কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হলো একাডেমিক কার্যক্রম
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ থেকে শুরু হলো একাডেমিক কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের ভর্তির দিয়ে জেলা বাসীর প্রাণের দাবী বিশ্ববিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তির সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। এ বছর এগ্রিকালচার ও ফিশারিজ অনুষদে ৪০ জন করে মোট ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কুড়িগ্রামের মানুষের গণদাবী ছিল এই কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের। উত্তরের সর্বশেষ প্রান্তে হিমালয়ের পাদদেশে কৃষি নির্ভর এ জেলা। জেলায় ১৬টি নদ-নদী আর ৪শ উপর চর-দ্বীপ রয়েছে এখানে। সম্ভাবনা রয়েছে মাছ চাষের। আর চরে হবে বিভিন্ন আবাদ। এ জন্য গবেষনা হবে এই কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের মাধ্যমে। সারা দেশের মেধাবীরা এসে উচ্চতর ডিগ্রী নেয়ার পাশাপাশি করবে কৃষির উপর গবেষনা।দারুন খুশী জেলা বাসি।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৮০ আসনে ভর্তির সুযোগ থাকলেও প্রথম পর্যায়ে এগ্রিকালচার অনুষদে ৩২ জন এবং ফিশারিজ অনুষদে ২২ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। ফাঁকা আসনে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির সুযোগ থাকবে। অপেক্ষমান তালিকা থেকে নির্বাচিতদের আগামী ২২ ডিসেম্বর ভর্তি করা হবে। বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য কুড়িগ্রাম শহরের দক্ষিণে নালিয়ার দোলা নামক স্থানে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। কুড়িগ্রাম শহরের ভোকেশনাল মোড় এলাকায় প্রশাসনিক ভবন এবং শহরের টেক্সটাইল মোড় সংলগ্ন স্থানে একাডেমিক ভবন ভাড়া নেওয়া হয়েছে। আপাতত এসব ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।
শিক্ষার্থী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাইমানি জানান আমি কৃষি অনুষদে ভর্তি হলাম। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ব্যাচ হিসেবে নিজেকে খুবই ভালো লাগছে। নিজের ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের সম্মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি সে চেষ্টা থাকবে সব সময়। শিক্ষার্থী সাদিয়া ইয়াসমিন জানান কুড়িগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের মাধ্যমে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে বিশ্ব বিদ্যালয়ের সুনাম অর্জন করার চেষ্টা করবো। এই বিশ্ব বিদ্যালয়ের গুরুত্ব দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরবো। আমাদের মাধ্রমে এই বিশ্ববিদ্যালয় একদিন এগিয়ে যাবে। অভিভাবক মোঃ আহাদ আলী জানান আমার ছেলে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়েছে। এখানে পরিবেশ পরিস্থিতি খুব ভালো লাগছে। আমি চাই আমার ছেলে ভালভাবে পড়াশুনা করে মানুষের মত মানুষ হবে।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম রবিবার থেকে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে দেশের অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কানেকটিভিটি রেখে শিক্ষা ব্যবস্থার সমতা রাখার চেষ্টা করা হবে। আশা করি জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়নের পেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশেষ অবদান রাখবে।
T.A.S / T.A.S