চসিকের সিইও’র বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

৩ আগষ্ট থেকে ৫ আগষ্ট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সড়কবাতি বন্ধ করে সুপরিকল্পিতভাবে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর হামলাসহ নানা অনিয়মে অভিযোগের পাহাড় দেখা দিয়েছে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এছাড়াও প্রতিটি কাজের বিপরীতে ১০ শতাংশ কমিশন আদায়, অবৈধ নিয়োগ ও বদলী বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
চসিকের একাধিক বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, সিইও যোগদানে পর থেকে চালিয়েছে একের পর এক অপকর্ম। ঠিকাদারদের কাছ থেকে নিয়মিত কমিশন আদায় করতেন, কেউ কমিশন না দিলে তার ফাইল আটকে রাখতেন। টেন্ডারের ফাইল গুলো খুললে দেখা যায়, টেন্ডারের সময় সময়সীমা শেষ হলেও এনওএ ধরে রেখেছেন অনেকদিন ধরে। সম্প্রতি ৫টি টেন্ডার বাবদ ২ কোটি টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়াও অবৈধভাবে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এক পদ থেকে অন্য পদে স্থায়ী করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি। অতিসম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগের প্রায় ৫০ পার্সেন্টই তিনি নিয়োগ দেন। আর জনপ্রতি নিয়োগের ক্ষেতে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন। সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রেজাউল করিম ও পিএসসহ আর এই ঘুষের টাকার ভাগ পেতেন। আগেও অনেকবার বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসলেও স্বৈরাচারের দোসর হওয়ায় ক্ষমতা বলে ধামাচাপা দিয়েছিল এসব অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি টেন্ডারে থাকতো তার জন্য একটা নির্দিষ্ট এমাউন্ট এর ঘুষ, হিসাববিভাগ এর মাধ্যমে প্রত্যেকটা বিলে ১০% ঘুষ আদায় করেন এই কর্মকর্তা। বিগত ছাত্র আন্দোলনের সময়ও সড়ক বাতি অফ করার সাথে জড়িত এই কর্মকর্তা। ৩ থেকে ৫ আগস্ট এই কর্মকর্তার নির্দেশনায় ঝুলন কুমার দাশের মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশে সড়ক বাতি নেভানো ছিল, যার ফলে আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা নিরাপত্তাহীনতার শিকার হন। পরবর্তীতে ঝুলন কুমার দাশকে চাপের মুখে বরখাস্ত করলেও এই কর্মকর্তা এখনও চেয়ারে বিরাজমান।
এখানেই শেষ নয়, যোগদানের পর থেকেই অফিসে চালিয়েছে গ্রুপিং পলিটিক্স। তার এই গ্রুপিং পলিটিক্স এর শিকার হয়েছিল সাবেক চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ। তার বেআইনি কাজে সাড়া না দেওয়ায় বিভিন্ন ভাবে তার নামে ক্ষমতা বলে অপপ্রচার চালায় এই স্বৈরাচারী কর্মকর্তা ।
বিগত মেয়রের সময়ে তথ্য পাচারের দায়ে ইকবাল হাসান নামক এক ব্যাক্তিকে ট্রান্সফার করা হলেও, তাকে বিভিন্ন পাঁয়তারায় ফিরিয়ে আনতে উঠে পরে লাগে এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। অবশেষে ৫ তারিখের পর কিছু সময়ের জন্য প্রসাশন না থাকায় অবৈধ অফিস আদেশ করে তাকে “আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে” সচিবালয়ে সংযুক্ত করে, যেখানে চসিকের অর্গানোগ্রামে আইটি বিশেষজ্ঞ বলে কোন পদবী নেই। পরবর্তীতে আরেকটি অফিস আদেশ করে যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তাকে বানিয়ে দেওয়া হয় “প্রোগ্রামার“। বিগত সময়ে এই ইকবাল হাসানের নামেও উঠে এসেছিল দুদকের অনেক অভিযোগ। এ যেন এক দুর্নীতির সিন্ডিকেট।এব্যপারে জানতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এমএসএম / এমএসএম

স্বাধীনতার পরে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বিএনপির জন্ম: ডা. মাজহার

বকশীগঞ্জে কৃষকের ৬১ শতক জমি ধান নষ্ট করে দিলো প্রভাবশালীরা

রায়গঞ্জে লাখো মানুষের ভরসা দড়িটানা নৌকা : জনপ্রতিনিধিদের কেউ কথা রাখেনি

দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে মেঘ ধরেছে: মো.শাহজাহান

ধামইরহাটে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বিজয়নগরে আসামী গ্রেফতার করায় অতর্কিত হামলায় এএসআই শেখ সাদী আহত

টেকনাফে মাদক সাম্রাজ্য: কাদের নিয়ন্ত্রণে ভয়ংকর চোরাচালান চক্র

হিট প্রজেক্ট প্রাপ্ত যবিপ্রবির জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের দুই শিক্ষককে সংবর্ধনা প্রদান

রাণীনগরের সেই শিক্ষক আনোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত

মাদারীপুরে ১৮০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১৬ জন

টাঙ্গাইলে ৩৩১২ প্রার্থী থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে ১২০ টাকায় ৫০ জনের পুলিশে চাকরি

উত্তরবঙ্গ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের অফিস উদ্বোধন
