ঝিনাইদহে পীর সাহেব চরমোনাই
বারবার নেতা পরিবর্তন না করে নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন করলেই দেশে ইনসাফ কায়েম হবে : চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম পীরসাহেব চরমোনাই বলেছেন, বারবার নেতা পরিবর্তন না করে নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে আমাদের বারবার রক্ত দিতে হবে। নেতা পরিবর্তনের মাধ্যমে কখনো শান্তি ও বৈষম্য নিরসহ হতে পারে না।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যায় জড়িতদের বিচার, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ, দুর্নীতিবাজদের বিচার ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ গণসমাবেশের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, দেশ বর্তমানে যে অর্থতৈনতিক ব্যবস্থা চলছে তাছে গরিব কোনোদিন ধনী হবে না। বরং ধনী আরো বড়লোক হবে। কোনো বাতিল ইসলাম বাংলাদেশে কায়েম হতে দেয়া হবে না। কোনো মনগড়া ইসলাম চলবে না। আমরা ফেয়ার, আমরা পিয়ার সিস্টেমে নির্বাচন চাই। এভাবে নির্বাচন হলে দেশে সকল রাজনৈতিক দলের অংশীদারিত্ব থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ক্ষমতায় এলে দেশ হবে মুসলমানদের এবং অধিকার হবে সবার। দেশ স্বধীনের ৫৩ বছরে এ দেশের মানুষ বহুবার রক্ত দিয়েছে, আন্দোলন করেছে কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। দেশে ন্যায়বিচার ও ইনসাফ কায়েম হয়নি। নিজে পরিবর্তন হয়ে দেশ পরিবর্তন করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ডা. এইচএম মোমতাজুল করীমের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আহমদ আব্দুল জলিল, ঝিনাইদহ জেলা সেক্রেটারি প্রভাষক মাওলানা শিহাব উদ্দীন, আলহাজ ক্কারী ওমর আলী, মুহাম্মদ রায়হান উদ্দীন, মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, মাওলানা নিজাম উদ্দীন মুন্সি, মাওলানা মিরাজ হুসাইন, মুফতি নাজির আহম্মেদ, মুফতি মুহাম্মাদ আলী হুসাইন, মাওলানা শহীদুল ইসলাম, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মুহাম্মদ ফারুক হোসেন ও এইচএম নাঈম মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, এই ভুখণ্ড মুসলমানরা শাসন করেছে। কিন্তু কিছু মুনাফেকের কারণে আমরা পরাজিত হয়েছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সে সময় দিল্লির ষড়যন্ত্রে ৮০ হাজার মাদ্রাসা ধ্বংস করা হয়েছে। আলেমদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। হাজার হাজার আলেমকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্রিটিশরা যখন দিল্লি দখল করেছিল, তখন ওলি-আউলিয়ারা আন্দোলন করে তাদের এই ভুখণ্ড থেকে বিতাড়িত করেছিলেন। কিন্তু মুসলমানরা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক অবস্থান পায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হিন্দু জমিদাররা বিশেষ করে রবিঠাকুর চিঠি লিখে ৪১ বার বাধা দিয়েছিল। তারপরও নবাব স্যার সলিমুল্লাহ (র.) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যখন রক্ত দিয়ে মুসলমানরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, আর সেই মুসলমানদের বলা হয় সাম্প্রদায়িক। তিনি বলেন, এই উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে মুসলমানরা রক্ত দিয়ে অবদান রেখেছেন। তাই এ দেশ মুসলমানদের হলেও অধিকার সবার।
তিনি বলেন, পাকিস্তান গঠনের মাধ্যমে মুসলিমদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়। সেই পাকিস্তান গঠনেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুসলমানরা। পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ আবারো বৈষম্যের শিকার হতে থাকেন। দেশের মানুষ আবারো যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মূলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিকতা, ন্যায়বিচার ও সামাজিক মর্যাদা। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর ’৭২ সালের সংবিধানে মূলনীতি হিসেবে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মতো কুফরি মতবাদ চাপিয়ে দেয় ভারত। ভারতের প্রেসক্রিপশনে সংবিধান লেখা হয়। ফলে দেশের মানুষ সাম্য ও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতে থাকে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশে লুটপাট করেছে। তার মন্ত্রী, এমপি ও সাধাারণ নেতাকর্মীরা শত নয়, হাজার নয়; লাখ লাখ কোটি টাকার মালিক। যে দেশে শেখ হাসিনার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়, পিয়ন হেলিকপ্টারে ঘোরে, ফরিদপুরের ছাত্রলীগ নেতা দুই হাজার কোটি পাচার করে, মন্ত্রীরা কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি করে, বিদেশে ভূমিমন্ত্রীর হাজার হাজার কোটি টাকার বাড়ি পাওয়া যায়, সে দেশের অর্থনীতির আর কী অবশিষ্ট থাকতে পারে?
তিনি বলেন, হাসিনার আমলে যুবলীগ নেতা সম্রাট সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনো খেলে ২০০ কোটি টাকা হারে, ১৪ কোটি লাখ টাকা পাচার করা হয়, ৯৮ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়, এটাই কি দেশের মানুষ চেয়েছিল?
তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগ করে তাদের জন্য সাত খুন মাফ, এটা সাম্যতা হতে পারে না। এজন্য আমরা দেশ স্বাধীন করিনি। আমরা মুসলিম লীগ দেখেছি, আ’লীগ দেখেছি, জাতীয় পার্টি দেখেছি, বিএনপি দেখেছি। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে দেখিনি। তাই আসুন দেশে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হলে ঘুষ, দুর্নীতি ও কালো টাকার নির্বাচন বন্ধ করতে হলে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন চাই।
তিনি বলেন, দেশে যদি কেউ মডারেট ইসলাম কায়েম করতে চায়, সে বেইমান হয়ে যাব। দেশে কারো মনগড়া ইসলাম কায়েম করতে দেয়া হবে না। গত ৫ আগস্টের পর দেশব্যাপী যারা লুটপাট, চাঁদাবাবি ও দখলদারিত্ব কায়েম করেছে, তাদের প্রত্যাখ্যান করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পরে তিনি দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন।
T.A.S / জামান

কুতুবদিয়ায় পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা

দুমকিতে রাস্তা দখলের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ

মুকসুদপুরে দূর্গাপূজা উপলক্ষে মুকসুদপুর থানার আয়োজনে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত

ধামরাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

পটুয়াখালীতে সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উপকূলে বৃষ্টিপাত

কোনাবাড়িতে ডিভোর্সকৃত স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে সাবেক স্বামীর আত্মহত্যা

বিএনপি সরকার গঠন করলে জনগণের ভোগান্তি লাঘব হবে ও জনস্বার্থে সকল রাস্তার কাজ করা হবেঃ সিরাজুল ইসলাম সরদার

নেত্রকোনার মদনে চেয়ারম্যান-মেম্বারের ভুয়া ওয়ারিশান সনদে সম্পদ বঞ্চিত মা-মেয়ে

পাবিপ্রবিতে ‘প্রমীত ভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব’ নিয়ে ভাষা বক্তৃতা অনুষ্ঠিত “সর্বত্র ভাষার অপপ্রয়োগ দূর করতে হবে”

ধামইরহাটে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলমূখী করতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান

কালকিনিতে দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ করতে বিএনপির মতবিনিময়

চন্দনাইশে শান্তিবাহিনী ৬সদস্য সেনাবাহিনীর হাতে আটক
