তানোরে লাগামহীন নিত্যপণ্যের দাম, দিশাহারা ভোক্তারা
রাজশাহীর তানোরে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এতে ভোক্তারা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। নিত্যপণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বেকায়দায়। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) হাটের দিন এবং শুক্রবার গোল্লাপাড়া বাজার হাটের দিন। রাজশাহী জেলার মুন্ডুমালা হাট ও তানোর গোল্লাপাড়া হাট, কালীগঞ্জ হাট, কৃষ্ণপুর বাজার, বিল্লী বাজার, কামারগাঁ বাজার, তালন্দ বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পূর্বের থেকে অনেক চড়া দামে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
এ সময় খুচরা মূল্যে আলু পতি কেজি ৬০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁপে পতি কেজি ৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০টাকা, জিংগা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ভেন্ডি প্রতি কেজি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৭০ টাকা, লাউ ছোট প্রতি পিস ৩০ টাকা, লাউ বড় প্রতি পিস ৫০ টাকা, কাঁচকলা প্রতি পিস ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে শুকনা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১০ টাকা, রসুন প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, গুঁড়া হলুদ প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, গুঁড়া মরিচ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, মসুর ডাউল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, বুটের ডাল প্রতি কেজি ৭৫ টাকা, জিরা প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৭০ টাকা, সরিষার তেল প্রতি কেজি ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ সময় বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, এখানে আমাদের কারো কিছু করার নেই। আমরা পাইকারি মার্কেট থেকে ক্রয় করে নিয়ে আসি। ওখান থেকে যে দর নির্ধারণ করা হয় তার থেকে সীমিত লাভে আমরা এখানে খুচরা মূল্যে বিক্রি করি ।আমরা পাইকারি বাজারে কম দামে ক্রয় করতে পারলে ক্রেতাদের কাছেও কম মূল্যে বিক্রি করতে পারি।
অন্যদিকে চাল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আগে প্রতি ৫০ কেজি চালের বস্তা আমরা বিক্রি করতাম ১৬৫০ থেকে ১৭০০ টাকায়। এখন আমাদের ২৪৫০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ পাইকারি মার্কেটে ৫০ কেজি বস্তা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা পাইকারি বাজার থেকে যেভাবে ক্রয় করি, ঠিক তেমনভাবে সীমিত লাভে খুচরা বাজারে বিক্রি করি।
এ সময় মুন্ডুমালা বাজারের অনেক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তাদের ভেতর দিনমজুর জামানের সাথে কথা হলে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে সকালের সময়কে বলেন, আমার সংসারে আমরা পাঁচজন, তিনটি ছেলে পড়াশোনা করে। আমরা স্বামী স্ত্রী দুজন। আমার সংসারে উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তি আমি। প্রতিদিন কাজ পাওয়া যায় না, মাসের ভেতর ১৫-২০ দিন কাজ পাওয়া যায়। দৈনিক মজুরি পাই ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। তারপর এখন কাজ খুবই কম। কোনো সপ্তাহে দুদিন আবার কোনো সপ্তাহে তিন দিন কাজ পাই। নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বৃদ্ধি হয়েছে, তাতে খেয়ে না খেয়ে কোনোরকম জীবনযাপন করছি।
অনেকে বলছেন, বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে দোকানিরা বেশি দাম নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিনহাহাজুল ইসলাম বলেন, খুব তাড়াতাড়ি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
জামান / জামান
তারেক রহমানের সংবর্ধনা : চাঁদপুর থেকে যাবে ২৫ হাজার নেতাকর্মী
নাগেশ্বরীতে পূর্ব দুধকুমর পাড় মানব কল্যাণ যুব সংগঠনের শীত বস্ত্র বিতরণ
ভোলাহাট সদর ইউনিয়নে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
দূর্গম পাহাড়ে বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসন করল সেনাবাহিনী
বাংলাদেশ থেকে মানবপাচারকালে ৩ বাংলাদেশি আটক
আধুনিকতার ছোঁয়ায় গরু দিয়ে হালচাষ এখন শুধুই স্মৃতি
গাজীপুর রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত বাবুল-টুলু প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়
জয়পুরহাটে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে অ্যাডভোকেসি ডায়ালগ
ভূঞাপুরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দেড় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
মান্দায় দায়সারা কাজ করে প্রকল্পের সাড়ে ৩০ টন চাল গায়েব
অভয়নগরে মাদরাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ
তানোরে অসহায় দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ