সিংগাইরে বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী থাবা : লুটপাট
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বসতবাড়ি ভেঙ্গে দিয়ে লুটপাটের অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭ টার দিকে সিংগাইর উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের উত্তর কানাইনগর গ্রামে ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্র পান-বিড়ি বিক্রেতা আব্দুল আজিজ (৬০) এর বসত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আজাহার (৫০), ইমরান (৩০), শাহাদাত (২৮), রনি (২৬), শহিদুল (৩৪) একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঐ দিন উল্লেখিত অভিযুক্তরা অজ্ঞাত প্রায় আরও ১৪/১৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আব্দুল আজিজের বসত বাড়িতে হামলা করে। তাদের থাকার ঘরের টিনের বেড়া দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুলে ফেলে এবং সমস্ত আসবাবপত্র ভেঙ্গে চুরমার করে ষ্টীলের আলমারি হতে স্বর্ণের ৪ ভরি গহনা ও নগদ প্রায় দেড় লাখের বেশি টাকা নিয়ে যায় এই সন্ত্রাসী বাহিনী। আব্দুল আজিজ বলেন, এই জমি আমার শ্বশুর কিনছে। আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এলাকায় একাধিকবার বসা হয়েছিল। সেখানে ওদের কিচ্ছু নেই এবং যা আছে তাও সব জাল। আদালতে সত্যের জয় হবেই। আব্দুল আজিজের স্ত্রী ছাবিহা বেগম বলেন, আমি বাঁধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করে স্ন্ত্রাসীরা। তারা আমার গলার অলঙ্কার নেয়ার সময় বাঁধা দিলে আমাকে টেনে হিচড়ে করতে থাকে। এতে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছি এবং পড়নের কাপড়ও ছিঁড়ে যায় বলে জানান তিনি।
স্থানীয় আনোয়ার বলেন, ওরা একটি অপরাধ চক্র। অপরাধমূলক কাজ করতেই ওরা অনেকেই একত্র হয়েছে। আমার জমি নিয়েও ওরা অযথা পাইতারি করছে। ওরা যে জাল দলিল করেছে সেটা এলাকাবাসির কাছে প্রমাণিত। তবে আদালত হতে ওদের দলিল জাল সেটা প্রমাণিত হলে অবশ্যেই হাজত খাটতে হবে। ওরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের নেতাদের ছত্রছায়ায় বিগত দিনগুলিতে ওরা সব অপরাধ করেছে। এখনও করে যাচ্ছে ভাবা যায়। ওদের অত্যাচার হতে এলাকাবাসি মুক্তি চায়।
সিংগাইর থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, এ থানায় কোন অপরাধীর ছাড় নেই। অবশ্যই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম