ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

‌বাঙালি নদীর ভাঙনের মুখে শেরপুরের ১০ গ্রাম


শেরপুর প্রতিনিধি   photo শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫-৯-২০২১ দুপুর ৩:৪২

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার একটি বড় অংশ চলতি বর্ষা মৌসুমে বাঙালি নদীর অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়তে পারে। উপজেলার ঝাঁজর, বিলনোথার, নলডিঙ্গিপাড়া, চক খানপুর, গজারিয়া, বড়ইতলী, চকধলী, চককল্যাণী, কল্যাণী, আওলাকান্দি, বিনোদপুর, জোরগাছাসহ আরো কয়েকটি এলাকার ফসলি জমি ও বাড়িঘর অনেকটাই বিলীনের পথে।

সুঘাট ইউনিয়নের চক কল্যাণী গ্রামে সরেজমিন দেখা যায়, বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে নদীপাড়ের বসতিদের মাঝে। নদীভাঙনের কারণে বসতবাড়ি সরানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। ইতোমধ্যেই কয়েকটি বাড়ি, ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও রাস্তাঘাট বাঙালি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অথচ বাঙালি নদীর কোথাও কোনো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। 

বাঙালি নদীর ভাঙনে সর্বস্ব হারানো চক কল্যাণী গ্রামের নজরুল, বক্কার, ছামসুল, মজিদ, মহির উদ্দিন, মফিজ বলেন, আমরা গত ৪ বছর যাবৎ নদীভাঙনের কবলে পড়ে বসতবাড়ি হারিয়েছি। এবারো নদীভাঙনের কবলে পড়েছি। নদীভাঙনের ফলে আমরা সংসারের ঘাটতি থেকে উঠতে পারছি না। এত পরিশ্রম করে চাষাবাদ করেও যদি নদীভাঙনের কারণে ঘাটতি থেকে না উঠতে পারি তাহলে কিভাবে আমরা চলব? আমাদের বসতবাড়ি ও গ্রামগুলো রক্ষার জন্য সরকারের কাছে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

বাঙালি এবং করতোয়া নদীর তীর সংরক্ষণের টেন্ডার হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। তার পরও শুরু হয়নি কাজ। বগুড়ার শেরপুরে আজও শুরু হয়নি বাঙালি নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ। ফলে বাঙালি নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। অপরদিকে এক শ্রেণির মুনাফালোভী বালু ব্যবসায়ী শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু তোলার কাজ অব্যাহত রেখেছে। এতে নদীপড়ের মানুষগুলো বাড়ি-ঘর হারানোর আশংকায় দিনাতিপাত করছেন। বিষয়টি প্রশাসনের গোচরে দেয়া হলে যদিও তারা প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ আদালতে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তবুও বেপরোয়া তারা। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি, ধুনট ও শেরপুর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাঙালি নদীর ১৯ কিলোমিটার এলাকায় ২২টি লটে নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ করা হবে। এছাড়াও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ওই নদী খনন করা হবে বলে জানা গেছে। এজন্য সরকারের ব্যয় হবে ৩২০ কোটি টাকা। এ কাজের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ১৫ কোটি টাকা। ইতোমধ্যেই বগুড়ার ওই ৪ উপজেলায় নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য সিসি ব্লক নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এখনো পর্যন্ত শেরপুর উপজেলায় নদী খননের কাজ শুরু হয়নি বলে সরেজমিন দেখা গেছে। এদিকে বাঙালি নদীর অব্যাহত ভাঙনে চলতি বর্ষা মৌসুমে শেরপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। 

এ বিষয়ে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, বগুড়ার অংশে ১৯ কিলোমিটার বাঙালি নদীর ভাঙন রোধে তীর সংরক্ষণ ও নদী খননের কাজ বগুড়ার ধুনট উপজেলা থেকে শুরু হয়েছে। নদী খননের কাজ হবে আগে। সেনাবাহিনী নদী খননের কাজ তদারকি করবে। নদীর তীর সংরক্ষণের কাজের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা সিসি ব্লক তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বন্যার পানি নেমে গেলেই খননকাজ বা তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে।

এমএসএম / জামান

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখল, ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন

সান্তাহারে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রাইভেট কারসহ দুইজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গরুর গাড়ি মার্কা প্রার্থীর সমর্থনে সভা

কাউনিয়ায় এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে গাছের চারা বিতরণ

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনাগাজীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু চোরসহ গ্রেফতার-০৪, চোরাই গরু উদ্ধার

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ

জয়পুরহাটে ব্র্যাকের উদ্যোগে ১৩৯ জন গ্রাহকের মাঝে তেলাপিয়া মাছের পোনা বিতরণ