একজন শীতার্ত মানুষের গায়ে একটি কম্বল দিতে পারা অনেক আনন্দের বিষয়ঃ ইউএনও মহেশখালী

সারাদিন অফিসের কাজ শেষে সন্ধ্যা হলে বেরিয়ে পড়েন, শীতার্ত ছিন্নমূল মানুষের কাছে।এমন চিত্র প্রতিদিন দেখছেন দ্বীপ উপজেলার মহেশখালীর মানুষ।শীতের সময় গরীব অসহায়, এতিম ও ফুটপাতের পড়ে থাকা মানুষদের দেখার যেখানে কেউ থাকেনা। সেখানেই উপস্থিত হন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: হেদায়েত উল্যাহ।
মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে দেখেন তিনি। কম্বল নিয়ে নিজেই হাজিরা দেন অসহায়দের দুয়ারে। বাড়ির দরজার পাশে দাড়িয়ে জিজ্ঞাস করেন, বাড়ি কেউ আছেন!কেউ বের হলেই তার হাতে তুলে দেন শীতবস্ত্র। কেউ জানেনা তিনি মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তিনি সেখান থেকে চলে গেলেই কারো কাছে জেনে বুঝতে পারেন সে মহেশখালীর ইউএনও।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: হেদায়েত উল্যাহর এমন কর্মকান্ড মানুষের বেশ নজর কাড়ছে। লোকে মুখে শোনা যাচ্ছে, ইউএনও একজন মানবিক মানুষ। তিনি অসহায় মানুষের কষ্ট বুঝেন।গরিব-অসহায় ও ছিন্নমূল নারী -পুরুষ ঘুমিয়ে থাকা দেখলেই তিনি নিজ হাতে কম্বল মুডিয়ে দেন। এতে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন তারা।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেদায়েত উল্যাহ বলেন,শহরে যারা কংক্রিটের দালানে বসবাস করেন তাদের কাছে শীত আশীর্বাদ। দিনের বেলায় তারা গরম পোশাক-পরিচ্ছদ পরে চলাফেরা করে। রাতের বেলায় লেপ-কম্বল গায়ে দিয়ে পরমসুখে ঘুমে ঘুমিয়ে থাকে। পক্ষান্তরে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য শীতকাল বড় কষ্টের বার্তা নিয়ে আসে। বেড়া, ইট কিংবা জানালা-দুয়ারের ফাঁক দিয়ে শীত প্রবেশ করে শোবার ঘরে। তখন সব বয়সি মানুষ তীব্র শীতে কাঁপতে থাকে। শীতের তীব্রতা সহ্য করার মতো ক্ষমতা তাদের থাকে না। অসহায় ও হতদরিদ্রের কষ্ট দিন দিন বাড়তেই থাকে। যারা খোলা আকাশের নিচে, ফুটপাত, বাস ও রেলস্টেশনে কিংবা নদীর পাড় ও রেললাইনের পাশে গড়ে ওঠা বস্তিতে বসবাস করেন তাদের কষ্টের সীমা থাকে না। তারা ছেঁড়া কাঁথা, কম্বল ও পাটের বস্তা দিয়ে শরীর আবৃত করে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন। তারা অতি সহজেই ঠান্ডা জ্বর, সর্দি, কাশির মতো শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়। সূর্যের কিরণই যেন তাদের শীত থেকে বাঁচার প্রধান উপায়। অনেকে খড়-বিচালি, ডালপালা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে। শুধু মানুষই নয় গৃহপালিত ও বনের পশুপাখিরাও তীব্র শীতে কাতর থাকে।
তাই দেশের গরিব-দুঃখী অসহায় মানুষের শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফুটানো ও শীত থেকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করা উচিত।সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও সমাজের বিত্তশালীদের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিশেষ করে আমাদের নজর দিতে হবে ছিন্নমূল খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বয়স্কদের প্রতি। মানবতার পাশে দাঁড়ানোই হচ্ছে সর্বোত্তম কাজ।পথশিশু ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য দু'মুঠো ভাতের ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত পরিমাণ শীতবস্ত্র ও শীতার্তদের পাশে এগিয়ে এলেই শীত নিবারণের পাশাপাশি তাদের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব।
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখল, ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন

সান্তাহারে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রাইভেট কারসহ দুইজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গরুর গাড়ি মার্কা প্রার্থীর সমর্থনে সভা

কাউনিয়ায় এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে গাছের চারা বিতরণ

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনাগাজীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু চোরসহ গ্রেফতার-০৪, চোরাই গরু উদ্ধার

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ
