উলিপুরে শাক-সবজি চাষে লাভবান কৃষক

কুড়িগ্রামের উলিপুরে শীতকালীন শাক-সবজি হিসেবে লাউশাক বা লাউয়ের চাহিদা প্রচুর। সারাবছর বাজারে লাউশাকের চাহিদা থাকায় লাউশাক চাষের প্রতি বেশি আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। আবার লাউশাক সবার কাছে বেশ জনপ্রিয়। লাউশাক চাষ করে লাভবান হচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক। জমিতে লাউশাকের চাষাবাদ করে অল্প সময়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। লাউশাক চাষিদের মুখে ফুটেছে সাফল্যের হাসি। কৃষকরা লাউশাক চাষে মনোযোগী হয়েছেন। বাণিজ্যিকভাবে লাউশাক চাষের ক্ষেত্রে চাষিদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়।
মাত্র ৩০ দিনের মধ্যে লাউশাক বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। তা বাজারে বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করছেন লাউশাক চাষিরা। তারা বলেন, অল্প খরচ এবং অল্প সময়ে দ্বিগুণ টাকা আয় করা যায় লাউশাকে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫২০ হেক্টর, যা অর্জিত হয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির চাষ রয়েছে। তার মধ্যে লাউশাক একটি লাভজনক ফসল, যা দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে অল্প খরচে দ্বিগুণ আয় করা যায়।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উঁচু এলাকাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির চাষ করেছেন কৃষকরা। তার মধ্যে লাউশাক চাষের প্রতি ঝুঁকছেন অনেক কৃষক। অল্প সময়, কম পুঁজি এবং একটি গাছ থেকে বারবার শাক সংগ্রহ করতে পারার ফলে অধিক লাভের আশায় লাউশাক চাষের ক্ষেত্রে চাষিরা উৎসাহী হয়ে উঠছেন। এছাড়াও স্থানীয় বাজারে লাউশাকের রয়েছে প্রচুর চাহিদা। লাউশাকের বাজারদরও বেশ চড়া। তাই অধিক মুনাফার আশা করছেন চাষিরা।
উপজেলার দক্ষিণ দলদলিয়া ইউনিয়নের পাতিলাপুর গ্রামের লাউশাক চাষি এরশাদুল হক বলেন, প্রায় ২৩ শতক জমিতে লাউশাক চাষ করেছেন। মাত্র ৩০ দিনে লাউশাক বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। লাউশাক চাষে খরচ হয়েছে ৭ হাজার টাকা। সমস্ত শাক পাইকেরিতে বিক্রি করেছেন ২২ হাজার টাকা। দ্বিগুণের বেশি টাকা লাভ হয়েছে। একই জমিতে লাউশাকসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি বছরে প্রায় ৯ বার পর্যন্ত চাষ করা যায়। এ কারণে ধান চাষের প্রতি আগ্রহ অনেক কমেছে বলে জানান তিনি।
একই এলাকার বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষি শহিদুর রহমান, মমিন হোসেন, মহুবুল্লাহ, জব্বার আলী, শাহেব আলী ও আবেদ মিয়াসহ অনেকে বলেন, শাক-সবজি চাষে দ্বিগুণ লাভ করা সম্ভব। তার মধ্যে লাউশাক চাষের ৩০ দিনের মধ্যে বাজারজাত করার উপযোগী হয়ে ওঠে, যা একই জমিতে ৫ থেকে ৭ বার চাষ করা সম্ভব। এছাড়া একবার গাছের আগা কেটে নিলে প্রতিটি লাউগাছে আবারো ২-৩টি করে শাখা বের হয়। সেটাও কেটে বাজারে বিক্রি করেন তারা বলে জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মোশারফ হোসেন জানান, উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় উঁচু জমিগুলোতে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির চাষ হচ্ছে। এছাড়া লাউশাকের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। ফলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের লাউশাক চাষের বেশি আগ্রহ বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে শাক-সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
এমএসএম / জামান

ইলিশ পাচার সিন্ডিকেট বিলুপ্ত চান ভোলার উপকূলের জেলেরা

ঝিনাইদহে রেলপথের দাবিতে মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

লামা উপজেলায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

কোটালীপাড়ায় পোনা মাছ অবমুক্তকরণ

ত্রিশালে বাগান মাদরাসা পরিদর্শনে আইএমইডির মহাপরিচালক

কুড়িগ্রামে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মশালা

সার নীতিমালা বহালের দাবিতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজ তিন মাদ্রাসাছাত্রী, ২১ দিনেও সন্ধান মিলেনি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনাধান-১৭ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

রৌমারীতে মানষিক ও শারিরীক নিযাতনেই গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যা

চৌগাছায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ
