চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টু হত্যাকাণ্ড
মূল আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে, অভিযোগ পরিবারের

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ৩নং ফিলিপনগর ইউনিয়নের জননন্দিত ও পরপর তিনবারের চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টুকে আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিষেধ করা, শূন্যপদ তৈরি করে চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন দেখা এবং সন্ত্রাসীদের প্রভাব বিস্তারের জন্য পূর্বশত্রুতার জেরে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার নিজ অফিস কক্ষে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যা মামলার প্রধান আসামি সন্ত্রাসী তরিকুল ইসলাম টুকুকে দীর্ঘ নজরদারির পর গত ১৪ অক্টোবর সোমবার রাতে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান পাভেলের নেতৃত্বে পাবনা সদর উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুরের এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের ছত্রছায়ায় তরিকুল ইসলাম টুকু মামা-ভাগ্নের পরিচয়ে চলাফেরা করত। আর এই প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার পরিবারের দুজন নেতার সাহসেই তরিকুল ইসলাম টুকু দীর্ঘদিন যাবত শান্ত ফিলিপনগরকে অশান্ত, চাঁদাবাজিসহ নানান অপকর্মে লিপ্ত ছিল টুকু গ্যাংয়ের সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, টুকু গ্যাংয়ের সদস্যরা পলাতক রয়েছে, কিন্তু যে কোনো সময় ফিলপনগর ইউনিয়নে আবারো দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে বলে গুঞ্জন চলছে।
এদিকে সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যা মামলার প্রধান আসামি টুকুকে দৌলতপুর থানা পুলিশ জেলহাজতে পাঠানোর পর শারীরিকভাবে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার কারণে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে পুলিশ হেফাজতের মাধ্যমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর পর টুকুর শারীরিক অবস্থা গুরুতর হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার আগারগাঁওয়ে জাতীয় কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে রেফার কর হয়।চিকিৎসাধীন অবস্থায় টুকু তার সেই মামা-ভাগ্নে সম্পর্কের মামা ও শিপন মোল্লাকে মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য কল করে কথা বলেন, আইনবহির্ভূত।
এদিকে টুকুর বর্তমান বাড়ি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার স্কুলপাড়া পশ্চিম (স্কুলপাড়া চারা বটতৈলা) এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টুকু দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র ও গোলাবারুদের ব্যবসা করে। তবে ২০২১ সালের গত ৩১ মার্চ টুকু আনোয়ারা বেগম (৬৫) নামে এক বয়স্ক মহিলাকে জবাই করে হত্যা করে। ওই বয়স্ক মহিলার ছেলে ২০২১ সালের ২ এপ্রিল ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বাদীদের পক্ষ হতে আবেদনের ফলে পাবনা আদালত থেকে পাবনা জেলা পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এদিকে একটি সুইসাইড স্কোয়াড ধরে তৈরি করে দীর্ঘদিন এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন টুকু। টুকু গ্রেফতার হলেও সুইসাইড স্কোয়াডের এজাহারভুক্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি। তাই এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যা মামলা বাদীর পরিবার ও স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের পুলিশ বাহিনী কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের দক্ষ অফিসাররা কাজ চলমান রেখেছেন। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে হত্যাকারীরা যে-ই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
T.A.S / জামান

পিরোজপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ উদযাপন

বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম

বকশীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

বাকেরগঞ্জে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুরে ৪৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের পরিবার পেল ২৫ লাখ টাকা

ঈশ্বরদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

সাটুরিয়ায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

মেহেরপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ৫ টি গরু চুরি

কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ডিজিটাল লার্নিং সেন্টার উদ্বোধন
