ডেমরায় রয়েল ম্যাক্স হাসপাতালের মালিকগণের শেয়ার নিয়ে প্রতারণা
রাজধানীর ডেমরা কোনাপাড়া এলাকায় রয়েল ম্যাক্স হাসপাতালের মালিকগণের শেয়ার নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা হয়েছে বলেও জানা গেছে। হাসপাতালটি মানবতার সেবার উদ্দেশ্যে ২০২১ সালে স্থাপিত করা হয়। সুচনা লগ্নে এই হাসপাতালটি ১২ জন পরিচালকের সমন্বয়ে প্রায় ২.৫ কোটি টাকার ইনভেষ্টমেন্ট এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। বিভিন্ন পেশাজীবির ১২ জন পরিচালক এর মাধ্যমে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করে। এরই মধ্যে মো. জসিম উদ্দিন (৫০), মো. জিল্লুর রহমান (৪৩), প্রফেসর ডা. খাইরুল ইমাম (৪৬), মগবাজার ইস্কাটন এলাকার বাসিন্দা এই ৩ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আজ তাদের কাছে হাসপাতালটি জিম্মি হয়ে পড়েছে এবং পাশাপাশি অন্যান্য পরিচালকগণ তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালটির মেমোরেন্ডাম তৈরির সময় মো. জসিম উদ্দিন, মো. জিল্লুর রহমান এবং প্রফেসর ডা. খাইরুল ইমাম অন্যান্য পরিচালকদের মতামত উপেক্ষা করে, প্রফেসর ডা. খাইরুল ইমাম নিজেকে চেয়ারম্যান, মো. জসিম উদ্দিন নিজেকে এম ডি এবং মো. জিল্লুর রহমান নিজেকে প্রজেক্ট ডাইরেক্টর পদে রেখে মেমোরেন্ডাম করে ফেলে। পরিচালক প্রফেসর ডা. খাইরুল ইমাম কনসালটেন্ট হিসেবে এবং মো. জিল্লুর রহমান প্রজেক্ট ডাইরেক্টর হিসেবে এর আগে ডেমরা এ্যারোমো হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকালে চুরি ও আর্থিক অনিয়ম এবং দুর্নীতির দায়ে বিতাড়িত হন। তথা এ্যারোমো হাসপাতাল কতৃপক্ষ দুইজনকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে মো. জসিম উদ্দিনকে সাথে নিয়ে তারা ডেমরা স্টাফ কোর্য়াটার এলাকায় পুনরায় একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার উদ্দ্যোগ নেয়। কয়েক মাসের মধ্যে সুকৈাশলে কয়েকজন পরিচালক জোগাড় করে অত্যান্ত দক্ষতার সাথে হলি এইড নামক একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে প্রফেসর ডা. খাইরুল ইমাম নিজেকে চেয়ারম্যান এবং মো. জসিম উদ্দিন নিজেকে এম ডি এবং জিল্লুর রহমানকে ম্যানেজার করে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করে। হাসপাতাল চালানোর জন্য মেশিনারিজ ক্রয় বাবদ, হাসপাতালের ডেকোরেশন বাবদ, হাসপাতালের বিভিন্ন টেস্টের রি-এ্যাজেন্ট ক্রয় বাবদ, বিভিন্ন টেস্ট বাহির হতে করানো বাবদ কমিশন, জনশক্তি নিয়োগ ও মেডিসিন ক্রয় করা বাবদ কমিশন, এসি, ফ্যান, টিভি-সহ
বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স কেনাকাটা বাবদ কমিশন, নতুন ডিরেক্টর নিয়োগ এবং পুরাতন ডিরেক্টরদের মতামত উপেক্ষা করে নিজের মন মতো হাসপাতাল পরিচালনা করতে থাকেন। এদের মতের অমিল হলে ডিরেক্টরদের কৈাশলে অপবাদ দিয়ে বের করে দেন। হাসপাতালের আয় ও ব্যয়ের হিসাবে অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ থাকলেও, ৩ ব্যক্তি যথেষ্ট প্রভাব ও ক্ষমতা বলে নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন। এমতাবস্থায় কয়েকজন পরিচালক একতাবদ্ধ হয়ে ম্যানেজার জিল্লুর রহমান এবং এম ডি মো. জসিম উদ্দিনকে হাসপাতালের মধ্যে বেঁধে মারধর করেন বলে অভিযোগ আছে। এদের মধ্যে ১ জন মো. জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা হয়েছে বলেও জানা গেছে সেই মামলায় তিনি জেল খাটেন। বের হয়ে এসে পুনরায় বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে কৌশলের মাধ্যমে হাসপাতালের শেয়ার বিক্রি করেন। পরিচালক প্রফেসর ডা. খাইরুল ইমাম সুকৌশলে বেচে গেলেও, কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির মামলা করে। হলি এইড হাসপাতাল হতে অপমানিত হয়ে বের হবার পর, ৩ ব্যক্তি পুনরায় ডেমরা কোনাপাড়া কাঁচা বাজার সংলগ্ন একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্দ্যোগ নেয়। পরিকল্পনা মাফিক কৈাশলগত কারণে প্রথমে কয়েকজন শিক্ষিত, নম্র, ভদ্র, সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের পরিচালক হিসেবে নেয়া হয়। ইতিমধ্যে পূর্ব অভিজ্ঞতা ও কৈাশল হিসেবে নিজেদের মন মতো ও পছন্দ মত প্রতিষ্ঠান হতে মেশিনারিজ ক্রয় করে, হাসপাতাল ডেকোরেশন করে, ফার্নিচার ক্রয়ের মাধ্যমে, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী যোগ করে। জন শক্তি নিয়োগের মাধ্যমে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রথম দিকে পরিচালকগণ তাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বুঝতে পারেনি, বিভিন্ন বোর্ড মিটিং পরিচালকগণ হাসপাতালে মোট বিনিয়োগকৃত টাকার পরিমাণ, খরচ এর পরিমাণ, অবশিষ্ট টাকা এবং প্রতিমাসের আয় ও ব্যয়ের পর ফান্ডে কত টাকা জমা আছে তার পরিমাণ জানতে চান। ৩ জনের কাছে বাকি মালেকগণ হিসাব চাইলে কেবল সময় চেয়ে এড়িয়ে যান এবং আজ পর্যন্ত হিসাব পরিচালকদের বোর্ড মিটিং এ জানানো হয়নি। পরিচালকদের মধ্য হতে মো. আব্দুল হাইকে এ্যাকাউন্ট ইনচার্জ এর দায়িত্ব দেয়া হয়। মো. জিল্লুর রহমানকে প্রজেক্ট ডাইরেক্টর দায়িত্ব দেয় হয়। মো. ইয়াকুব আলী চৈাধুরীকে উপদেষ্টার দায়িত্ব দেয়া হয়। মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় মো. আসাদুজ্জামানকে। হাসপাতালের নামে এ্যাকাউন্ট খোলা হলেও এ্যাকাউন্টের দায়িত্ব নেয় চারজনে। হাসপাতাল হতে আয়কৃত টাকা এ্যাকাউন্ট ইনচার্জ মো. আব্দুল হাই নিজের কাছেই রাখেন, ব্যাংকে টাকা জমা দেন না বলেও জানান বাকি মালিকগণ।
এ বিষয় রয়েল ম্যাক্স হাসপাতালের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মো. জিল্লুর রহমান দৈনিক সকালের সময়’কে বলেন, যারা অভিযোগ করেছেন তারা রয়েল ম্যাক্স হাসপাতালের নিজের লোক, আমার বিরুদ্ধে মামলা আছে ২ টি আমি জেল খেটেছি ১ মাস ৪ দিন। বর্তমান রয়েল ম্যাক্স হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. খায়রুল ইমাম তার বিরুদ্ধেও আমি মামলা করেছি, কারণ আমার চেক বই ব্যাংক থেকে উঠিয়ে আমার স্বাক্ষর নকল করেছে এজন্য আমি মামলা দিয়েছি। প্রফেসর ডা. খায়রুল ইমামকে এ বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেনি। এ বিষয় রয়েল ম্যাক্স হাসপাতালের এমডি মো. জসিম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, রয়েল ম্যাক্স হাসপাতালে সবাই মিলে যারা আছে তারাই ছিলো সবাই আছে। আমার নামটা কেন দিয়েছে আমি তা জানি না, আমি রয়েল ম্যাক্স হাসপাতালে কোন দায়িত্ব নেই। এরকম কিছুই নাই রয়েল ম্যাক্স হাসপাতালে আমি কোন এমডি না, রয়েল মেক্স হাসপাতালে কোন পদই নেই আমার।
এমএসএম / এমএসএম
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার
ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা