কোম্পানি সেক্রেটারী পদে আওয়ামীপন্থী মহাব্যাবস্থাপক নিয়োগ, কর্মকর্তারা লাঞ্চিত
রাষ্ট্রামালিকানাধীন জনতা ব্যাংক পিএলসির কোম্পানি সেক্রেটারী পদে জনতা ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যাবস্থাপক মনসুরুল-উল হক মো. জাহাঙ্গীরকে দ্বিতীয় মেয়াদে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া নিয়ে এক কর্মকর্তাকে মারধোর করেছে সিবিএ নেতারা।
নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায় জনতা ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যাবস্থাপক মনসুরুল-উল হক মো. জাহাঙ্গীর আওয়ামীপন্থী কর্তকর্তা হিসাবে গত পনর বছর দলীয় প্রভাব বিস্তার করে পদোন্নতিসহ নানা সুবিধা ভোগ করেছেন। ২০২১ সালে অবসরে যাওয়ার পর তিনি যথারীতি দলীয় প্রভাব বিস্তার করে চুক্তিভিত্তিক কোম্পানি সচিব হিসাবে নিয়োগ বাগিয়ে নেন। যদিও কোম্পানি সচিব পদটি একজন রেগুলার মহাব্যবস্থাপকের পদ, তবু দলীয় প্রভাব বিস্তার করে তিনি অনিয়ম করে কোম্পানি সচিবের রেগুলার মহাব্যবস্থাপক পদটির বিপরীতে নিয়োগ নেন। এ বছর ডিসেম্বরে তার চুক্তিকাল শেষ হওয়ার আগেই বর্তমান পর্ষদকে প্রভাবিত করে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার জন্য সুপারিশ বাগিয়ে নেন। এ নিয়ে ক্ষুদ্ধ হন জাতীয়তাবাদী ও বৈষম্য-বিরোধী কর্মকর্তারা এবং জাহাঙ্গীরকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দেয়ার জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অনুরোধ জানান। এদের মুখ বন্ধ করার জন্য জনাব জাহাঙ্গীর তার নিয়োগের পক্ষে চাপ তৈরির জন্য অর্থের বিনিময়ে সিবিএ নেতাদের লেলিয়ে দেন। গত ৩ ডিসেম্বর ব্যাংকের কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক নেতা অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মো. রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে কর্মচারী ইউনিয়নের কতিপয় সাবেক নেতা ও আওয়ামী সন্ত্রাসী সিবিএ কর্মচারী এবং ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ ভিত্তিতে নিয়োজিত লোক মিলিয়ে ৩০ (ত্রিশ) থেকে ৪০ (চল্লিশ) জন ডিএমডি সচিবালয়ে প্রবেশ করে। ডিএমডি (প্রশাসন)-এর চেম্বারে প্রবেশ করে হট্টগোল করতে থাকে এবং চেম্বারে অবস্থানরত উপমহাব্যস্থাপক জনাব মো. মামুন-অর-রশিদ, এফটিডি ইম্পোর্টসহ অন্যান্য উপস্থিত সকল কর্মকর্তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তারা বলতে থাকে যে, ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক মনসূর-উল হক মো. জাহাঙ্গীরকে কোম্পানি সেক্রেটারী হিসাবে পুনরায় তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দিলে সবাইকে শায়েস্তা করা হবে বওে শাসায়।
এ অবস্থায় ডিএমডির পার্সোনাল সেক্রেটারী চেম্বারে প্রবেশ করে কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা মো. রফিকুল ইসলামকে থামানোর চেষ্টা করলে রফিকুল ইসলাম ও তাঁর অনুসারীরা এলোপাতারি কিলঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে। এ নিয়ে ব্যাংকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য যে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী সিবিএ নেতা রফিকুল ইসলাম শ্রমিক দলের নেতা হওয়া সত্ত্বেও ৫ই আগষ্টের পর থেকে ব্যাংকে নানা সুযোগে চাঁদাবজি করে যাচ্ছেন। চিহ্নিত আওয়ামীলীগপন্থীদেরকে অর্থের বিনিময়ে জাতীয়তাবাদী ফোরামে স্থান নেয়া, বদলীর ভয় দেখিয়ে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিকট চাঁদাবাজী এবং বদলী বানিজ্যে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদও প্রচার হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার
ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা