বারহাট্টায় সরিষার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্যবারের তুলনায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন বারহাট্টার চাষিরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এবার বিস্তির্ণ মাঠ জুড়ে সরিষার আবাদ দেখা গেছে। অন্য ফসলের তুলনায় সরিষা চাষে লাভ বেশি পাওয়ায় দিন দিন আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা সদর, বাউসী, রায়পুর, চিরাম, সিংধা, সাহতা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামসহ প্রায় অধিকাংশ গ্রামের কৃষকরাই সরিষা আবাদ করেছেন। ভালো ফলনে খুশি সরিষা চাষিরা।
উপজেলা সদরের চাষি সোহেল মিয়া, নন্দন সরকার, রায়পুর এলাকার চাষি কামাল শেখ, হুমায়ুন কবির, বাউসী এলাকার চাষি নিতাই বিশ্বশর্মা, নূরুল হুদা, চিরাম এলাকার চাষি শহিদুল ইসলাম, চন্দন রায়ের সাথে কথা বললে তারা সকালের সময়কে বলেন, সরিষা চাষে অন্যান্য শস্যের তুলনায় খরচও হয় অনেক কম। চাষে বেশি সেচ বা সার পটাশও লাগে না। কম খরচ করে লাভবান হওয়ায় সরিষা চাষ করেছি। বর্তমান বাজারে বারি-১৪ ও বারি-১৮ সরিষা বীজের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। এসব জাতের সরিষা ফলন বেশি হওয়ার পাশাপাশি ঘরেও তোলা যায় তাড়াতাড়ি।
তারা আরও বলেন, সরিষার উৎপাদন বেশি হলে আমাদের এলাকার মানুষ সরিষার তেল কম দামে পাবে। সয়াবিন তেলের বিকল্প হয়ে উঠবে। চাহিদা কমলে সয়াবিন তেলেরও ব্যবহার কমে যাবে। সরিষা আবাদে অনেক সুবিধা আছে। আমাদের তেল কিনা লাগবে না। সরিষা থেকে খৈল হয়। গরুর খৈল কিনা লাগবে না। ফলে সরিষা চাষে লাভ ছাড়া লোকসান নেই।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় গতবারের তুলনায় প্রায় ১০০ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিনা-৪, বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮ জাতের সরিষা আবাদ হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলায় ২ শতাধিক চাষিকে সরিষার বীজসহ ইউরিয়া, টিএসপি ও পটাশ সার দিয়েছে কৃষি অফিস। বরাবরের তুলনায় এবছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, চাষের শুরু থেকেই সরিষার রোগবালাই দমনে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যে কারণে ফলনও ভালো হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।
এমএসএম / এমএসএম