দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর
বহাল তবিয়তে ফ্যাসিবাদের দোসর শফিউল আলম সাকিব
পতিত স্বৈরচারি দল আওয়ামীলীগের দোসর, কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের বিরুদ্ধে অর্থ সরবরাহকারি, স্বাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার লোকজনকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে তাদের যোগ স্বাজশে ভূয়া টেন্ডার বানিজ্যের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা লুন্ঠনকারী দুর্নীতির বরপুত্র মোঃ শফিউল আলম শাকিব এখনো বহাল তবিয়তে থাকায় জনমনে জেগেছে নানা প্রশ্ন। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পলায়নের পর থেকে দেশের সর্বত্র ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপসারণ করা হচ্ছে। কিন্তু শফিউল আলম শাকিব আছেন বহাল তবিয়তে । তিনি বর্তমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বন্যাপ্রবণ ও নদী ভাঙ্গন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পের এপিডি ।
শফিউল আলম সাকিব কক্সবাজার সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (২য় শ্রেণী) হিসেবে থাকাকালীন বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের করা মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে আদালত এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে জেল হাজতে পাঠান । স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী তৎকালীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামালের ডান হাত হওয়ায় সচিবের প্রভাব খাটিয়ে সমস্ত মামলা থেকে অব্যাহতি নেন। দোষী হয়েও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে নির্দোষ বলে প্রমাণ করেন। তার সমস্ত দুর্নীতির বিষয়ে পুনরায় তদন্ত করলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হওয়ার মত বেরিয়ে আসবে রহস্যজনক ভয়ানক সব তথ্য।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামালের সকল দুর্নিতির মাধ্যমে উপার্জিত সম্পদ দেখভাল করতো এই দুর্নিতিবাজ কর্মকর্তা । মিরপুরে ডিএসএস এর ভাড়া বাসায় শফিউল আলম সাকিবের তত্ত্বাবধানে রাখা হতো অবৈধ পথে উপার্জিত টাকা এবং অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা বিদেশে পাচারের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করতেন। মিরপুর ভাড়া বাসা থেকে সপ্তাহে দুই দিন ট্রেন যোগে টাকা যেত ইন্ডিয়াতে । বাংলাদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সমস্ত কলা কৌশল ছিল এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা শফিউল আলম সাকিবের।
উল্ল্যেখ্য গত ১৬ আগস্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামালের রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাবর রোডের বাসা থেকে নগদ ৩ কোটির বেশি টাকা এবং ১০ লাখ টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ দল। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এপিডি শফিউল আলম সাকিবকে তদন্তপূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসবে সাবেক সচিব শাহ কামালের গোপন সম্পদের সন্ধান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রতিবেদক মুঠোফোনে ফোন করলে শফিউল আলম সাকিব বলেন আপনি আমার অফিসে এসে দেখা করেন তার পরে বক্তব্য নেন এই বলে ফোন কেটে দেন ।
এমএসএম / এমএসএম