গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্মবার্ষিকীতে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন

'ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়- তোমারি হউক জয়' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) স্বপ্নদ্রষ্টা ও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৪১৭নং কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। সিনিয়র অফিসার এনামুল হক এবং বাংলা বিভাগের সহকারী প্রভাষক এম.এস আয়শা সিদ্দিকার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আমন্ত্রিত অতিথিরা বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মনসুর মুসা সম্পাদিত 'ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্মদিনে স্মরণিকা-২০২৪' এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক এবং বহুমুখী প্রতিভার মানুষ। তিনি সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন সমাজে বৈচিত্র থাকবে কিন্তু বৈষম্য থাকবে না। তিনি শুধু রাষ্ট্র বিপ্লবী নয় তিনি একজন সমাজ বিপ্লবীও। তার কাজ ও আদর্শগুলোকে আমাদের বোঝা উচিৎ। তার মৃত্যু সকলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তার কাজ আমরা যখন পরিপূর্ণ করতে পারবো, সমাজকে পরিবর্তন করতে পারবো তখন মনে করবো তিনি আমাদের সাথেই আছেন।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, 'জাফর ভাইয়ের সাথে অনেক বছর কাটিয়েছি, অনেক কিছু শিখেছি। অনেক চমক উনি দেখিয়েছেন। আজ তার জন্মদিন উদযাপন করছি, কিন্তু সে আমাদের মাঝে নাই। তবে তার জন্মটা যে শুভ ছিল তাতে কোনো দ্বিধা নেই। একবার যা যৌক্তিক মনে করতেন তা থেকে তাকে কেউ সরাতে পারতো না। এই সময়কালে দেশের মানুষের জন্য উনার মনের মধ্যে যে আকাঙ্খা, তা আমি কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছি। তিনি বলতেন, গরীবদেরকে যদি সচেতন না করতে পারি তাহলে আমাদের মতো মুষ্ঠিমেয় মানুষকে দিয়ে পরিবর্তন আসবে না।'
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, 'ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যে উদ্দেশ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন আমি তা অনুধাবন করতে পারি। আমি চেষ্টা করবো তার উদ্দেশ্যকে তার দেখানো পথেই পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করার। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ফেব্রুয়ারিতেই গবিতে চতুর্থ সমাবর্তন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। সার্বিক বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করি।'
আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়। এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি শিরিন হক, অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আবু মুহাম্মদ মুকাম্মেল, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু হারেস, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সন্তান বারিশ চৌধুরী এবং বৃষ্টি চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এমএসএম / এমএসএম

জাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শহীদ পরিবারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন

ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর

শেকৃবিতে শিক্ষার্থীদের জিরো পার্সেন্ট ইন্টারেস্টে দেয়া হবে ল্যাপটপ

ইউজিসি'র হিট প্রকল্পের গবেষণা ফান্ডে নাম নেই জবির

চবিতে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার,মৃত্যু ঘিরে রহস্য

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই ৩৬ কর্ণার উদ্বোধন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে যুক্ত হচ্ছে লিখিত ও প্রেজেন্টেশন পরীক্ষা

জুলাইয়ের স্পিরিট নিয়ে কাল আসছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নতুন প্ল্যাটফর্ম ইউটিএল

গবিতে বিতর্ক উৎসব: চার ধারার যুক্তিযুদ্ধ

দাবায় চবির ৯ অনুষদের লড়াই, শেষ হলো ‘চেস ফেস্ট

ইবিতে নিহত সাজিদের শেষ ফোনকল নিয়ে রহস্য
