আলফাডাঙ্গায় একজনের মরদেহ উদ্ধার
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সদর ইউনিয়ন এর জাটিগ্রম পশ্চিম পাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার পাশে ধানক্ষেত থেকে রবিউল ইসলাম রবি (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় তোতা ফকির (৪০) নামে অপর এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১১ অক্টোবর শুক্রবার সকালে ৮টা সময় ধানক্ষেত থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
নিহত গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার খায়েরহাট বেলতলা এলাকার মৃত. মোদাচ্ছের ফকিরের ছেলে রবিউল ইসলাম রবি। আহত ওই একই গ্রামের চুন্নু ফকিরের ছেলে তোতা ফকির। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়রা ধানক্ষেতে দুইজনকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে তাদের মধ্যে রবিউল ইসলাম রবিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এছাড়া তোতা ফকিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত ও আহত ব্যক্তির শরীরের একাধিক স্থানে বিদ্যুৎস্পর্শের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পর্শে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অপরজনের হাতে বিদ্যুতের শকের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত রবিউল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা বেগম জানান, তার স্বামী ভ্যান চালিয়ে জীবিকানির্বাহ করেন। বৃহস্পতিবার বিকালে ৫টা বাড়ি থেকে বের হয়।শুক্রবার সকালে তার ননদ ফেসবুকে রবির ছবি দেখে খবর দেন তখন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামীর লাশ দেখে চিনতে পারে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে তাকে অনেক বার ফোন করি ফোন বন্ধ পায়।রবির স্ত্রী এর ধারণা করেন বলেন তার স্বামীকে খায়েরহাট গ্রামের আলমগীর সিকদার ও মহাসিন মুন্সি নামে দুই জন পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে। তার স্বামীর কাছে কিছু দিন আগে তার দুই জন চাঁদা দাবি করেছিলেন।গত ৩ আগষ্ট আলমগীর ও মহাসিন নামে গোপালগঞ্জ একটি মামলা করে এই ঘটনা জন্য। আভিযোগ অস্বীকার করে আলমগীর সিকদার বলেন রবি পেশাদার চোর।সে নানা অপরাধের সাথে জরিত।আলমগীর বলেন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর রশীদ বলেন, ধানক্ষেত থেকে একজনকে মৃত অবস্থায় ও অপরজনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গভীররাতে তারা দু’জন একসঙ্গে চুরি করতে এসে বিদ্যুৎস্পর্শে এ দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছেন। আগেও তারা বিভিন্ন চুরির সাথে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।উভয়ের নামে আলফাডাঙ্গা, কাশিয়ানী সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে।
T.A.S / T.A.S