তানোরে নিম্নমাণের কীটনাশকে বাজার সয়লাব
রাজশাহীর তানোরে ভেজাল ও নিম্নমাণের কীটনাশকে বাজার সয়লাবের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের অভিযোগ, মানহীন এসব কীটনাশক জমিতে দফায় দফায় প্রয়োগ করেও সুফল মিলছে না। সঠিক সময়ে কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের (এসএএও) পরামর্শও পাচ্ছেন ন। আবার ভেজাল ঠেকাতে কৃষি বিভাগের তেমন কোনো নজরদারিও নেই, নেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানও।
স্থানীয়রা জানান, কীটনাশক আসল, নকল না নিম্নমাণের, সে সম্পর্কে অধিকাংশ কৃষকের তেমন কোনো ধারণা নেই। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির কীটনাশক ব্যবসায়ী নিম্নমাণেন মানহীন কীটনাশকের রমরমা বাণিজ্য করে কৃষকের পকেট কাটছে।
কৃষকদের অভিযোগ, কীটনাশক ভেজাল ও নিম্নমানের হওয়ায় জমি থেকে পোকা সরানো যাচ্ছে না। ক্ষেতের মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকা সরাতে অনেক কৃষককে এরই মধ্যে জমিতে তিনবার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়েছে। আগামীতে পচন ও কারেন্ট পোকা রোধে কয়েক দফা স্প্রে দিতে হবে। এতে ধানের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে। ফলন বিপর্যয়েরও আশঙ্কা রয়েছে।
তারা বলেন, কৃষকদের এখন চরম সংকটময় অবস্থা চললেও এ সময় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তেমন কোনো সহায়তা ও পরামর্শ পাচ্ছেন না। অধিকাংশ সময় মাঠে কৃষি কর্মকর্তাদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বলেও দাবি করেন কৃষকরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৫ মে মুন্ডুমালা পৌর এলাকার কীটনাশক ব্যবসায়ী মেসার্স সুফিয়া টেড্রার্সের স্বত্বাধিকারী সামসুজ্জামান ডালিমের পরামর্শে তার দোকান থেকে কীটনাশক কিনে পাঁচন্দর গ্রামের বাসিন্দা সারুদ্দি সরকারের ছেলে কৃষক মাসুদ রানা তার সাড়ে তিন বিঘা বোরোক্ষেতে শীষকাটা রোগ প্রতিরোধে স্প্রে করেন। কিন্তু ৭ মে মাসুদ রানা জমিতে গিয়ে দেখেন তার জমির পুরো ধানগাছ পুড়ে খড়ে পরিণত হয়েছে। এতে তার প্রায় এক লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।
গত মৌসুমে উপজেলার সরনজাই ইউপির সরনজাই খাঁপাড়া গ্রামের মৃত রহমান শাহ্র ছেলে দারেস আলী ইউপির মণ্ডলপাড়া বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী মিজানের পরামর্শে তার দোকান থেকে কয়েক প্রকার কীটনাশক কিনে ৮ বিঘা আমনের ক্ষেতে স্প্রে করেন। কিন্তু এসব কীটনাশক স্প্রে করার পরপরই ধানগাছের পাতা পুড়ে ঝলসে যায়। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
কৃষকরা জানান, উপজেলার কামারগাঁ ইউপির মাদারীপুর বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী ময়েজ, কামারগাঁ বাজারের সুমন ও সজিব দীর্ঘদিন যাবত কেশরহাট থেকে নিম্নমাণের কীটনাশক এনে বিক্রি করছেন। কেশরহাটের জনৈক মোখলেছুর তাদের কাছে এসব কীটনাশক সরবরাহ করছেন।
২০২১ সালের ২০ এপ্রিল বুধবার মাদারীপুর বাজারের মেসার্স সিজান ট্রেডার্স থেকে মাদারল্যান্ড কোম্পানির বিভিন্ন ধররেনর ৬ কার্টন নিম্নমাণের কীটনাশক জব্দ করেন উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা। কিন্তু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ বা জব্দকৃত কীটনাশক অফিসে না এনে গোপনে তড়িঘড়ি ব্যস্ত রাস্তার পাশে পুড়িয়ে দিয়ে ব্যবসায়ীকে দায়মুক্তি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোনে কল গ্রহণ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এমএসএম / জামান
তারেক রহমানের সংবর্ধনা : চাঁদপুর থেকে যাবে ২৫ হাজার নেতাকর্মী
নাগেশ্বরীতে পূর্ব দুধকুমর পাড় মানব কল্যাণ যুব সংগঠনের শীত বস্ত্র বিতরণ
ভোলাহাট সদর ইউনিয়নে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
দূর্গম পাহাড়ে বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসন করল সেনাবাহিনী
বাংলাদেশ থেকে মানবপাচারকালে ৩ বাংলাদেশি আটক
আধুনিকতার ছোঁয়ায় গরু দিয়ে হালচাষ এখন শুধুই স্মৃতি
গাজীপুর রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত বাবুল-টুলু প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়
জয়পুরহাটে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে অ্যাডভোকেসি ডায়ালগ
ভূঞাপুরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দেড় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
মান্দায় দায়সারা কাজ করে প্রকল্পের সাড়ে ৩০ টন চাল গায়েব
অভয়নগরে মাদরাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ
তানোরে অসহায় দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ