ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

‌বাঙালি নদীর ভাঙনের মুখে শেরপুরের ১০ গ্রাম


শেরপুর প্রতিনিধি   photo শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫-৯-২০২১ দুপুর ৩:৪২

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার একটি বড় অংশ চলতি বর্ষা মৌসুমে বাঙালি নদীর অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়তে পারে। উপজেলার ঝাঁজর, বিলনোথার, নলডিঙ্গিপাড়া, চক খানপুর, গজারিয়া, বড়ইতলী, চকধলী, চককল্যাণী, কল্যাণী, আওলাকান্দি, বিনোদপুর, জোরগাছাসহ আরো কয়েকটি এলাকার ফসলি জমি ও বাড়িঘর অনেকটাই বিলীনের পথে।

সুঘাট ইউনিয়নের চক কল্যাণী গ্রামে সরেজমিন দেখা যায়, বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে নদীপাড়ের বসতিদের মাঝে। নদীভাঙনের কারণে বসতবাড়ি সরানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। ইতোমধ্যেই কয়েকটি বাড়ি, ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও রাস্তাঘাট বাঙালি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অথচ বাঙালি নদীর কোথাও কোনো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। 

বাঙালি নদীর ভাঙনে সর্বস্ব হারানো চক কল্যাণী গ্রামের নজরুল, বক্কার, ছামসুল, মজিদ, মহির উদ্দিন, মফিজ বলেন, আমরা গত ৪ বছর যাবৎ নদীভাঙনের কবলে পড়ে বসতবাড়ি হারিয়েছি। এবারো নদীভাঙনের কবলে পড়েছি। নদীভাঙনের ফলে আমরা সংসারের ঘাটতি থেকে উঠতে পারছি না। এত পরিশ্রম করে চাষাবাদ করেও যদি নদীভাঙনের কারণে ঘাটতি থেকে না উঠতে পারি তাহলে কিভাবে আমরা চলব? আমাদের বসতবাড়ি ও গ্রামগুলো রক্ষার জন্য সরকারের কাছে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

বাঙালি এবং করতোয়া নদীর তীর সংরক্ষণের টেন্ডার হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। তার পরও শুরু হয়নি কাজ। বগুড়ার শেরপুরে আজও শুরু হয়নি বাঙালি নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ। ফলে বাঙালি নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। অপরদিকে এক শ্রেণির মুনাফালোভী বালু ব্যবসায়ী শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু তোলার কাজ অব্যাহত রেখেছে। এতে নদীপড়ের মানুষগুলো বাড়ি-ঘর হারানোর আশংকায় দিনাতিপাত করছেন। বিষয়টি প্রশাসনের গোচরে দেয়া হলে যদিও তারা প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ আদালতে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তবুও বেপরোয়া তারা। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি, ধুনট ও শেরপুর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাঙালি নদীর ১৯ কিলোমিটার এলাকায় ২২টি লটে নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ করা হবে। এছাড়াও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ওই নদী খনন করা হবে বলে জানা গেছে। এজন্য সরকারের ব্যয় হবে ৩২০ কোটি টাকা। এ কাজের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ১৫ কোটি টাকা। ইতোমধ্যেই বগুড়ার ওই ৪ উপজেলায় নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য সিসি ব্লক নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এখনো পর্যন্ত শেরপুর উপজেলায় নদী খননের কাজ শুরু হয়নি বলে সরেজমিন দেখা গেছে। এদিকে বাঙালি নদীর অব্যাহত ভাঙনে চলতি বর্ষা মৌসুমে শেরপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। 

এ বিষয়ে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, বগুড়ার অংশে ১৯ কিলোমিটার বাঙালি নদীর ভাঙন রোধে তীর সংরক্ষণ ও নদী খননের কাজ বগুড়ার ধুনট উপজেলা থেকে শুরু হয়েছে। নদী খননের কাজ হবে আগে। সেনাবাহিনী নদী খননের কাজ তদারকি করবে। নদীর তীর সংরক্ষণের কাজের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা সিসি ব্লক তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বন্যার পানি নেমে গেলেই খননকাজ বা তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে।

এমএসএম / জামান

মধুখালীতে স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামী সৌরভ গ্রেফতার

রায়গঞ্জের চান্দাইকোনায় পূবালী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন

বেনাপোল ঘিবা সীমান্ত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে বাড়ছে বসন্তের কোকিলের আনাগোনা

বড়লেখায় প্রাথমিকে পাঠদানের অনুমিত পেল শিশু শিক্ষা একাডেমি

জামালপুরে কার্ভাড ভ্যানের চাপায় নিহত ৫, আহত ৩

মাগুরায় ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে কচাকাটা থানাকে উপজেলা বাস্তবায়ন করার দাবীতে গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার

নওগাঁয় যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

তারুণ্যের উৎসব ২০২৫: সন্দ্বীপে অনুষ্ঠিত হলো সমৃদ্ধি কর্মসূচির সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

পটুয়াখালীর জনদুর্ভোগ নিয়ে ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলন

সুবর্ণচরে বয়সের তথ্য গোপন করে গ্রাম পুলিশে চাকরি করছেন আওয়ামিলীগ নেতা