ঢাকা বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

তানোরে কালের সাক্ষী ভাগনা মসজিদ


সোহানুল হক পারভেজ, তানোর photo সোহানুল হক পারভেজ, তানোর
প্রকাশিত: ৮-১১-২০২৪ দুপুর ১১:৫৩

রাজশাহী জেলার উত্তর-পশ্চিম কোণে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে শিবনদী এবং বিলকুমারীর পশ্চিমপাড়ে বরেন্দ্র ভূমির প্রাণকেন্দ্র তানোর উপজেলা। প্রাচীনকালে মানুষের বসবাস কম থাকলেও এখানেও রয়েছে প্রাচীন অনেক স্থাপনা। এগুলোর মধ্যে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে তানোর উপজেলার সরনজাই ইউনিয়নের সিধাইড় ভাগনা গ্রামে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট ঐতিহ্যবাহী ভাগনা মসজিদ।

মসজিদটি আসলে কবে কে নির্মাণ করেছেন তার সুস্পষ্ট তথ্য স্থানীয়রা বলতে পারেন নি। গ্রামের মানুষজন সাধারণত বলে তাদেরই কোন পূর্বপুরুষ এই মসজিদটি নির্মাণ-কাজ শুরু করেছিলেন। বর্তমানে মসজিদটি এলাকাবাসীর মাধ্যমেই পরিচালিত হয়ে আসছে এবং জুম্মার নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয়।

তবে ধারণা করা হয়, ১২২০ হিজরি থেকে ১২২৬ হিজরির দিকে এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ১১ শতক জায়গা নিয়ে নির্মিত ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফুট প্রস্থের আয়তাকার মসজিদটির প্রাচীর জুড়ে প্রাচীন কারুকাজের লতাপাতা, ইসলামী ঐতিহ্যর টেরাকোটা। যা যে কারও মন জুড়িয়ে দিবে।

মসজিদটির এক সারিতে তিনটি গম্বুজ বিশিষ্ট ফারসি লেখার ছাপ রয়েছে। উক্ত লেখায় নির্মাণদাতাদের নামসহ বলা হয়েছে- ‘আমার পবিত্র হাত দ্বারা ভিট গাথিয়া নির্মাণ করিলাম আপনারা জমায়েতের সহিত নামাজ পড়বেন।’ গম্বুজের শীর্ষবিন্দু ক্রমহ্রাসমান বেল্টযুক্ত চারকোণে রয়েছে স্তরযুক্ত ও নকশাখচিত বেল্ট করা চারটি চিকন মিনার।

মসজিদের সামনের দেয়ালের মধ্যে দরজার দুপাশে গম্বুজের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে আরো দুটি ক্ষুদ্র মিনার। মিনারগুলো দেয়াল সংযুক্ত বর্গাকার। একইরকম আরও দুটি ক্ষুদ্র বর্গাকার মিনার আছে মসজিদটির পশ্চিম দেয়ালে। মসজিদের ভেতরে প্রবেশের জন্য রয়েছে তিনটি মাঝারি আকৃতির দরজা। দরজা তিনটিতে রয়েছে ছাদ ও দরজার উপরিভাগে মধ্যস্থানে রয়েছে নকশা। এখানে নির্দিষ্ট কোনো মেহরাব নেই। মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে রয়েছে প্রাচীন নকশা এবং অন্তঃপ্রকৃতির এক দরজার নকশা খঁচিত শিল্প সৌন্দর্যের অপূর্ব লতা-পাতায় পরিপূর্ণ।

মসজিদটি নির্মাণ সম্পর্কে ফারসি ভাষায় লেখা একটি কালো ফলক রয়েছে মাঝের দরজার উপরিভাগে। ফলকের ভাষা ও লিপি অনুযায়ী ব্রিটিশ আমলের রাজত্বকালে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল বলে ধরা হয়। উক্ত লিপি অনুযায়ী বোঝা যায় মসজিদের নির্মাণে কাজ করেছিল ফরাসি বা ইরানের কারিগররা। এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে এক সময় প্রবল ভূমিকম্পে মসজিদটির ব্যাপক ফাটল ধরলে মসজিদের ভেতরের মধ্যস্থানে ২টি পিলার নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে গ্রামটির মুসল্লি বৃদ্ধি পাওয়ায় মসজিদটির পূর্ব পার্শ্বে জায়গা বাড়ানো হয়েছে। সারা বছরই বিভিন্ন এলাকার লোকজন মসজিদটি দেখতে আসেন ও নামাজ আদায় করেন।

বিভিন্নসময় এলাকাবাসীর উদ্যোগে সংস্কার ও রং করার কারণে এর প্রাচীন রং পরিবর্তন হয়ে গেছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আওতায় যদি সংস্কার কাজ করা হয় তাহলে এই দর্শনীয় প্রাচীন মসজিদটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে।

স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যন মোজাম্মেল হক সকালের সময়কে জানান, সারা বছরই দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদটি দেখতে আসেন। দর্শনার্থী অনেকেই এখানে নামাজ আদায় করেন। তিনি মসজিদটির কারুকাজ অক্ষুণ রেখে পুনরায় প্রয়োজনীয় সংস্কার করে আগামী প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদটি টিকিয়ে রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন।

T.A.S / T.A.S

তারেক রহমানের সংবর্ধনা : চাঁদপুর থেকে যাবে ২৫ হাজার নেতাকর্মী

নাগেশ্বরীতে পূর্ব দুধকুমর পাড় মানব কল্যাণ যুব সংগঠনের শীত বস্ত্র বিতরণ

ভোলাহাট সদর ইউনিয়নে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

দূর্গম পাহাড়ে বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসন করল সেনাবাহিনী

বাংলাদেশ থেকে মানবপাচারকালে ৩ বাংলাদেশি আটক

আধুনিকতার ছোঁয়ায় গরু দিয়ে হালচাষ এখন শুধুই স্মৃতি

গাজীপুর রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত বাবুল-টুলু প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়

জয়পুরহাটে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে অ্যাডভোকেসি ডায়ালগ

ভূঞাপুরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দেড় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা

মান্দায় দায়সারা কাজ করে প্রকল্পের সাড়ে ৩০ টন চাল গায়েব

অভয়নগরে মাদরাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ

তানোরে অসহায় দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ

ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ লোকাল ট্রেন দীর্ঘদিন বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা