রাবিতে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এক সমন্বয়কের আত্মপ্রকাশ, বাকিদের কখন!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অন্যতম সমন্বয়ক নওসাজ্জামান। সম্প্রতি তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হিসেবে প্রকাশ্যে এসেছেন। গত রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় শাখা শিবিরের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে এ তথ্য জানা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সেক্রেটারিও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রশিবির সূত্রে জানা যায়, নওসাজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ১ম বর্ষ থেকেই শিবিরের সাথে যুক্ত ছিলেন। এর আগে তিনি ২৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি, মেসজোন সভাপতি, কলা অনুষদ সভাপতি, শহীদ জিয়াউর রহমান হল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের ছাত্রকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং ছাত্র আন্দোলন সম্পাদকের দ্বায়িত্বও পালন করেছেন।
এদিকে দীর্ঘদিন থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গুঞ্জণ আছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদের একটি বৃহৎ অংশ ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সেই গুঞ্জণ এখন সত্য হতে শুরু করেছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কয়েকজন নেতাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে, নওসাজ্জামান ছাড়াও সমন্বয়কদের একটি বড় অংশ তাঁদের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্য সমন্বয়করা বলছেন, সমন্বয়কদের মধ্যে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে কারা জড়িত আছেন তারা সেটি জানেন না। এনকি নওয়াসাজ্জামানের বিষয়টিও কেউ জানতেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেশকাত মিশু জানান, সমন্বয়ক নওসাজ্জামান যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত বিষয়টা সে জানতেন না। সমন্বয়কদের মধ্যে আর কেউ শিবিরের আছে কিনা সেটাও তার জানা নেই। তিনি বলেন, এই আন্দোলনটা ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। আন্দোলনের সময় আমরা কারও রাজনৈতিক পরিচয়কে মূখ্য করে দেখিনি। তবে ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে, সে তার রাজনৈতিক আদর্শ, বিশ্বাস ঘোষণা দিয়ে কাজ করতে পারছে।’
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, ‘নওসাজ্জামান আমাদের বর্তমান কমিটির প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক এবং সদ্য বিদায়ী কমিটির ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক ছিলেন। ছাত্র আন্দোলন সম্পাদকই ছাত্রদের আন্দোলন, প্রতিবাদ, দাবি ইত্যাদি বিষয় দেখাশোনা করে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শিবিরের পক্ষ থেকে নওসাজ্জামানকে আন্দোলন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো।'
সমন্বয়কদের মধ্যে আরও শিবিরের নেতা-কর্মী আছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটি একটি গণমানুষের আন্দোলন ছিল তাই আমরা চাই সবাই এই আন্দোলনকে ধারণ করুক। আমরা সমন্বয়কদের স্পেসিফিকভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই না। তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের বড় একটি অংশ শিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।’
শিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার প্রসঙ্গে নওসাজ্জামান বলেন, ‘আমি অনেক আগে থেকেই শিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত। আমার পরিচিত সকলেই বিষয়টি জানে। পুরাতন যে কমিটি ছিল, সেটি প্রকাশ হয়নি। তাই বিষয়টি সামনে আসেনি। অন্যদের প্রকাশ্যে আসার বিষয়ে এখনো কোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত হয়নি। সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত হওয়ার পরে হয়তো তারা তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে পারে।’
এমএসএম / এমএসএম
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা
ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন
শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ
উত্তরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবে সাংবাদিক সম্পদ
দীর্ঘ তিন যুগ পর জাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল
জকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
জকসু নির্বাচন: ছাত্রদল সমর্থিত "ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান" প্যানেল ঘোষণা,
এইচএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ
বাকৃবিতে প্রিসিশন ব্রিডিং-ভিত্তিক দুগ্ধ উৎপাদন উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা
স্কুলে ভর্তিতে ৬৩ শতাংশই কোটা, অভিভাবকদের আপত্তি