ঢাকা রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মুজিবনগরে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের মামলা ফল ব্যবসায়ীর


মেহেরপুর প্রতিনিধি photo মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২-৯-২০২৪ বিকাল ৫:২২

১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় ও ৪০ লাখ টাকার ফল লুটপাটের অভিযোগে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগ নেতা, স্বাস্থ্য কমকর্তা, কলেজের অধ্যক্ষসহ ১৫৩ জনের নামের মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার )১২ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে (মুজিবনগর) আসাদুল হক নামে এক ফল ব্যবসায়ী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- মুজিবনগর উপজেলার অপসারিত চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অলোক কুমার দাস, মুজিবনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ওমর খৈয়াম উষা, আশরাফপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহাজ উদ্দিন, দারিয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আলম রবি, মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন, সদরের কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, অনলাইন জুয়ার এজেন্ট নুুরুল ইসলাম লালন, মাদার মাস্টারের ছেলে অনিক, লিপু, বিজয়, মুজিবনগর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান তকলিমা খাতুন তকলি।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে মুজিবনগর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মামলার এজাহারে বাদীর অভিযোগ, আসামিরা পরস্পর চাঁদাবাজ ও তৎকালীন ক্ষমতাধর ব্যক্তি। বাদী একজন মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী। তিনি তার এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মৌসুমি ফল তথা আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা ইত্যাদি ফল ক্রয় করে বিভিন্ন পাইকার-ফড়িয়ার কাছে বাগানে বাগানে বিক্রি করে থাকেন। বিগত আওয়ামী সরকার নির্বাচনের পর আসামিরা বাদীকে বলেন, তাদের সরকারের আমলে ব্যবসা করতে হলে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। ওই সময় বাদীর নিজের ও বিভিন্ন পার্টনারের সহিত প্রায় এক কোটি টাকার ফলকর লওয়া ছিল। আসামিদের হুমকিতে বাদী থানায় গেলেও পুলিশ প্রভাবশালী আসামিদের চাপে  কোনো অভিযোগ, এমনকি জিডি পর্যন্ত এন্ট্রি করেনি।

বাদী ও তার পরিবারের লোকজনদের আসামিদের মাধ্যমে খুন-গুম, অপহরণ ও লুটপাটের হুমকি আসতে থাকলে ও আসামিরা স্বয়ং অস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে চাঁদা দাবি করলে বাদী ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল ১নং আসামি আমাম হোসেন মিলুর বাড়ি গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ব্যবসা করেন। তারপর পুনরায় আসামিরা বাদীর কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলে বাদী আসামিদের বোঝান যে, সমস্ত বছরে ওই পরিমাণ লাভ হয় না, যেখান থেকে তাদের চাঁদা দেবেনে। কিন্তু আসামিরা বাদীর কোনো কথাই আমলে নেননি। ২০২১-২২ মৌসুমে আসামিরা বাদীর অনুমান ১৭টি বাগানের আম-লিচু মূল্য অনুমান ৪০ লাখ টাকার ফল লুট করে নিয়ে যায়। বাদী বাধা দিতে গেলে তাকে আসামিরা গণহারে এলোপাথাড়ি লাথি, কিল, ঘুষি মেরে গুরুতর জখম করে।

অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকায় বাদীকে আসামিরা আদালত চত্বরে পর্যন্ত আসতে দেয়নি। পুলিশের ভূমিকাও ছিল নীরব দর্শকের। আসামিরা দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হওয়ায় এবং তাহাদের দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে তিনি এ মামলা দায়ের করেন।

T.A.S / জামান

চেয়ারম্যান থেকে সাধারণ সম্পাদক জনআস্থার প্রতীক সাইফুল আলম মৃধা

জয়পুরহাটে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ইউডিআরটি প্রশিক্ষণ এর উদ্বোধন

রাণীশংকৈলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে

নড়াইলে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে তুলারামপুর ব্রিজের সৌন্দর্যবর্ধন উদ্বোধন

রাণীনগরে রাইডো ব্রেইন ব্যাটল কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

অভয়নগরে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম, অভিযানে ৭ দালালের কারাদন্ড

শিবচরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

সাতকানিয়া কেরানীহাটের মাছ বাবুল গ্রেফতার

কোটালীপাড়ায় শরীরে আগুন দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ ৫ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক

সিংড়ায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দোকান দখলের অভিযোগ

নাগেশ্বরী অগ্রহণী ব্যাংকে গ্রাহক হয়রানী চরমে