গ্রেনেড হামলার মিথ্যা মামলায় তারেক রহমান খালাসে সূত্রাপুরে আনন্দ ও মিষ্টি বিতরণ
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি নিয়ে এদিন এই রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রোববার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা শুরু করেন। এর আগে ২১ নভেম্বর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন হাইকোর্ট।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট জানান, মামলাগুলোর বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ, কারণ তা অবৈধ উপায়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি আবদুল হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে বিচারিক আদালত এই রায় দিয়েছে। হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছে, মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির কোনো এভিডেনশিয়াল মূল্য নেই কারণ এটি জোর করে নেওয়া হয়েছিল এবং সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা যথাযথভাবে যাচাই করা হয়নি। বিচারিক আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে যেসব মামলার আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করতে পারেননি, তারা খালাসের হাইকোর্টের রায়ের সুবিধা পাবেন। তাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রায়ের এই ঘটনার পর বিএনপির সভাপতি কাজী কাইয়ুম আহমেদে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফয়েজ আহমেদের নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন এতে সূত্রাপুর থানা ৪৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাজী কাইয়ুম আহমেদের উদ্যোগে উপস্থিত ছিলেন ৪৩ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফয়েজ আহমেদ সহ সর্বস্তরের অনুসারী নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন এবং সেই সাথে জনগণের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করে।
জামিল আহমেদ / জামিল আহমেদ