ঢাকা শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫

শ্রীপুরে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী কুপি বাতি এখন শুধুই স্মৃতি


শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  photo শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২১-১০-২০২৪ বিকাল ৫:৫৯

গাজীপুরে বহুকাল আগ থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে কেরোসিনের কুপি বাতি। যুগ যুগ ধরে কেরোসিন তেলের বাতির ভূমিকা অপরিসীম। জেলার প্রতিটি ঘরে জ্বলত কেরোসিনের বাতি। আঞ্চলিক ভাষায় এর বিভিন্ন নাম ছিল। যেমন কুপি, চেরাগ, দোয়াত ইত্যাদি। টিপটিপ করে জ্বলত। কুপি বাতি এখন শুধুই স্মৃতি। কালের বির্বতনে কুপি বাতির স্থান দখল করে নিয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্ব, চার্জার, চার্জার ল্যাম্প, চার্জার লাইটসহ আরো অনেক কিছুই।

শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সন্ধ্যা হলেই টিম টিম করে জ্বলত কোরোসিন তেলের হাতবাতি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এখন হাট-বাজারে জ্বলে ওঠে বিদ্যুতের আলো। তাই গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে এখন আর কেরোসিনের বাতি ও চুঙ্গা এখন আর চোখ পড়ে না। গ্রামের মানুষরা সামর্থ্য অনুযায়ী কুপি কিনে ব্যবহার করতেন। বাজারে সাধারণত দুই ধরনের কুপি পাওয়া যেত, বড় ও ছোট। বেশি আলোর প্রয়োজনে কুপি বাতিগুলো কাঠ এবং মাটির তৈরি গছা অথবা স্ট্যান্ডের উপর রাখা হতো। এই গছা অথবা স্ট্যান্ডগুলো ছিল বাহারি ডিজাইনের। রূপসী-গ্রামবাংলার আপামর মানুষের কাছে কুপি বাতির কদর কমে গেলেও আবার কেউ কেউ এই কুপি বাতির স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আছেন।

শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি রানা মাসুদ জানান, অমাবস্যার রাতে মিটি মিটি আলো জ্বালিয়ে গ্রামের মানুষের পথ চলার স্নৃতি এখনো সৃষ্টিশীলদের কাছে টানে। এমন একটা সময় ছিল যখন গ্রামবাংলার আপামর জনসাধারণের অন্ধাকারে একমাএ আলোক বর্তিকার কাজ করতো এই কুপি বাতি। কুপি বাতিগুলো ছিল বিভিন্ন ডিজাইনের ও বাহারী রঙের।এই কুপিগুলো তৈরি হত কাঁচ, মাটি, লোহা আর পিতল দিয়ে। গ্রামবাংলার মানুষ সামর্থ অনুযায়ী কুপি কিনে ব্যবহার করতেন। বাজারে সাধারনত দুই ধরনের কুপি পাওয়া যেত বড় ও ছোট।

কেওয়া পূর্বখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান জানান, বেশি আলোর প্রযোজনে কুপি বাতিগুলো কাঠ এবং মাটির তৈরী গছা অথবা স্টান্ডের উপর রাখা হত। এই গছা অথবা স্টান্ডগুলো ছিল বিভিন্ন ডিজাইনের ও বাহারী ।কিন্তু বর্তমানে গ্রামে বিদ্যুতের ছোঁয়ায় কুপি বাতির কদর যেন হারিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকলেও গ্রামবাংলার মানুষ ব্যবহার করছেন সৌর বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন রকমের চার্জার লাইট। রুপসী-গ্রামবাংলা আপামর মানুষের কাছে কুপি বাতির কদর কমে গেলেও আবার কেউ কেউ এই কুপি বাতির স্নৃতি আকড়ে ধরে আছেন।

শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের  ইতিহাস বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান হাসান সেলিম জানান, বিদ্যুৎ বা সৌর-বিদ্যুৎ এর যুগেও আমরা এখনও এই কুপি বাতি ব্যবহার করছি । অনেকে আবার স্বযত্নে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের নিদর্শণ স্বরুপ এটি সংরক্ষণ করে রেখেছেন ।কুপি বাতির ব্যবহার ও কদর যে হারে লোপ পাচ্ছে তাতে অদুর ভবিষ্যতে কুপি বাতি শুধু স্নৃতি হয়ে থাকবে। আবহমান গ্রামবাংলায় কুপি বাতির মত ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন আজ প্রযুক্তির কল্যাণে বিলীন হযে যাচ্ছে।

কুপি বাতির ব্যবহার ও কদর যে হারে লোপ পাচ্ছে। তাতে অদূর ভবিষ্যতে এটি শুধুই স্মৃতি হয়ে থাকবে অথবা কোনো এক যাদুঘরে সংরক্ষণ করে রাখা হবে আগামীর প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য।

T.A.S / জামান

সোনারগাঁয়ে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা আটক ১

নার্সিং প্রশাসন একীভূতকরণের প্রতিবাদে পিরোজপুরে মানববন্ধন

চাঁপাই প্রেসক্লাবের স্থায়ী কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন

শ্রীনগরে বসতবাড়িতে হামলা, আহত ৩

মোহনগঞ্জে লোকাল ট্রেনের চলাচল বন্ধ, যাত্রীরা দুর্ভোগে

গোবিপ্রবি প্রশাসনের উদ্যোগে সপ্তাহজুড়ে নানা কর্মসূচি ও উন্নয়ন কার্যক্রম

সর্বস্ব হারিয়ে স্ট্রোকে আক্রান্ত ইউনুসের যাত্রী ছাউনিতে মানবেতর জীবনযাপন

আদমদীঘিতে দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে লুম উপ-প্রকল্পের প্রকল্প পরিচিতি কর্মশালা

জয়পুরহাটে তেঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষক কে সংবর্ধনা প্রদান

শ্রীপুরে অনুমোদনহীন পশুখাদ্য উৎপাদন: গ্রেজ এগ্রো লিমিটেডকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

ইন্দুরকানী ইউসিসিএ নির্বাচনে ফায়জুল কবির তালুকদার সভাপতি নির্বাচিত

নোয়াখালীতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জায়গা দখল ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

ঈশ্বরদীতে নেসকো ঈশ্বরদী দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিবাদসভা ও বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত