকে ঢুকতেই চোখে পড়েছে সাদা, টেরাকোটা আর সোনালি রঙের চোখ ধাঁধানো কারুকাজে গড়া মন্দিরটি। এর ওপরের অংশে কষ্টিপাথরের তৈরি মহাদেবের মূর্তি। দুপাশে কষ্টি পাথরের শ্রীকৃষ্ণ ও রাধাকৃষ্ণের মূর্তি। এক পাশে স্বর্গীয় মহীন্দ্র চন্দ্র পালের ফলক ও অন্য পাশে সুরুচি বালা পালের ফলক। রয়েছে দৃষ্টি নন্দন ঝরনা ও রং-বেরঙের ফুলের বাগান। মন্দিরটিতে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পূর্বপুরুষের পৈতৃক ভিটের স্মৃতি রক্ষার্থে অজপাড়া গাঁয়ে মন্দিরটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন তাঁরই দুই ছেলে ড. তাপস চন্দ্র পাল ও অভিষেক চন্দ্র পাল। বিদেশি বিভিন্ন মন্দিরের বিভিন্ন অংশ থেকে সংগৃহীত কারুকাজে ১ বছরের কর্মযজ্ঞে নির্মাণ করে এই অক্ষয়ধাম মন্দিরটি। বাড়তি আকর্ষণ নিয়ে সাজানো মন্দিরটিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকছে শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব বয়সী ভক্ত ও অনুসারীদের ভিড়। মণ্ডপে প্রতিমার সামনে প্রার্থনা করছেন পুণ্যার্থীরা। মনের বাসনা পূরণের আকাঙ্ক্ষা দেব-দেবীকে প্রণাম করছেন কেউ কেউ। সনাতন ধর্মীয় এই উপাসনালয়ে দেখা মিলেছে অন্য ধর্মে বিশ্বাসী মানুষও।

মনোহরদীর রামপুর থেকে মন্দির দেখতে আসা শিক্ষক ও পল্লী চিকিৎসক জয়ন্ত বণিক, জহর বণিক গণগ্রন্থাগারের সহ-সভাপতি সাথী বণিক ও কচিকাঁচা স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি অনন্ত বণিক সহ অনেকেই জানিয়েছে লোকমুখে  দৃষ্টি নন্দন মন্দিরের কথা শুনে এ মন্দির তারা দেখতে এসেছেন। তারা মনে করেন  দৃষ্টি নন্দিত অক্ষয়ধাম মন্দিরটি দর্শনার্থীদের ব্যতিক্রম কিছু নজর কেড়েছে। তাদের দেখে ভালো লেগেছে। এ ধরনের মন্দির দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করছে বলে মন্তব্য করেন।

জানা গেছে, বাপ দাদার পূর্ব পুরুষের স্মৃতি রক্ষার্থে মন্দির তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিভিন্ন দেশের দৃষ্টি নন্দিত মন্দিরের চিত্র নেটে দেখে পুরোনো মন্দিরের বর্ধিত অংশে বিভিন্ন অংশ সংযোজন-বিয়োজন করে দক্ষ কারিগরের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে মন্দিরটি। মন্দিরের পাশে অতিথিশালাও রয়েছে। তাদের পরিকল্পনা রয়েছে একটি হাসপাতাল, স্কুল ও আরো মন্দির নির্মাণ করা। মন্দির তৈরিতে প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ জন শ্রমিক কাজ করেছেন। এক বছর সময় লেগেছে মন্দির তৈরিতে। এতে ব্যয় হয় প্রায় ১ কোটি টাকা।

T.A.S / T.A.S