কুতুবদিয়ায় জরায়ু ক্যান্সারের টিকা পাবে ৭৯৩৮ কিশোরী
কক্সবাজারে কুতুবদিয়ায় ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানবহির্ভূত প্রায় ৮ হাজর কিশোরীকে জরায়ুমুখের ক্যান্সার রোধে এইচপিভি টিকা দেয়া হবে। তারমধ্যে ৭ হাজার ৬৯৭ জন স্কুল-মাদ্রাসাগামী ছাত্রী এবং ২৪১ জন স্কুলবহির্ভূত কিশোরী। উপজেলার মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে একযোগে চলবে টিকাদান কার্যক্রম। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কেন্দ্র থাকবে ৮টি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শেখ রাসেল সম্মেলন কক্ষে এইচপিভি (HPV) টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত উপজেলা কো-অর্ডিনেশন সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দক্ষ কর্মীদের দিয়ে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। ১৮ দিনব্যাপী চলবে এ কার্যক্রম। প্রথম ১০ দিন উপজেলার ১০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭ হাজার ৬৯৭ জন ছাত্রীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া হবে। বাকি ৮ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানবহির্ভূত ২৪১ জন কিশোরী ও বাদ পড়া কিশোরীদের টিকা দেয়া হবে।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ু ক্যান্সার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশে প্রতি এক লাখ নারীর ১১ জন জরায়মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রতি বছর প্রায় ৪ হাজার ৯৭১ জন মহিলা মৃত্যুবরণ করেন। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এ টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। বাংলাদেশ সরকার বিনামূল্যে এ টিকা প্রদান করার উদ্যোগ নিয়েছে। টিকা নিলে জরায়ুমুখের ক্যান্সার থেকে নিরাপদ থাকা যাবে।
টিকা পেতে হলে অনলাইনে www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে কিশোরীর জন্ম নিবন্ধন ও অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে প্রথম নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের প্রিন্ট কপি সাথে রাখতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বক্তারা জানান, জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়িত না হলে ২০৩০ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় সাত লক্ষ নারী আক্রান্ত হবেন যার প্রায় চার লক্ষ মৃত্যু বরণ করবেন এবং সিংহভাগই ঘটবে উন্নয়নশীল দেশে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পকর্মকর্তা মোস্তফা নাদিম সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সবাই প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাদাত হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমএসএম / জামান