ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শাহজাদপুরে সরিষার হলুদ ফুলে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন


মাহফুজুর রহমান মিলন, শাহজাদপুর photo মাহফুজুর রহমান মিলন, শাহজাদপুর
প্রকাশিত: ২৮-১২-২০২৪ দুপুর ২:১৪

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বিস্তির্ণ মাঠ সরিষার হলুদ ফুলে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। পৌষের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল। প্রকৃতি সেজেছে হলুদ সমারোহে, মৌমাছি, প্রজাপতির অবিরাম খেলায় গ্রামীণ জনপদকে আরো মনমুগ্ধ করেছে। শীতের এই শিশির ভেজা সকালে সরিষার সবুজ গাছের হলুদ ফুলগুলো সোনা ঝরা রোদে যেন ঝিকিমিকি করছে। মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলে হলুদ রঙের অপরূপ দৃশ্য।  
আমন ও বোরো মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে জমি ফেলে না রেখে দুই ফসলি জমিকে তিন বা চার ফসলি করে তুলতে ও সরিষার বাজার মূল্য ভালো থাকায় সরিষা চাষাবাদে ব্যাপক আগ্রহ বেড়ে গেছে এ উপজেলার সরিষা চাষিদের। চাষের সময় ও খরচ দুটোই কম হওয়ায় কৃষকের কাছে বেশ জনপ্রিয় সরিষা চাষ। গত কয়েক বছরে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের ফলে এ শস্যটির ফলনও আগের চেয়ে বেড়েছে। এ কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দিনে দিনে বাড়ছে সরিষার চাষ। প্রচলিত দেশি সরিষার চেয়ে বারি, টরি ও বিনার উদ্ভাবিত সরিষার জাতগুলোর ফলন বেশি। প্রতি বিঘায় ৫/৬ মন সরিষা হয়ে থাকে। এ কারণে চাষিরাও আগ্রহী হচ্ছেন সরিষা চাষে। অনেকেই আমন ধান সংগ্রহের পর জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষ করছেন। ভোজ্যতেলের আমদানির্ভরতা কমাতে সরিষাকে বিকল্প হিসেবে দেখছে সরকার। এজন্য ফসলটি উৎপাদন বাড়াতে নেয়া হয়েছে বড় প্রকল্প। ফসলের শ্রেণীবিন্যাসে পরিবর্তন এনে গতিশীল করা হচ্ছে সরিষার চাষ।  
এ বছর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় চাষকৃত সোনালি-৭৫ জাতের ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর, বারি-৯ জাতের ১৩৫ হেক্টর, বারি-১৪ জাতের ৮ হাজার ৭২৫ হেক্টর, বারি-১৭ জাতের ১ হাজার ৬৬০, বারি-১৮ জাতের ১১৫ হেক্টর, বিনা-৯ জাতের ২০ হেক্টর, বিনা-১১ জাতের ১০ হেক্টর, টরি-৭ জাতের ২ হাজার ৬৪০, রাই-৫ জাতের ৭৩৫ হেক্টর, বিএডিসি-১ জাতের ১০ হেক্টর। মোট চাষকৃত ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হচ্ছে। স্থানীয় কৃষক মো. রওশন আলী খান জানান- অনেক বছর ধরেই সরিষা চাষাবাদ করে আসছি। এ বছরও সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে সরিষা চাষাবাদ করছি। এবারে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সরিষাতে পোকামাকড়ের তেমন আক্রমণ না থাকায় ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করেন তিনি। 
উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা হোসনেয়ারা বিলকিস জানান- গত বছরের তুলনায় এ বছর আমার ব্লকে আগাম সরিষা আবাদ বেশি হয়েছে। এসব জমিতে সরিষার ফুল ফুটেছে আরো ২ সপ্তাহ আগেই। ফলন বৃদ্ধি ও রোগবালাই দমনে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।    
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ বলেন- বোরো ধান রোপণের আগে সরিষা একটি বাড়তি অর্থকরি ফসল। চাষের সময় ও খরচ দুটোই কম হওয়ায় কৃষকের কাছে বেশ জনপ্রিয় সরিষা চাষ। আমাদের দেশে ভোজ্যতেলের বড় একটি অংশ আমদানি করা হয়। এই আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে ও সরিষা চাষে উদ্ভুদ্ধ করতে কৃষকদের বিনামূল্যে ১০ হাজার ২০০ জন কৃষককে ১ কেজি করে সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এম ও পি সার বিতরণ করা হয়েছে। সরিষার ভালো ফলনের জন্য কৃষকদেরকে প্রতিনিয়ত সবধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আশা করি, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।   

এমএসএম / এমএসএম

রাজবাড়ীতে বাড়ি থেকে মাকে বের করে দিল ছেলে-পুত্রবধূ!

ডাকসুর নির্বাচনে শামসুন্নাহার হলের জিএস নির্বাচিত হয়েছেন নরসিংদীর সামিয়া

জুড়ীতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

জয়পুরহাটে কারাতে প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান

বাকেরগঞ্জে দূর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে ১৬০০ কেজি পলিথিন জব্দ

মাতৃভূমি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে বিজ্ঞান উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিজিবির অভিযান, সাত দিনে ২ কোটি ১১ লাখ টাকার মাদকসহ অবৈধ মালামাল জব্দ

ঢাকা ভাংঙা এক্সপ্রেসওয়েতে ২য় দিনের মতো যানবাহন চলাচল বন্ধ, বিকল্প পথে সড়কে বেড়েছে যানজট

চিতলমারীতে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল: সড়ক অবরোধে অচল জনজীবন

রায়পুরে নিরক্ষরদের হাতে কলম তুলে দিল শিবির

ঠাকুরগাঁওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রামদাড়া সেতুতে জীবন বিপন্নের আশংকা

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে সিএসও