ঢাকা সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন


কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও photo কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ২৯-৯-২০২৫ বিকাল ৫:৩৭

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিটের পক্ষ থেকে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।
কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আজকে আমাদের সংগঠনকে সময় দেবার জন্য। আপনারা অবগত আছেন যে, এ দেশের উন্নয়ন ও উন্নতিতে কৃষিজ  উৎপাদনশীলতায় কৃষক সমাজ অধিকতর গরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি। কৃষিখাতের অতি আবশ্যকীয় পণ্য রাসায়নিক সার। এই রায়সানিক সার বিতরণ ব্যবস্থার বিসিআইসি ডিলারগণ রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব অনুধায়ী যথাযথ পরিপালনে ভুমিকা রেখে চলেছেন। ডিলারগণের পেশাগত অবস্থানের পাশাপাশি সেবা ও দায়িত্ব কর্মে বিএফএ তথা সকল জেলা ইউনিট সক্রিয় অবদানে ধারাবাহিক ভাবে থাকার লক্ষ্যে বর্ণিত বিষয়গুলি সরকারের দৃষ্টিতে সু-বিবেচনার জন্য আপনাদের মাধ্যমে উপস্থাপন করছি।
সকল প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আমাদের দাবি সমুহ।
১) রাসায়নিক সার উত্তোলন সংরক্ষণ ও বিপনন বাবস্থার চলমান নীতিমালা সঠিক বলে মনে করি। ডিলার সংখ্যা বৃদ্ধি নয়, সঠিকভাবে চাহিদা নিরুপণ অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদান করতে হবে। ডিলার সংখ্যা বৃদ্ধি হলে মনিটরিং ব্যবস্থায় সমস্যা হবে। ফলশ্রুতিতে কৃষক সহজ প্রাপ্তিতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
২) বিদ্যমান সার ডিলারদের ডিলারশীপ বহাল রাখতে হবে। একই পরিবারে যদি বাবা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-ভাই পৃথক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান থাকে এবং সরকারের চাহিদা মাফিক প্রয়োজনীয় দলিল দস্তাবেজ উপস্থাপন/সরবরাহ করতে সক্ষম হয়, তবে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক নিয়ম মোতাবেক ডিলারশীপ বহাল রাখতে হবে। যদি তা না করা হয় তাহলে প্রায় ৩০ বছরে ধরে যারা এ বাবসা করছেন তাদের বিভিন্ন ব্যাংকে অনেক টাকা ঋন রয়েছে। এছাড়াও গোডাউন এ পর্যাপ্ত সার অবিক্রিত রয়েছে এগুলোর দায়ভার কে নিবে?
৩) বিসিআইসি ডিলার ১৯৯৫-৯৬ সাল হইতে নিয়োগ প্রাপ্ত। সরকারী নিয়ম নীতি মেনে সেই ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয় এবং সকল ডিলার সুনামের সাথে প্রায় ৩০ বছর যাবৎ সার ব্যবসা করে আসছেন। বিসিআইসি ডিলারগণ ১০০% ইউরিয়া সার উত্তোলন করেন। ইউরিয়া সাদের সরকারী বিক্রয় মূল্য ১৩৫০ টাকা থাকলেও বর্তমানে ১২৯০ থেকে ১৫০০ টাকায় ইউরিয়া সার বিক্রয় হচ্ছে। কখনও এর চেয়ে বেশি মূল্যে ইউরিয়া সার বিক্রয় হয় নাই, এতে বোঝা যায় ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধি পায় নাই। পক্ষান্তরে নন-ইউরিয়া সারের দাম উর্ধ্বমুখী বলা হচ্ছে, কেন দাম বৃদ্ধির কথা উঠছে, কারণ ভেবে দেখার দরকার। আমাদের জানামতে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর এর বার্ষিক চাহিদার থেকে নন-ইউরিয়া সার ৪০% থেকে ৪৫% বরাদ্দ কম দেওয়া হয়। এটাই নন-ইউরিয়া সার ক্রাইসেলের অন্যতম কারণ।
৪) একজন ডিলার নিজে সব মোকামে গিয়ে রাসায়নিক সার উত্তোলন করে ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে এসে কৃষকদের মধ্যে সার সঠিক সময়ে ও সুষ্ঠ ভাবে বিতরণ সম্ভব নয়। অবশ্যই মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে রাসায়নিক সার উত্তোলন ও বিতরণের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৫) ১৫ বছর পূর্বের নির্ধারিত প্রতি বস্তা সারের ১০০ টাকা কমিশন দেওয়া হয়, যা অদ্যবদী বহাল আছে। এই কমিশন বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করতে হবে। কারণ জ্বালানী তেলের দাম বিগত ১৫ বছরে কয়েক দফা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও ব্যাংক সুদ, গুদাম ভাড়া কর্মচারী ব্যয়, লোড- আনলোডসহ আনুসাঙ্গিক যাবতীয় খরচ প্রায় ৫০% বৃদ্ধি পাওয়ার পরও বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধি করা হয়নি।
৬) সরকার কর্তৃক ভর্তুকি মূল্যে কৃষক পর্যায়ে সার বিক্রয় করা হয়। এধরনের সারের উপর কোন ভাবেই উৎস কর নির্ধারণ করা যৌতিক নয়, যাহা ইতিপূর্বেও ছিলো না। বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। অন্যখ্যায় সারের বাজার অন্তীতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
৭) টিএসপি সারের বরাদ্দ বাড়াতে হবে কিংবা একবারে বন্ধ করে দিতে হবে। সামান্য টিএসপি সার বরাদ্দ দিয়ে কৃষকের সম্পূন্ন চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। উক্ত কারণে অযথা কৃষকদের মাঝে বিক্রয়/ বিতরণ করতে যেয়ে অনাখাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিসিআইসি এর উৎপাদিত টিএসপি ও ডিএপি সার সঠিক সময়ের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। আমদানি কারকদের নন-ইউরিয়া সার জেলা পর্যায়ে সম্ভব না হলেও কমপক্ষে বিভাগীয় পর্যায়ে নন-ইউরিয়া সার সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮) ডিলার সংখ্যা বৃদ্ধি করলে এবং একজন ডিলারের তিনটি ওয়ার্ডে তিনটি বিক্রয় কেন্দ্র চালু করলে ৩০২ ০৬ জন ও একজন মালামাল উত্তোলন করবে মোট ৭ সাতজন কর্মচারী প্রয়োজন হবে। যার বেতন প্রয়োজন হবে প্রায় এক লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গে অন্য দিকে ডিলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ডিলার প্রতি বরাদ্দ কম হবে। 
যার কারণে মোট মুনাফা অনেক কম হবে। অথচ খরচ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং ডিলার সংখ্যা কম অথবা সিমীত রেখে নন-ইউরিয়ার বরাদ্দ বৃদ্ধি করলে কোন সমস্যাই হবে না বলে মনে করি। পাশাপাশি মনিটর ব্যবস্থা জোরদার রাখতে হবে।
৯) সর্বপরি যেকোনো সারের নীতিমালা করার আগে মাঠ পর্যায় অবশ্যই প্রতিটি জেলা/উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের ও বিএফএ এর প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন,বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন  জেলা ইউনিটের সভাপতিঃ মোদাচ্ছের হোসেন  সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ হাসান রাজু। 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী সহ ইউনিটের সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রন মিডিয়া কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

এমএসএম / এমএসএম

ইলিশ পাচার সিন্ডিকেট বিলুপ্ত চান ভোলার উপকূলের জেলেরা

‎ঝিনাইদহে রেলপথের দাবিতে মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

লামা উপজেলায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

কোটালীপাড়ায় পোনা মাছ অবমুক্তকরণ

ত্রিশালে বাগান মাদরাসা পরিদর্শনে আইএমইডির মহাপরিচালক

কুড়িগ্রামে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মশালা

সার নীতিমালা বহালের দাবিতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজ তিন মাদ্রাসাছাত্রী, ২১ দিনেও সন্ধান মিলেনি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনাধান-১৭ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

রৌমারীতে মানষিক ও শারিরীক নিযাতনেই গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যা

চৌগাছায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

নাটোরের সিংড়ায় পাওনা টাকার দাবিতে মানববন্ধন