পটুয়াখালীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের তদন্ত শুরু
পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর সাবিনা আক্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তালেবের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। বিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকমল হোসেন বুধবার (২ অক্টোবর) বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন।
এদিকে, বুধবার দুপুরে তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক আবু তালেবের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, আবু তালেব ২০১২ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই আওয়ামী লীগের দাপট দেখিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, শিক্ষার্থী বেতন, উপবৃত্তি ও টিউশন ফিসহ নানা তহবিলের ২০ লক্ষাধিক টাকা, ল্যাপটপ, হোয়াইট বোর্ডসহ নানা উপকরণ আত্মাসৎ করেছেন।
তিনি গত ১২ বছরে বিভিন্ন তহবিলের ৩২ লাখ ২৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার ফি বাবাদ ৯ লাখ টাকা, মার্কশিট, প্রশংসাপত্র ও প্রবেশপত্র, সার্টিফিকেট বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত ৮ লাখ টাকা, উপবৃত্তি বাবাদ ২ লাখ, উপবৃত্তির পিন কোড দিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা, ২০১৪ সালে ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে ২১ হাজার টাকা, ২০২৪ সালের ৮ম-৯ম শ্রেণি পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন বাবদ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা, শিক্ষার্থী ভর্তি ফি বাবদ ২ বছরের ২ লাখ টাকা, টিউশন ফি বাবদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তিনি শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে তার পক্ষের শিক্ষকদেে সপ্তাহে ৯-১০ টি পিরিয়ড আর প্রতিপক্ষের শিক্ষককে ৩০-৩২ টি ক্লাস দিয়ে হয়রানি করেন।
তিনি বিদ্যালয়ের সকল ধরনের আয়ের টাকা নিজে গ্রহন করে আত্মাসাত করেন, শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল দেয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেন, শিক্ষার্থী ভতি বাবদ ৭৫০ থেকে ১ হাজার টাকা নেন, এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরনে দেড় হাজার টাকা করে অতিরিক্ত ফি গ্রহন করেন আবার প্রবেশপত্র বিতরণকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৬০০ টাকা নেন।
গরিব, মেধাবী ও ক্লাসে উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে সরকার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিয়ে থাকে কিন্তু এসব বিষয় বিবেচনায় না রেখে আর্থিক লেন-দেনের মাধ্যমে নিজের ইচ্ছামত উপবৃত্তি দিয়ে থাকেন। এছাড়াও, তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক (তুই-তুকারি) করেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের বিএড ও উচ্চতর স্কেল দেয়ার জন্য মোটা অংকের ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়। সহকারি শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছ থেকে উচ্চতর স্কেল করার জন্য ৫০ হাজার টাকা, বিলকিস নাহারের কাছ থেকে ৩৭ হাজার টাকা, আফরোজা বেগমের কাছ থেকে বি.এড স্কেল করাতে ৩০ হাজার টাকা, ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানার ইব্রাহিমের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা নেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে নানাভাবে হয়রানী করা হয়। টাকা না দেয়ায় ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সহকারি শিক্ষক অনিমেশ চন্দ্র সরকারের ১৫ দিনের বেতন কর্তন করা হয়।
তিনি ১০ বছরেও ম্যানেজিং কমিটির কোন সভা করেননি। রেজুলেশন খাতায় আলোচ্য বিষয় না লিখে শিক্ষক প্রতিনিধিদের অনেকগুলো স্বাক্ষর একসাথে দিতে বাধ্য করেন। শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন সীটে প্রতিমাসে স্বাক্ষর নেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষকের রক্তচক্ষুর রোষানলে ১২ মাসের স্বাক্ষর একসাথেই দিতে হয়। প্রধান শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না, শ্রেণী কক্ষে পাঠদানে অংশগহন করেন না, শিক্ষক হাজিরা খাতায় একসাথে অনেকগুলো স্বাক্ষর ও অযৌক্তিক কারণ দর্শান।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবু তালেব জানান, কেউ অভিযোগ দিতেই পারে। যাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছে তারা তদন্ত করে দেখেন। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফফাত আরা উর্মি জানান, শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
T.A.S / জামান
মির্জা ফখরুলকে নিয়ে কন্যার হৃদয়স্পর্শী পোস্ট
পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তীব্র ক্ষোভে উত্তাল নেছারাবাদ উপজেলা
কুমিল্লায় মনিরুল হক চৌধুরীর সমর্থনে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
ধামইরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিশুদেরকে কোরআনের ছবক প্রদান
আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩দিন পর ডোবার থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
পাবনায় রেজিস্টারদের প্রাণনাশের হুমকি! সেই শাহীনসহ ৬ দলিল লেখকের সনদ বাতিল
হালদা নদী থেকে বালুভর্তি ড্রেজার জব্দ, চালককে জরিমানা
শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব,নদীভাঙনের মুখে শত শত ঘরবাড়ি
বগুড়ার শেরপুরে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত
গ্রাম আদালতকে আরও গতিশীল করতে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের চেষ্টা চলবে-নেত্রকোনায় দেলাওয়ার হোসেন আজিজী
চট্টগ্রামের ৫টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ