সমাজচ্যুত সেই ৩ পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় গত ৯ মাস ধরে সমাজচ্যুত সেই ৩ পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। রোববার (৫ সেপ্টেম্বর ) হাইকোর্টের এক আদেশে এ তিন পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে মৌলভীবাজার জেলার ডিসি, এসপি ও কুলাউড়া ইউএনওকে হাইকোর্ট এ নির্দেশ দেয়। ভুক্তভোগী পরিবারের কাজল আহমেদের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ নির্দেশ দেয়।
ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন গণমাধ্যমকে বলেন, এ রায় দেশের অশুভ সালিশকারীদের বিরুদ্ধে এক অশনি সংকেত। যারা সালিশের নামে সমাজে আধিপত্য বিস্তার করতে চায়, তারা এ রায় থেকে সাবধান হয়ে যাবেন। হাইকোর্ট আজ এক আদেশে এ তিন পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে মৌলভীবাজার জেলার ডিসি, এসপি ও কুলাউড়া ইউএনওকে নির্দেশ দেয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের কাজল আহমেদ বলেন, হাইকোর্টের আজকের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করছি আমরা এখন এ নির্দেশের মাধ্যমে ন্যায়বিচারসহ নিরাপত্তা পাব।
উল্লেখ্য, উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের কুরবানপুর গ্রামে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর থেকে এ তিন পরিবারের সকল সদস্যকে গ্রাম্য পঞ্চায়েত কমিটির সদস্যরা সালিশের মাধ্যমে সমাজচ্যুত করেন। বিষয়টি ইতোমধ্যে সারাদেশে ভাইরাল হলেও এখনো ভুক্তভোগী পরিবারগুলো কোনো সুরাহা পাচ্ছে না।
সমাজচ্যুত ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাচাতো ভাইদের বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধ মীমাংসার জন্য পঞ্চায়েত কমিটির কাছে বিচারপ্রার্থী হয় ভুক্তভোগী পরিবার। বিষয়টি মীমাংসার জন্য কুরবানপুর জামে মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি নজরুল মিয়া, পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য চুনু মিয়া, চেরাগ মিয়া, হান্নান মিয়া ও কাদির মিয়াসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয়পক্ষের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা জামানত নিয়ে সালিশে বসেন গত বছরের ১৯ জুন। সালিশের সিদ্ধান্ত ভুক্তভোগী পরিবার মেনে না নিয়ে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে স্বত্ব মামলা ( মামলা নং ৯৭/২০২০ ইং) দায়ের করে।
সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্তকে না মেনে আদালতে মামলা দায়ের করায় সালিশকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী তিনটি পরিবারের অনুপুস্থিতিতে অবৈধভাবে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না বিবাদীর বাড়িতে বসে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর এ তিনটি পরিবারকে কুরবানপুর গ্রাম থেকে ৫ বছরের জন্য সমাজচ্যুত করে রায় দেয়। সমাজচ্যুত করার কারণে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর চরম দুর্ব্যবহার, স্থানীয় মসজিদে নামাজ আদায়ে বিভিন্ন ধরনের বাধা-বিপত্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লোকজন না আসা, এমনকি গ্রামের লোকজনের সাথে কথাবার্তা বলতে না দেয়াসহ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি, মৌলিক অধিকার হরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বিবাদী পাখি মিয়াসহ পঞ্চায়েত কমিটির সদস্যদের নাম উল্লেখ করে সমাজচ্যুত করার কারণ জানতে চেয়ে একটি লিগ্যাল নোটিস প্রেরণ করে ভোক্তভোগী পরিবার।
লিগ্যাল নোটিশ দেয়ার পর এ তিন পরিবারের প্রতি আরো ক্ষিপ্ত হয় পঞ্চায়েত কমিটি। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য ভুক্তভোগী পরিবার কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর কাছে একটি অভিযোগ দেয়। অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভুক্তভোগী পরিবার, বিবাদী ও পঞ্চায়েত কমিটিকে নিয়ে বসে বিষয়টির মীমাংসা করে দেন। কিন্তু পঞ্চায়েত কমিটি পরে ইউএনওর মীমাংসাকে তোয়াক্কা না করে ভুক্তভোগীর পরিবারটির ওপর ৫ বছরের জন্য সমাজচ্যুত রায় বহাল রাখে।
এমএসএম / জামান
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে জিয়া পরিবারের অবদান অপরিসীম : এ্যাড. আজিজ মোল্লা
ভোলাহাটে বাগান নষ্ট ও হুমকির ঘটনা: প্রশাসন তদন্তে, উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী
জিয়া পরিবারের কষ্টের তুলনায় আমাদের কষ্ট কিছুই না - আবুল কালাম
যমুনা নদীতে চাঁদাবাজির দায়ে গ্রেপ্তার ১০
নবীনগরে চার গ্রামের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিএনপির মতবিনিময় সভা
কবিরহাটে ফখরুল ইসলাম: ধানের শীষে বিজয় হলে বন্ধ হবে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি
কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে নাঃ আইজিপি
নাচোলে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন
বাঘা-চারঘাট জামায়াতের এমপি প্রার্থী মোটরসাইকেল রেলি অনুষ্ঠিত
দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন
কাপাসিয়ায় সালাহউদ্দিন আইউবী‘র দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে বিশাল মিছিল
গজারিয়ায় অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ