কপিলমুনির বণিক সমিতির ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা এক যুগ পার: ঐতিহ্য রক্ষার্থে নির্বাচনের দাবি ব্যাবসায়ীদের
খুলনা জেলার দ্বিতীয় বৃহৎতম বাণিজ্যিক উপশহর কপিলমুনির বণিক সমিতির ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার এক যুগ পার হলেও আজও নির্মাণ হয়নি নতুন ভবন। আর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ঢিলেঢালা কার্যক্রম। ঐতিহ্যে রক্ষার্থে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যাবসায়ীদের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় বিনোদগঞ্জ বণিক সমিতি। বণিক সমিতি ঘিরে ছিল ব্যবসায়ীদের মিলন মেলা। নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হতেন জনপ্রতিনিধিরা। আর সেই জনপ্রতিনিধিরাই ব্যবসায়ীদের দেখা ভালো দায়িত্ব পালন করতেন। কালের বিবর্তনে সঠিক নেতৃত্বের অভাবে সেই বণিক সমিতি আজ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদের নিজস্ব সংগঠন। তাই জৌলুস হারিয়ে গেছে বণিক সমিতির। ব্যবসায়ীরা বলছেন নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো সঠিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করলে প্রাণ ফিরে পেতে পারেন বণিক সমিতির।
দানবীর রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু প্রায় শত বছর আগে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি বাজার আধুনিকায়ন করেন। যা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা গুলোর মধ্যে লক্ষনীয় ছিল। সেই থেকে নাম করণ করা হয় বিনোদগঞ্জ বাজার। বাজারের উন্নয়ন ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তৎকালিন সময় বিনোদ বাবু প্রতিষ্ঠা করেন বিভিন্ন জনহিতকর প্রতিষ্ঠান। তেমনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে সুদর্শন কারুকার্য খচিত ভবন নির্মান করেন। এ ভবনে সিদ্ধেশ্বরী ব্যাংকের সকল কার্য্যক্রম পরিচালনা করা হত। যা আজ কালের সাক্ষী। সেখানে বসে বিনা লাভে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে বিতরণ করা হতো মূলধন। সেই সময় উৎকর্ষ সমিতির নামে এসব ঋণ বিতরণ করতেন মহান ব্যক্তিত্ব রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু।
২০ ইঞ্চি চওড়া চুন সুড়কির নির্মিত পাকা দেওয়াল আর লৌহ কাঠের তৈরী দরজা জানালা দ্বিতল ভবন আজও মনে করিয়ে দেয় তার অতীত ঐতিহ্যের ইতিকথা। কিন্তু কালের বিবর্তন ও বৈরীতায় আজ সেই সুবিশাল ভবনটি হুমকির মুখে পড়েছে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বয়সের ভারে জরাজীর্ণ হয়ে নুয়ে পড়েছে। ভবনের দেওয়ালের পলেস্তারা, ছাদসহ এর অবকাঠামো নড়বড়ে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। অতি মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ দ্বিতলের উপরের কক্ষ গুলো কয়েক বছর আগে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
বর্তমানে একতলা ভবনে চরম ঝুঁকির মধ্যে চলছে কপিলমুনি বিনোদগঞ্জ বণিক সমিতির কার্য্যক্রম। ফলে যে কোনো মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছেন ব্যবসায়ীসহ নের্তৃবৃন্দ। অথচ রাজস্ব আয় সমৃদ্ধ বাণিজ্যিক উপশহর এর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটি সরকারের পৃষ্টপোশকতার অভাবে আজও সংস্কার থেকে বঞ্চিত। ইতঃপূর্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট সচিব ও জেলা পরিষদ প্রশাসক পৃথকভাবে ভবন নির্মাণের একাধিক ফলক উন্মোচন করলেও তা কবে নাগাত বাস্তবায়ন হবে তা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক।
বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা ফলক উন্মোচনের কথা শুনে ঐতিহ্যবাহী এ ভবন সংস্কারে আশার আলো দেখলেও বর্তমানে এর কোনো প্রক্রিয়ার বিন্দুমাত্র প্রতিফলন চোখে পড়েনি। জানাযায়, সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মিহির কান্তি মজুমদার ৩রা জুন’১১ ভবন নির্মাণে বণিক সমিতির সম্মুখে এক নাম ফলক উন্মোচন করেন। এরপর ৩০ জানুয়ারি’১২ তারিখে খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক শেখ হারুনার রশিদ একইভাবে ভবন নির্মাণে ফলক উন্মোচন করেন। অথচ দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলেও এর বাস্তবায়নে কোনো প্রক্রিয়া অদ্যাবধি চোখে পড়েনি। ফলে ঐতিহ্যবাহী এ ভবনটির সংস্কার ও নির্মাণে আবারও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কোনো হতাহত ও ঐতিহ্য রক্ষায় বাজারের ব্যাবসায়ী ও এলাকাবাসীর দাবী, দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সিদ্ধেশ্বরী ভবণের নির্মাণ কাজ।
T.A.S / T.A.S
রাঙ্গামাটিতে সিএনজি -কাভারভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১,আহত ১
৬৪ জেলায় পুলিশ সুপার বদলি - কুমিল্লার নতুন পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান
লাকসামে বিএনপি নেতা হিরু-পারভেজ নিখোঁজের ১২ বছর, স্বজনদের অপেক্ষার প্রহর কাটছে না
কালীগঞ্জে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন
মাদ্রাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জঙ্গলে নিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ: পলাতক বাবা গ্রেপ্তার
বড়লেখায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন
নাচোলে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী- উদ্বোধন
লাগারে লাগা ধান লাগা' স্লোগানে সুনামগঞ্জ-৪ আসন উত্তাল
ভূরুঙ্গামারীতে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ
গোপালগঞ্জে সাড়ে চার হাজার কৃষকের হাতে পৌঁছাল প্রণোদনার বীজ–সার
মুকসুদপুরে জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনী উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
সুবর্ণচরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত